চলার পথে পথে নানান কথা………পর্ব ০৯ – নয়
চলার পথের একজন লেখক হয়ে যদি কোথাও লিখে ফেলি বা বলি “সামাজে অন্যায় বাড়ার সাথে সাথে গরীবের পন্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়” তখন উদ্ধৃত বাক্যটি হয় একটি অর্থহীন বাক্য।
অন্যদিকে বিখ্যাত একজন লেখক যদি কোথায় লিখেন বা বলেন যে “সামাজে অন্যায় বাড়ার সাথে সাথে গরীবের পন্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়” তখন এ কথাটি একটি বিখ্যাত লেখা বা বাণী হয়ে যায়।
সামাজে অন্যায় বাড়ার সাথে সাথে গরীবের দ্রব্য পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে এটি চির কালের কথা, নতুন করে বলার কিছু নেই, শায়েস্তা খানের আমলে টাকায় আট মন চাল পাওয়া যেত এখন এক টাকায় হাতে গোনা কয়েটি চাল পাওয়া যায় আবার এখন টাকায় হাতে গোনা ছয় সাতটি ভাজা বাদাম পাওয়া যায়। আর কিছু দিন পরে টাকায় একটি করে বাদাম পাওয়া যাবে।
আগে সমাজে হাতে গোনা কয়েকটি অন্যায় হয়তো খুঁজে পাওয়া যেত সে জায়গায় এখন আমাদের সমাজে অন্যায়ের পরিমান আট বস্তায় যতটি চাল পাওয়া যায় অন্যায়ের পরিমান তার চেয়ে কিছু বেশি বা কম !
আলোচ্য বিষয়টি অর্থনীতি ও সামাজিক তালিকায় পড়ে আর অর্থনীতি বা সমাজনীতি নিয়ে আমার ভাবা হয় না সেই সাথে এই বিষয় দুইটির উপর তেমন কোন জ্ঞান এবং অবদানও নেই, তবে অনুমান করতে পারি বড় বড় অন্যায় তৈরী করতে প্রয়োজন অর্থের যেমন সমাজের একজন গন্যমান্য বা একজন সাধারণ মানুষকে হত্যা করতে, প্রতিপক্ষ্যের ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিতে, পাড়ায় মহল্লায় গ্রামে সংঘর্ষ বাঁধাতে আর এসব কারণে যখন অর্থ ব্যয় হয় তখন সামাজে অন্যায় বাড়ে, সমাজ বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে কিছু ধনীক শ্রেনীর জন্ম হয় তাদের দৈনন্দিন চাহিদা মিটাতে গিয়ে একদিকে যেমন দ্ররিদ্য শ্রেনীর ব্যপক প্রসার ঘটে তেমনি গরীবের দ্রব্য পন্যের মূল্য বৃদ্ধি পেতে থাকে অথবা ক্রয় ক্ষমতা তাদের নাগালের বাইরে চলে যায়।
গরীবের নিত্য পন্যের মূল্য হ্রাস পেলে বিশৃঙ্খল সমাজের হঠাৎ গড়ে উঠা ধনীক শ্রেনীর ব্যবসায়ের ক্ষতি হয় তাই তারা সমাজে অন্যায় বাড়িয়ে দ্রব্য মূল্য বাড়াতে থাকে, সমাজে যতই অন্যায় বৃদ্ধি পাবে ততই গরীব মানুষ কোন ঠাষা হয়ে পড়বে প্রতিবাদের ক্ষমতা হারাবে বিশৃঙ্খল সমাজের হঠাৎ গড়ে উঠা ধনীক শ্রেনীর ব্যবসায় জুত সই হবে। চির দিনের গরীব মানুষ শোষণের পন্য হয়েই থাকবে যদি সমাজে অন্যায় না কমে।
রেটিং করুনঃ ,