Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

স্বাভাবিকতা থেকে পৃথিবী অনেক দূরে(২০২১)-দ্য ইকোনমিস্ট

Share on Facebook

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে সারা পৃথিবীতে একটাই প্রশ্ন, কবে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে মানুষ। প্রথমে মানুষ ভেবেছিল, দিন ১৫ ঘরে কাটিয়ে দিলেই ঝামেলা শেষ। কিন্তু আজ দেড় বছর অতিক্রান্ত হতে চলল, করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে এসেছে, এমন কথা বলার সময় এখনো আসেনি। এতে অর্থনীতি বিপর্যস্ত হচ্ছে। রোগে ভুগে মারা যাওয়ার পাশাপাশি অনেকে ক্ষুধায়ও মারা গেছে।

এই পরিস্থিতিতে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট নরমালসি ইনডেক্স বা স্বাভাবিকতা সূচক প্রণয়ন করেছে। আটটি উপসূচকের সাপেক্ষে তারা দেখানোর চেষ্টা করেছে, কোন দেশ কতটা স্বাভাবিকতা ফিরে পেয়েছে। ৫০টি দেশ নিয়ে তারা এ জরিপ করেছে। তবে তাতে বাংলাদেশ নেই।

২০২০ সালের মার্চ মাসে পুরো পৃথিবী এক রকম স্থবির হয়ে পড়ে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রায় সব দেশেই তখন লকডাউন চলছিল। দ্য ইকোনমিস্ট–এর হিসাব অনুসারে, স্বাভাবিকতার সূচক তখন ৩৫-এ নেমে আসে। এরপর ধীরে ধীরে এই সূচকের উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের ৩০ জুন যা দাঁড়িয়েছে ৬৬। অর্থাৎ, পৃথিবী এখনো শতভাগ স্বাভাবিকতা ফিরে পায়নি। আটটি সূচকের মধ্যে মহানগরে ট্রাফিক জ্যাম এবং মানুষের ঘরের বাইরে সময় কাটানোর সূচকের অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। অন্যান্য সূচকের তুলনায় এই সূচকের উন্নতি অনেক বেশি। তবে বিমান পরিবহন ও খেলা দেখতে যাওয়ার মতো সূচক স্বাভাবিকতা থেকে এখনো যোজন যোজন দূরে। সব দেশের অবস্থা আবার এক নয়।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, এখন পর্যন্ত কোনো দেশ স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফেরত যায়নি। ফেব্রুয়ারি মাসে চান্দ্র নববর্ষ উদ্‌যাপনের সময় চীন কিছুদিনের জন্য প্রাক্‌-মহামারি পর্যায়ে ফিরে গিয়েছিল। কিন্তু এখন তারা ৫০টি দেশের মধ্যে মাঝামাঝি পর্যায়ে আছে। সূচকে সবার ওপরে আছে হংকং। তার পরেই আছে যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া ও ইউক্রেন। মারাত্মক সংক্রামক ডেলটা ভেরিয়েন্টের আঘাতে জেরবার ভারত আছে তালিকার শেষের দিকে। সবার শেষ আছে মালয়েশিয়া।

যে আটটি উপসূচকের ভিত্তিতে এই স্বাভাবিকতা সূচক প্রণয়ন করা হয়েছে সেগুলো হলো ১. ঘরের বাইরে সময় কাটানো, ২. খুচরা কেনাবেচা, ৩. অফিস ব্যবহার, ৪. গণপরিবহন, ৫. সড়কে যানবাহন, ৬. বিমান পরিবহন, ৭. সিনেমা, ৮. খেলা দেখতে যাওয়া।

দ্য ইকোনমিস্ট বলছে, ঘরের বাইরে সময় কাটানোর দিক থেকে মানুষ প্রায় আগের অবস্থানে ফিরে গেছে। এই সূচকের মান ৯৫। মূলত উন্নয়নশীল দেশে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে সিংহভাগ মানুষ কাজ করায় তাদের ঘরের বাইরে না গিয়ে উপায় নেই। সে জন্য এই সূচক প্রাক্‌-মহামারি পর্যায়ের কাছাকাছি চলে গেছে।

এ ছাড়া কার্যালয় ব্যবহার, গণপরিবহন, সড়কে যানবাহন চলাচল—এসব সূচকের মানও ঊর্ধ্বমুখী। যথাক্রমে ৮০, ৮০ ও ৭২। অর্থাৎ, দেশের ভেতরে মানুষের চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

অন্যদিকে বিমান পরিবহন, সিনেমা ও খেলা দেখতে যাওয়ার মতো সূচকে পৃথিবী এখনো স্বাভাবিকতা থেকে অনেক অনেক দূরে। শেষ তিনটি সূচকের মান যথাক্রমে ২৯, ২৩ ও ১৭। মহামারিতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতটি হচ্ছে বিমান পরিবহন। অনেক দেশ এখনো সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নানা বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছ। এই পরিস্থিতিতে বিমান পরিবহনে ভয়াবহ মন্দা চলছে। এখনো সিংহভাগ বিমান অচল বসে আছে। এই খাতের সঙ্গে পর্যটন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বলা বাহুল্য, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতের মধ্যে পর্যটন অন্যতম। হোটেল-মোটেলও সে কারণে মন্দার কবলে। অন্যদিকে করোনার প্রভাবে খেলাধুলা গত বছর প্রায় বন্ধই ছিল। এ বছর অনেক টুর্নামেন্ট শুরু হলেও দর্শকের উপস্থিতি সীমিত করা হয়েছে। সদ্য সমাপ্ত কোপা আমেরিকা টুর্নামেন্টের কেবল ফাইনালে সীমিত সংখ্যক দর্শক উপস্থিতি ছিল।

স্বাস্থ্যবিধির কারণে মানুষের বিনোদনের জগৎ সীমিত হয়ে গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে মানুষের ঘরের বাইরে সময় কাটানোর পরিমাণ ২০ শতাংশ হ্রাস পায়। সিনেমা হল ও খেলাধুলা বন্ধ হয়ে যায়। তাতে এসব কর্মকাণ্ড একদম বন্ধ হয়ে যায়।

তবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার উপায় একটি, টিকা। এ ব্যাপারে আবার সবাই একমত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, উন্নত দেশগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি টিকা মজুত করে রেখেছে। উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলো প্রয়োজনীয় টিকা পাচ্ছে না। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সায়েমা হক একটু ভিন্নভাবে বিষয়টিতে আলো ফেলেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশের আর্থসামাজিক অবস্থার সাপেক্ষে ও অর্থনৈতিক কাঠামোর বিচারে এই চিত্র ভিন্ন হবে। বিশেষ করে উন্নত বিশ্বের সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সূচকে পার্থক্য থাকা অস্বাভাবিক নয়। এর ফলে সূচকের মানে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে। এ ছাড়া মনে রাখা প্রয়োজন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর ক্ষেত্রে জীবনযাত্রা স্বাভাবিকে ফেরত এলে ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরুদ্ধার হলেও নিম্ন আয়ের কিংবা হতদরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান এ ধরনের সূচকে অনেক সময়ই সঠিকভাবে প্রতিফলিত হয় না।

তালিকায় ষষ্ঠ থেকে দশম স্থান পর্যন্ত আছে যথাক্রমে ইউক্রেন, রোমানিয়া, ডেনমার্ক, মিসর, ইসরায়েল ও মেক্সিকো। শেষ ১০-এ আছে যথাক্রমে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইনস, আর্জেন্টিনা, ভিয়েতনাম, চিলি, ভারত, তাইওয়ান ও মালয়েশিয়া।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ: জুলাই ১৫, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ