Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

সরানো হবে ইউপি চেয়ারম্যানদেরও বেশির ভাগ চেয়ারম্যান পলাতক, সেবা থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ (২০২৪)

Share on Facebook

লেখক: সাব্বির নেওয়াজ ।

ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরও সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্বের পদ ছেড়ে দেশ থেকে পালানোর পর সাড়ে ৪ হাজার ইউপি চেয়ারম্যানের মধ্যে বেশির ভাগই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। স্থানীয় সরকার বিভাগের তথ্য বলছে, এই সংখ্যা ৩ সহস্রাধিক। এই পটভূমিতে জনগণ সেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানদেরও অপসারণের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। শিগগিরই সারাদেশের ইউপি চেয়ারম্যানদের অপসারণের জন্য একটি খসড়া প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য আগামী উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হতে পারে।

সরকার পতনের পর মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়র, জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়। জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

সর্বশেষ ২০২১ সালে নূরুল হুদা কমিশন ৪ হাজার ৫০১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করে। ১৯৫ ইউনিয়ন পরিষদের ভোটের তপশিল ঘোষণার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ২৪ জুলাই ওই নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে। এ ছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেওয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবেন। তবে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি বা দণ্ডিত হলে কিংবা পরিষদের স্বার্থপরিপন্থি কাজ করলে চেয়ারম্যানকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে সরকার। এ ছাড়া দুর্নীতি, অসদাচরণ বা নৈতিক স্খলনজনিত কোনো অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদের অপসারণের সুযোগ রয়েছে।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ বহাল রেখে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বিএনপি। দলটি হাসিনা সরকারের আমলের ইউনিয়ন পরিষদ বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছে। প্রহসনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদ গঠন করে পতিত সরকারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাতে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি নেতারা এসব কথা তুলে ধরেন।

গত শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার সব পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত রাখতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো যথাযথ কর্তৃত্ব, জনবল, আর্থিক সামর্থ্য ও ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে স্থানীয় জনগণকে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার মুখোমুখি হয়। বিশেষত ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা অত্যন্ত প্রকট।

এ ব্যাপারে সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান সমকালকে বলেন, কয়েক বছর ধরে এমন সব নির্বাচন হয়েছে, যা নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর মানুষ এখন ক্ষোভ দেখাচ্ছে। তাদের অপসারণ চাচ্ছে। এটা বাস্তবায়ন করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব।

এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন খোলা থাকলেও অনেক স্থানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পরিষদে যাচ্ছেন না। যেসব ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান রয়েছেন, সেখানে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গত সোমবার নীলফামারীর ডোমারের পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। সারাদেশের বেশ কিছু জেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে মিছিল ও পরিষদ ঘেরাও কর্মসূচিও চলছে।

ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান কলেজছাত্র ইমন। এই হত্যা মামলায় মির্জাপুরের পাঁচ ইউপি চেয়ারম্যানকে আসামি করা হয়েছে। এর পর থেকে চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে চলে যান। এখন তারা ইউনিয়ন পরিষদে না গিয়ে গোপন স্থান থেকে কাজকর্ম সারছেন। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৮ নম্বর কাওয়াকোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পালিয়ে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনের সময় স্থানীয় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এর পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন উপজেলার ছয় চেয়ারম্যান।

এদিকে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের ১১টি ইউনিয়নের সব চেয়ারম্যানই মামলার আসামি হয়ে পালিয়েছেন। সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বাজিতপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ কারণে চেয়ারম্যানদের কেউ কেউ পলাতক, কেউ কেউ এলাকায় থাকলেও অফিস করছেন না বলে জানিয়েছেন বাজিতপুরের ইউএনও ফারশিদ বিন এনাম। বরিশালের আগৈলঝাড়ার পাঁচটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সবাই পলাতক।

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পালিয়ে আছেন। সুনামগঞ্জের ছাতকের কালারুকা ইউপি চেয়ারম্যান অদুদ আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন। মাগুরার মহম্মদপুরের বিনোদপুরের ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার মিজানুর রহমান নিজ দলের সাধারণ সম্পাদকের করা চাঁদাবাজি মামলার কারণে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ইউপির দাপ্তরিক কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রতিনিধিরা)

সূত্র:সমকাল।
তারিখ: অক্টোবর ০২, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ