হতাশা গুলি জীবন থেকে যদি ঝরা পাতার মত ঝরে পড়ত প্রতি দিনের জমা হয়ে থাকা হতাশা বরং সে জায়গাটায় দখলে নিত হতাশার শত্রু সাফল্য। চাওয়াটা যখন স্বাভাবিক নয় অনেক সময় সময় সাধ্যের বাইরে, মনে ভীতির ভান্ডার, চেষ্টা করেও বাঁধাটি ডিঙ্গানো গেল না বেশি ভাগ ক্ষেত্রে হতাশা মনে ঘাঁটি বাঁধতে বসে বেশ মজবুত হয়ে।
হতাশা থেকে মুক্তি পেতে মণিষিগন অনেক পন্থার কথা বলেছেন ক্রমাগত ভাবে বলছেন কিন্তু হতাশা দূর করার বড় বড় প্রত্যয় ও নানা পন্থার মধ্য দিয়ে চলেও এই হতাশা থেকে মুক্ত হওয়া যায় না। সাফল্যের পাশাপাশি তাই হতাশার বাস।
দৃঢ় মনোবল থাকলে হতাশা দূর হবে এই কথার উপর আর তর্ক চলে না, দূর্বল মনোবলের কারণে হতাশা সবল রূপ ধারণ করে আর অবশেষে মানুষের চিত্তকে অকেজো করে ফেলে।
হতাশাগ্রস্থ মানুষ, সমাজ, দেশ কখনই মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না, প্রয়োজন সকল সময়ে হতাশার আলামত থেকে দূরে থাকা, হতাশার বীজ বিনষ্ট করে ফেলা।
এটি একটি ক্ষয় রোগ, ধীরে ধীরে মানুষকে, সকল উন্নত শক্তিকে বিচার বিবেচনাকে নিঃশেষ করে দেয়। হাতাশা ছেড়ে ফেলে মনের মধ্যে সাফল্যের ধারা প্রচলিত রাখা খুব কঠিন না হলেও অনেকের জন্য কঠিন। মনে যখন সাফল্যের ধারা প্রচলিত থাকে মন থাকে তখন ঝকঝকে পরিষ্কার ও ধারালো। অনেক অসম্ভব তখন সম্ভবের পথ ধরে চলতে থাকা, নিভে যাওয়া আশাগুলি আলোকিত হয়ে নিজেকে তথা পুরো সমাজকে আলোকিত করে তখন আর অবশিষ্ঠ থাকে না দেশ ও পৃথিবী আলোকিত হতে।
বারবার সাফল্যের কথা বলার অর্থই হতাশাকে ধংস্ব করা হয়েছে।
তারিখঃ নভেম্বর ০৬, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,