বিখ্যাত লেখক প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্র জীবন কথায় লিখেছেন ” কিন্তু একদিন বড় ছেলেদের স্কুলে যেতে দেখে বালক রবি কান্না জুড়লেন, তিনিও স্কুলে যাবেন। মাধব পন্ডিত এক চড় কষিয়ে বললেন, ‘এখন স্কুলে যাবার জন্যে যেমন কাঁদিতেছ, না যাওয়ার জন্যে এর চেয়ে বেশি কাঁদিতে হইবে’। কবি পরে লিখেছেন এত বড় অব্যর্থ ভবিষৎ বাণী জীবনে আর কোন দিন কর্ণ গোচর হয় নাই’ ।”
বিশ্ব মানবদের, মহা মানবদের জীবন অনেক কিছুই আশ্চার্য ভাবে ঘটে থাকে যা আমাদের ভাবনার বাইরে। ভারি কথায় না গিয়ে আমরা হালকা কথা বলি।
কারও সম্পর্কে আমার কখনও কোন ভবিষৎ বাণী করা হয় নাই, কিন্তু নিজের সম্পর্কে একবার ভবিষৎ বাণী করেছিলাম। ভবিষৎ বাণীর সংক্ষিপ্ত অর্থ হল ” অমুক মেয়েটা আমার হবে। ” মেহেদি পাতা বা বাটা , বা হলুদ বাটা এই সব উপকরণের মধ্য দিয়ে ভবিষৎ বাণীর সমাপ্তি হবে।
পাঠক এবার নিশ্চিত যে, নিজের সম্পর্কে একবার যে ভবিষৎ বাণী করেছিলাম তা বিফলে গেছে, বা সঠিক হয় নি, আমার সন্মানিত পাঠকগন সঠিক হোন, নির্ভুল ভবিষৎ বক্তা হোন এটা আমার সকল সময়ের চাওয়া।
তাহলে আমার সন্মানিত পাঠকগন, নির্ভুল ভবিষৎ বক্তাগন বলুন তো কোন রাশির বলে বা শক্তিতে মেহিদী পাতা আর হলুদ বাটা হলো না অমুক মেয়েটার জন্যে!!
” বড় দুঃখ না পেলে বাউল হওয়া যায় না রে বাবা ” – মহা বাউলদের এ মহাবাক্য কিন্তু আমাকে ছুঁয়ে দেখে নি, অন্য একটি মেয়ে কিন্তু মেহেদী পাতা আর হলুদ বাটার ফর্মূলায় ঠিকই পড়েছেন। ঘর আলো করেছেন, পরীর মত ঘর আলো করা – এ ক্ষেত্রে বলা যায় নিজের সম্পর্কে একবার যে ভবিষৎ বানী করেছিলাম তা জয় যুক্ত হয়েছে, সফল হয়েছে, নির্ভুল হয়েছে শুধু অমুক মেয়ের বদলে তমুক মেয়ে হলুদ বাটার ফর্মূলায় পড়ে ঘরে এসেছে কখনো চাঁদের আলোর মত নরম হয়ে, কখনও চৈত্রের তীব্র তাপ দাহ হয়ে।
তমুক মেয়ে প্রায় বলে আমার শ্বাসে বড় দীর্ঘ নিশ্বাস আসে মাঝে মাঝে, আর একবার ভবিষৎ বাণী করে বলি – অমুক মেয়েটা ভালো আছে। হয়তো এবার ভবিষৎ বাণীটা সঠিক হয়েছে বলে মনে হলো, আমিও বিশ্ব কবির মত বলি ” এত বড় অব্যর্থ ভবিষৎ বাণী জীবনে আর কোন দিন কর্ণ গোচর হয় নাই”
তারিখ: জুলাই ০১, ২০১৩
রেটিং করুনঃ ,