( সারা-দিন অপেক্ষা করে লিখালিখির আঙ্গিনায় কোন নতুন লেখা আসলো না, কোন কারিগরী ক্রুটির কবলে পড়েছে কিনা তা নিরীক্ষা চালাতে এই লেখাটি দিলাম পাঠিয়ে যা উড়ে যা লিখালিখির আঙ্গিনায় তবে বলেছি প্রযুক্তির যত অকল্যাণকর কথা মালা)
গতকাল যা চল ছিল আজ তা থাকলেও সেটি এখন অচল বা যাদু ঘরে, নানান পরিবর্তন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে, বিশেষ করে প্রযুক্তি এবং মানুষের মন মানসিকতায়। সু নিদৃিষ্ট একটি ধারণার উপর ভর করে থাকাটা একেবারেই বোকামি, আগে মানুষ অন্য জনের প্রসংশা করতো, অন্য জনের মাধ্যমে ছবি তুলে সেই ছবি প্রিয়জনদের দেখাতো। সবাইকে সাথে নিয়ে গান শুনতো কথা বলতো গল্প করতো। এখন অনেক কিছুই একা একা কর্ম সাধন।
প্রযুক্তি নিয়ে আসছে নানান চমক ! ছবি তোলাতে এসেছে চমক, সেই সেলফি, ছবি তুলতে অন্যের সাহায্য লাগে না। মূহুর্তে সেই ছবি বিশ্ব জুড়ে বিষয়টি বেশ লোভনীয় সেই সেলফি টেক এপ্লাই করতে গিয়ে আগেই যে কখন স্বর্গে যাওয়ার ভিসা এপ্লাই করা হয়েছে তা অনেকের জানা ছিল না, সেলফি টেক এপ্লাই এর সাথে সাথে স্বর্গ টিকিটও কনফার্ম করেছে উঠতি বয়সের কয়েকজন।
আগে কান খোলা ( সাবধানে) রেখে রাস্তা, রেল-লাইন পারাপারের রেওয়াজ ছিল এখন ধরণ পাল্টিয়েছে হয় কানে বাদ্য গানের তার. বোতাম দিয়ে কান বন্দ অথবা সেল ফোন দিয়ে শক্ত করে কানে চেপে রেখে রাস্তা পারাপার ! এই টেক এপ্লাই করতে গিয়ে আগে যে কে কখন স্বর্গে যাওয়ার ভিসা এপ্লাই করেছে তা অনেকেরও জানা ছিল না, সেল ফোন টেক এপ্লাই এর সাথে সাথে স্বর্গ টিকিটও কনফার্ম করেছে উঠতি বয়সের কয়েকজন।
আগে দূরের ঢাক-ঢোলের শব্দে কার না হৃদয় বিমোহিত হয়েছে !! আর দূরের বাঁশির সুরে কার না মনে প্রেম বাসা বেঁধেছে ! অনেকেরই এমন হয়েছিল !
এখন দিন বদল ! অন্যের কথা, গান, বাঁশি, ছবি কিছুই আর ভালো লাগে না। শুধু নিজের কথা, নিজের সুখের কথা, নিজ আনন্দ ধারার কথা প্রকাশ করতে কার না ভালো লাগে !! দুই চার লাইন লিখে সহজে তোলা ছবি জোড়া লাগিয়ে শুধু নিদৃিষ্ট জায়গায় টিপ দিলেই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে ! এই আনন্দ ধারা থেকে নিজেকে বিরত রেখে অন্যের কথা, গান, বাঁশি, ডিজিটাল ছবি, ভিডিও দেখতে কি ভালো লাগে !! বা সময় আছে !
নিজেই তো দুই চার লাইন লিখে ডিজিটাল ছবি জোড়া লাগিয়ে শুধু নিদৃিষ্ট জায়গায় টিপ দিলেই ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে ! আমার তো এই সব নিয়েই বিজি থাকার কথা।
তবে সামাজিক মাধ্যমটি সাধারণত সরাসরি স্বর্গ টিকিট কনফার্ম করে না হয় তো, তবে কারো হৃদয় দহন করে, কারো গৃহ দহন করে আবার অনেকে মনের দুঃখে স্বর্গ টিকিটও কনফার্ম করে।
সামাজিক মাধ্যমটির অনেক কল্যাণকর দিক আছে বলে সারা বিশ্ব জুড়ে এর নানান খ্যাতি। দূরকে করেছে কাছে আবার কাছের মানুষকে রেখেছে দূরে।
এই সবের পরিবর্তন আসবে, আসবে অন্য ধারা তবে সেই পরিবর্তন কি নিয়ে আসবে তা বলাটা আমাদের কল্পনার বাইরে।
রেটিং করুনঃ ,
নিরীক্ষা সফল হয়েছে আর লেখাটি খুব নিরাপদে লিখালিখির আঙ্গিনায় অবতরণ করেছে- তবে নিরীক্ষা চালানো উদ্দ্যেশ্য ছিল না আসল রহস্য ফাস করে দেই এবার। ঠিক এখন আমার নিচের লেখাটি নাহার আপার আর লেখাটি অটো ষ্টিকি বা নির্বাচিত পোষ্টের জায়গা দখল করে ছিল প্রায় ২৪ ঘন্টা ভাবলাম আরও ২৪ ঘন্টার এই সুযোগ তো দেওয়া যায় না, তাই এই কূট চাল। অবশেষে সফল হলাম নাহার আপার অটো ষ্টিকি বা নির্বাচিত পোষ্টটির জায়গা এখন আমার দখলে আর আশা করছি আমিও ২৪ ঘন্টার মত অটো ষ্টিকি বা নির্বাচিত পোষ্টের সুবিধা নিয়েই ঘরে ফিরব। সবাই দোয়া করবেন।
এখন তো দেখছি আমাকেই জবাব দিতে বলছে মন্তব্য কলাম ঠিক আছে জবাবে লিখলাম কি আর করা আলোচিত সাত দিন সেখানে নাহার আপার লেখা সবার শীর্ষে, সর্ব্বাধিক পঠিত সাত দিন সেখানেও নাহার আপার লেখা সবার শীর্ষে। আবার সর্ব্বাধিক পঠিত একমাস সেখানেও নাহার আপার সব লেখাগুলি জায়গা দখল করে রেখেছে।
ঈর্ষা জাগে নি, তবে বুঝার চেষ্টা করছি লেখায় কি যাদু থাকলে লেখক এতো জনপ্রিয় হয়ে উঠে !!
রাব্বানী ভাই, আমার লেখা সারাদিন স্টিকি হয়ে রইলো, কিন্তু আমিই বুঝলাম না!! ‘সঞ্চালক নির্বাচিত’ বা ‘নির্বাচিত’ কিছুই যে লেখা ছিল না!! :)
জ্বী আপা, কোন লেখা পোষ্ট যখন সব লেখার শীর্ষে আধা দিন বা একদিন থাকে তাকে অটো ষ্টিকি বা অটো নির্বাচিত পোষ্ট হিসাবে ধরে নিতে হয়।
এটিও একটি সৌভাগ্যের চাবি কাঠি।
হায় হায় এ সব কি বললেন রব্বানী চৌধুরী দাদা ভাই, আমি তো ছুটির প্রায় সারা দিনই ছিলাম লিখালিখিতে এমন কূট চাল সবার আগে আমার মাথায় আসার কথা ছিল।
দিনে দিনে দেখছি কেমন যেন সরল আর বোকা বোকা হয়ে যাচ্ছি,
পথের পথিক আমি, কত কিছু লেখার থাকে আমার ! কোন একটা লেখা পোষ্ট করাকে কি বড় বিষয় মনে করলেন !!
ঠিক আছে পথিক ব্রাদার, আপনার অনেক কিছু লেখার বিষয় আছে এবং লিখেও থাকেন তবে বিষয়টি হচ্ছে সুযোগ হাতে আসে না, সুযোগকে কাজে লাগাতে হয়।
আজ সারাদিনে একটাও লেখা আসেনি।
ব্যাপারটা আমিও খেয়াল করেছি সারাদিন!!
খটকা আমারও লেগেছিল!!!
সমস্যা তাহলে হয়নি!! :)
খুব সহজে লিখালিখিতে কোন কারিগরি ক্রুটি হওয়ার কথা নয় আমাদের টেক পারসন অনেক দক্ষ এটি আমার মতে, তিনি প্রতি নিয়ত উন্নয়ের কাজ করে যাচ্ছেন।
ফেইসবুকে একবার মন্তব্য করেছি এই লেখা নিয়ে।
এখানেও হাজিরা মন্তব্য দিতে এলাম।
এইখানে এটাই আমার প্রথম মন্তব্য।
প্রযুক্তি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে কিন্তু এর অপব্যবহার কেড়েও নিচ্ছে অনেক কিছু।
ছোট পরিসরের হাঁটি হাঁটি পায়ে চলা এই লিখালিখি এর আঙ্গিনায় এই প্রথম স্বাগত জানাতে পেরে আমি গর্বতি।
এইখানে এটাই আমার প্রথম মন্তব্য।
এটি আমার জন্য একটি বড় পাওয়া ও সৌভাগ্যের বিষয়ও। যা লিখা থাকবে ডাইরীর পাতায়।
মাঝে মাঝে কয়েকজন লেখকের লেখায় দু্ই একটি মন্তব্য করে গেলেই ধরে নিবেন যে লিখালিখি কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার অবদান অনেক। কোন কিছুর শুরুতে থাকে নানা সমস্যা আর প্রথম ভাগে যারা থাকেন তারা চিরদিনেই থাকেন নাবিকের ভূমিকায়।
নতুন ব্লগে স্বাগতম ফেরদৌসা!!
তোমার লেখার ঝাঁপি নিয়ে চলে এসো!! :)
@ রাযহাস ফেরদৌস রুহী
লিখালিখি র ভুবনে আপনাকে স্বাগতম
আপনার লেখা কবে পাব সেই অপেক্ষায় আছি অনেক দিন।
@ ফেরদৌস রুহী
আপা, আমি পথিক, পথে পথে চলাই আমার প্রধান কাজ, শুধু মন্তব্য ঘর থেকেই বুঝলাম আপনি সবার কত প্রিয় এবং জনপ্রিয়, মনে হচ্ছে আপনার একটি মন্তব্যই পুরো লিখালিখির আঙ্গিনাকে আলোকিত করে রেখেছে।
অনুমানে নেই আপনার একটি লেখা পেলে লিখালিখির আঙ্গিনায় আসলে কী রূপ ধারণ করবে ! দাবি রেখে গেলাম আপনার একটি লেখা লিখালিখির আঙ্গিনায়……..।
:yes: :deadrose:
ঠিকই ধরেছি আপনার মনের কথাই বলে ফেলেছি।