আজ বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে। এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঘের শুরুতে এ জেলার মানুষ তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে। সপ্তাহখানেক আগে নেমেছিল বৃষ্টি। বৃষ্টির পরেই বইছে ঠান্ডা বাতাস, রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরছে কুয়াশা। কুয়াশার প্রভাবে অনেক বেলা পর্যন্ত দেখা মিলছে না সূর্যের।
দিনাজপুর আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। এখানে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় চার–পাঁচ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮-১০ কিলোমিটার।
হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সন্ধ্যা নামার সঙ্গেই ঘরমুখী হয়ে পড়ে মানুষ। দোকানেও বিক্রি কমেছে। কালিতলা এলাকার চা বিক্রেতা আজাদ বলেন, সন্ধ্যার পরেই বেশি বিক্রি হয় তাঁর। এবার শীতের শুরুতে চায়ের পাশাপাশি দোকানে সেদ্ধ ডিম বিক্রি শুরু করেছেন। অন্যান্য সময় প্রতিদিন গড়ে চার শ থেকে সাড়ে চার শ কাপ চা বিক্রি করতেন। ঠান্ডায় লোকজন না থাকায় এখন ২০০ কাপ চা–ও বিক্রি হয় না।
প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। গোপালগঞ্জ এলাকার মো. শাহরিয়ার বলেন, ‘কয়েক দিন মানুষের আলুখেতত আলু তুলি বেড়াইনু। দুই দিন থাকি কাজত যাওয়া যাছে নাই। সকালত খুব ঠান্ডা পড়েছে। হাত–পার কোকড়া লাগি যাছে।’
সূত্রঃ প্রথম আলো।
তারিখঃ জানুয়ারী ১৯, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,