ভেবছিলাম খুব, আশা ছিল অনেক সেই স্মৃতি মাখা বাড়িটি দাড়িয়ে থাকবে আরও অন্ততঃ কয়েক যুগ, এগারো থেকে কিশোরী, কিশোরী থেকে তরুনী তারপর তার সেই সাড়ি থেকে চলে যাওয়া, এক নাগাড়ে তেরটা বছর তাকে দেখা সময় ছিল বড় দীর্ঘকাল।
প্রথম দেখাটা এগারোতে সেই থেকে কিশোরী হওয়া , কিশোরী থেকে তরুনী, তারপরও আরও সে কিছুটা হয়েছিল বড় স্মৃতি মাখা বাড়িটিতে।
তারপর একদিন সেই বাড়ি থেকে চলে যাওয়া তার, শেষ দিনটা্য় ফাঁকা জানালায় দাড়িয়ে ছিল সে বহুক্ষণ।
তাকে দেখার এক নাগাড়ে তেরটা বছর সময়টা ছিল খুব দীর্ঘকাল, সময়টা শুধুই ছিল পূর্ণিমার আলোর মত নরম অনুভূতির ছোঁয়ায়। কিছুই হয় নাই বুঝা সেই সব শ্রেষ্ঠ দিনে।
খুব প্রিয় ছিল তার জানালা, ছাদে বেড়ানো, সাজনা গাছ, হাতে ছুয়ালে হাতে আসতো মেহেদী পাতা, জায়নায় দিড়িয়ে সুপাড়ী গাছে দেখা সেই সাথে আকাশটাকে ! সব ফেলে একদিন যেতো হলো, রেখে গেলো শুধু প্রতি বালুকণায় যেন এক একটি হারানো পাথর।
প্রতিটি দিন মাকড়াসা হয়ে সময় গেঁথেছে স্মৃতি, আলো সরেছে দিনে দিনে, বড় হয়েছে ছায়া, সেই ছায়া বড় হতে হতে আমাকে রেখেছে ঢেকে যতদিন এই পৃথবীর ‘পরে।
তারিখ: জুন ২৬, ২০১৭
রেটিং করুনঃ ,