স্পেনে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। কার্লোস ৩ স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আইএএনএসের
জুলাইয়ের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশটির বড় অংশজুড়ে তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি। আর দেশটির দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পশ্চিমে তাপমাত্রা বেড়ে ৪৫ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছেছিল।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, চলতি বছরে এটি স্পেনে দ্বিতীয় দাবদাহ। প্রথমবার ১১ থেকে ২০ জুন দাপদাহে দেশব্যাপী ৮২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, তখন তাপমাত্রা ছিল ৪৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশটির কর্তৃপক্ষ মানুষকে বেশি করে পানি পান করতে, অতিরিক্ত ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে এবং যতটা সম্ভব বাড়ির ভেতরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
চরম গরমে যুক্তরাজ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা
চরম তাপপ্রবাহের কারণে যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো চরম তাপপ্রবাহজনিত লাল সতর্কতা জারির পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।
লন্ডন, ম্যানচেস্টার, ইয়র্কসহ বিভিন্ন এলাকায় আগামী সোম ও মঙ্গলবারের জন্য লাল সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া বিভাগ। এর মানে হলো, এসব এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে এবং জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপে
তীব্র গরমে পুড়ছে ইউরোপ। বেশ কয়েকটি দেশে প্রবল বাতাস ও শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। ফ্রান্সের শহর ও গ্রামের বাসিন্দারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন। খবর বিবিসি
ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল গিরোনদে থেকে গত কয়েক দিনে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্পেন ও পর্তুগালে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর। বেশ কয়েকটি এলাকায় দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। এই দুই দেশে গত কয়েক দিনে দাবদাহে ২৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
পশ্চিম স্পেনের বেশ কিছু শহর জনমানবহীন হয়ে পড়েছে। এসব অঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুলাই ১৬, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,