Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

সমাজে কমেছে জ্ঞানের কদর সাক্ষাৎকারে ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

Share on Facebook

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। শিক্ষাবিদ, লেখক ও মননশীল পত্রিকা নতুন দিগন্ত-এর সম্পাদক। স্বাধীনতার ৫০ বছরে আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের অর্জন-অপ্রাপ্তি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান।

উন্নতি যত হয়েছে, আয়বৈষম্য ততই বেড়েছে।

দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে।

শোষণ ও শাসন বেড়েছে।

সমাজে কমেছে জ্ঞানের কদর।

পুঁজিবাদ মানুষকে মুনাফালিপ্সু করে তুলেছে।

জ্ঞানের সামাজিক অনুশীলন দরকার।

গণমাধ্যম ভিন্নমতকে প্রকাশের সুযোগ দেয় না।

প্রথম আলো: স্বাধীনতার ৫০ বছরে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে আমার অনুভূতিটা ছিল এই রকমের যে আমরা একটি মারাত্মক মরণব্যাধি থেকে মুক্ত হলাম। পরে প্রতিটি বছরে জিজ্ঞাসা জেগেছে, রোগ থেকে তো মুক্ত হলাম, কিন্তু তাই বলে কি সুস্থ হয়েছি? সুবর্ণজয়ন্তীতে এসে মনে হচ্ছে, আমরা পুরো সুস্থ হয়ে উঠতে পারিনি।

যে প্রত্যয় নিয়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল, তা থেকে যদি বাংলাদেশ দূরে সরে এসে থাকে, তার পেছনে কি লেখক-বুদ্ধিজীবীদের কোনো দায় নেই?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: লেখক-বুদ্ধিজীবীরাও দায়ী। অনেকেই বলেননি এবং এখনো বলছেন না যে আমরা স্বপ্নের বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছি না। বললেও বলেছেন মৃদু কণ্ঠে। স্বপ্নটা ছিল একটি যথার্থ গণতান্ত্রিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ছিল সম্পদের ব্যক্তিমালিকানার জায়গায় সামাজিক মালিকানা প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে বেগবান করার। লেখক-বুদ্ধিজীবীদের দায়িত্ব ছিল এই অগ্রযাত্রার জন্য সাংস্কৃতিক প্রস্তুতিতে সাহায্য করা। সেটা তাঁরা করেননি।

ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, দেশের প্রভূত উন্নতি হয়েছে। কী বলবেন।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: উন্নতি অবশ্যই হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এ–ও মানতে হবে যে উন্নতি যত হয়েছে, আয়বৈষম্য ততই বেড়েছে। দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়েছে। কর্মসংস্থান তেমন বাড়েনি। শোষণ ও শাসন বেড়েছে। দেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে যে আশা ১৯৭১ সালে ছিল, সেটা ক্রমাগত কমেছে।

আমরা নতুন দেশ গড়লাম, নতুন সমাজ কেন গড়তে পারলাম না? সমাজ পরিবর্তনের কাজটা সমাজতান্ত্রিক দেশেও খুব এগোল না।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে সমাজতন্ত্রের যে পতন ঘটেছে, এর প্রধান কারণ পুঁজিবাদের দৌরাত্ম্য। পুঁজিবাদ ফ্যাসিবাদের রূপ নিয়েছে। টিকে থাকার জন্য যত রকমের তৎপরতা ও কৌশল গ্রহণ সম্ভব, সব করছে। বিশেষভাবে কাজে লাগিয়েছে মিডিয়াকে। সমাজতন্ত্র ব্যক্তিস্বাধীনতা দেয় না, মিডিয়া এই মিথ্যা জোর দিয়ে প্রচার করেছে। সেই সঙ্গে ভোগবাদকে বৈজ্ঞানিক করে তুলেছে। ইন্টারনেট ও ফেসবুক মানুষের সঙ্গে মানুষের বিচ্ছিন্নতাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। হতাশা ও মাদকাসক্তি ছড়িয়ে দিয়েছে। সবকিছুকে, এমনকি চিকিৎসা ও শিক্ষাকেও পণ্যে পরিণত করেছে। মানুষকে মুনাফালিপ্সু করে তুলেছে। পুঁজিবাদের দৌরাত্ম্যের কারণেই বাংলাদেশে আমরা নতুন সমাজ ও রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারিনি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আরও একটা ব্যাপার ঘটেছে। সেটা হলো জ্ঞানচর্চার দুর্বলতা। জ্ঞান কেবল বই থেকে আসে না, আসে অভিজ্ঞতা থেকেও। সামাজিক বিপ্লবের জন্য মানুষের অসন্তোষ এবং সচেতনতা দুটোই প্রয়োজন। সমাজ ও রাষ্ট্র বদলাতে হলে সামাজিক বিপ্লব চাই। শ্রেণিসচেতনতা না বাড়লে সামাজিক বিপ্লব ঘটবে না। তার জন্য জ্ঞানের সামাজিক অনুশীলন আবশ্যক।

নতুন প্রজন্মের মধ্যে মুক্তচিন্তা ও মননশীলতার প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। আবার তাদের একাংশের মধ্যে পশ্চাৎপদ চিন্তাচেতনাও কি লক্ষ করা যাচ্ছে?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: বাস্তব সত্যটা হলো, মানুষ ভাগ হয়ে গেছে। অনেকেই হতাশ। হতাশা থেকে আসে আত্মসমর্পণ। আত্মসমর্পণকারীরা হয় অবসাদে পড়ে ও অন্ধকারের দিকে ছোটে, নয়তো নানা ধরনের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। অপরাধপ্রবণতা বাড়ে। সহিংসতা দেখা দেয়। সামাজিকভাবে সংস্কৃতির চর্চা নেই। আলোচনা নেই। বিতর্ক দেখা যায় না। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমান্বয়ে খর্ব হয়ে আসছে। প্রকাশের সুযোগ না থাকলে চিন্তাশক্তি বিকশিত হয় না। এর মধ্যে মননশীল পত্রিকার প্রতি আগ্রহী হওয়াটা সহজ নয়। ভালো দৃষ্টান্তেরও অভাব। আগ্রহ যে বাড়ছে সেটাই আশার কথা। ভরসাও ওই তরুণদের ওপরই, যারা আত্মসমর্পণ করছে না।

আপনি আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, সমাজে জ্ঞানের চর্চা কমে আসছে। আপনি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে সারাটা জীবন কাটালেন, সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কতটা জ্ঞানচর্চা ও জ্ঞান সৃজন হচ্ছে?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: হ্যাঁ, জ্ঞানের চর্চা কমছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েও জ্ঞানের সৃজনশীল চর্চা আশাপ্রদ নয়। দোষটা যে কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের তা কিন্তু নয়। জ্ঞানের কদর সমাজে কমেছে। জ্ঞানে কাজ হয় না, কাজ হয় টাকায়। জ্ঞানী লোকদের সম্মান নেই, টাকাওয়ালাদের আছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়কে তো পথপ্রদর্শন করতে হবে। জ্ঞানচর্চা কিন্তু একাকী করা যায় না, সমবেত উদ্যোগের দরকার পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই উদ্যোগে কেবল শিক্ষকদের নয়, ছাত্রদেরও যুক্ত করা চাই। তার জন্য চাই সাংস্কৃতিক জীবন। আইয়ুব খান যখন সামরিক শাসন জারি করেন, তখন তাঁর চেষ্টা ছিল শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত ছাত্র সংসদের কার্যক্রম থেকে সরিয়ে রাখা। তিনি পারেননি। বাংলাদেশ যখন এরশাদের সামরিক শাসন থেকে মুক্ত হলো, তারপর থেকে কিন্তু দেখা গেল, ছাত্র সংসদের নির্বাচন বন্ধ। জ্ঞানের চর্চার বিঘ্ন ঘটার আরেকটি কারণ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ওই কাজকে উৎসাহিত না করা। গবেষণা ও প্রকাশনাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। অত্যাবশ্যক ছিল অনুবাদের কাজকে এগিয়ে নেওয়া।

সীমিত আকারে হলেও ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলে বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ঘটেছিল। কিন্তু স্বাধীনতার পর সমাজে কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ ঘটল না কেন?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণটা ঘটে মধ্যবিত্ত শ্রেণির চেষ্টাতেই। ব্রিটিশ আমলে এবং পাকিস্তান আমলেও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে অসন্তোষ ছিল। রাষ্ট্রকে অনেকেই শত্রু মনে করত। বাংলাদেশ আমলে রাষ্ট্র আর বিদেশিদের হাতে নেই, মধ্যবিত্তের একাংশ সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, অন্য অংশ হতাশ ও নির্জীব হয়ে পড়েছে। যারা সুযোগ-সুবিধা পেয়েছে, তারা নিজেদের সুবিধাগুলো বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে উৎসাহিত না করে খর্ব করা হয়েছে। ভিন্ন মতপ্রকাশের তো বটেই, প্রশ্ন করারও সুযোগ কম। টেলিভিশন চলে বিজ্ঞাপনের জোরে। সেখানে জ্ঞানের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত কমছে। সর্বোপরি পুঁজিবাদের নগ্ন উৎপাত মানুষকে যেভাবে মুনাফালিপ্সু করে তুলেছে, ততটা আগে কখনো ঘটেনি। বুদ্ধিবৃত্তির চর্চায় তো মুনাফা নেই, উল্টো ঝুঁকি রয়েছে।

আপনি এর আগে এ–ও বলেছিলেন, যা চিন্তা করেন নির্দ্বিধায় বলতে পারেন না। কিন্তু যে পরিবেশে বলা যায়, সেই পরিবেশ তৈরি হচ্ছে না কেন?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: পরিবেশ তো এমনি এমনি তৈরি হয় না, তার জন্য সংগঠিত ও ধারাবাহিক চেষ্টার প্রয়োজন। মূল সমস্যাটা রাজনৈতিক। রাজনীতিতে গণতন্ত্র বেশ বিঘ্ন অবস্থাতেই রয়েছে। গণতন্ত্র সংকুচিত হলে চিন্তা প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব হবে। বিদ্যমান রাজনীতির মূলধারাটা বুর্জোয়া সমাজব্যবস্থারই প্রতিফলন। এ রাজনীতিতেও দুটি পক্ষ থাকে, তাকে দুপায়ে হাঁটতে হয়। তেমনটা তো দেখা যাচ্ছে না। পরিবেশ তৈরির কাজটা বুদ্ধিজীবীরা আলাদাভাবে করতে পারবেন না। তার জন্য রাজনীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে। সে দায়িত্ব গোটা সমাজের।

বাংলাদেশের বামপন্থার দুরবস্থার জন্য দায়ী কে?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: নেতৃত্ব দায়ী, বিভাজনও দায়ী। আমরা একটি অত্যন্ত পশ্চাৎপদ হতদরিদ্র জনপদের বাসিন্দা। আমাদের জ্ঞানচর্চাতেও আছে দারিদ্র্য। জ্ঞান ছাড়া তো বামপন্থী আন্দোলন এক পা–ও এগোতে পারে না। আর দায়ী আন্দোলনকারীদের পেটিবুর্জোয়া চরিত্র। মেহনতি মানুষের সঙ্গে একাত্ম হওয়াটা উপযুক্ত পরিমাণে ঘটেনি। জাতীয়তাবাদীরা মেহনতিদের ব্যবহার করেছে, বামপন্থীরা তাদের সমাজ–বিপ্লবের আন্দোলনে নিয়ে আসতে পারেনি, পেটিবুর্জোয়া আত্মসচেতনতা প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঙ্গে ছিল স্বাবলম্বী হওয়ার মতো মেরুদণ্ডের অভাব, যে জন্য বামপন্থীরা মস্কোপন্থী ও চীনপন্থী হয়েছেন, নিজেদের সমাজ ও রাষ্ট্রের স্বভাব-চরিত্র অনুধাবন করতে পারেননি। প্রধান দ্বন্দ্ব যে কোনটা, তা-ও সঠিকভাবে চিহ্নিত হয়নি। পেটিবুর্জোয়া চরিত্রের বেষ্টনী থেকে না বেরোতে পারার দরুন তাঁরা উপযুক্ত মাত্রায় বিপ্লবী না হয়ে নানা দলে-উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। একাংশের মধ্যে সুবিধাবাদিতাও দেখা দিয়েছে।

কোনো দেশে গণতন্ত্র, বাক্‌স্বাধীনতা ও মানবাধিকার খর্ব হলে সাধারণত লেখক-বুদ্ধিজীবীদের এগিয়ে আসতে দেখা যায়। আমাদের এখানে তা হলো না কেন?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী সুবিধাবাদিতায় মুখ গুঁজেছেন। তাঁরাই এখন প্রধান, তাঁরাই আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও বিজ্ঞাপিত। অন্যরা কমবেশি ভীত। তা ছাড়া এগিয়ে আসার জন্য যে প্রকাশমাধ্যম প্রয়োজন, তা-ও নেই। গণমাধ্যম বলতে যা বোঝায়, তা বিদ্যমান ব্যবস্থার সংরক্ষণে ব্যস্ত, ভিন্নমতকে তারা প্রকাশের সুযোগ দেয় না, কেউ কেউ পারে না।

বিশ্বব্যাপী কর্তৃত্ববাদী শাসনের প্রবণতা আরও ভয়ংকর রূপ নিয়েছে। উত্তরণের কোনো উপায় কি দেখছেন?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: উপায় অবশ্যই আছে এবং সেটা লুকানোর জিনিস নয়। উপায় হচ্ছে সামাজিক বিপ্লব ঘটিয়ে পুঁজিবাদকে বিদায় করে দেওয়া। কাজটা প্রতিটি দেশেই ঘটবে। পুঁজিবাদীরা বিশ্বযুদ্ধ বাধানোর চেষ্টা করে থাকে, ভবিষ্যতে যা দেখা দেবে তা বিশ্বযুদ্ধ নয়, গৃহযুদ্ধ। কোনো একটা দেশে নয়, সব দেশে। খোদ আমেরিকার গণতন্ত্রের প্রাণকেন্দ্র যে ক্যাপিটল ভবন, সেখানে বাইরের লোকেরা নয়, আমেরিকার প্রতিক্রিয়াশীল লোকেরাই আক্রমণ চালাল। কর্তৃত্ববাদী শাসন যাকে বলছি, সেটা কিন্তু পুঁজিবাদী শাসনেরই একটা রূপ।

আপনারা অর্থনৈতিক ব্যবস্থা বদলের কথা বলছেন। রাজনীতি না বদলালে তা কি আদৌ সম্ভব?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: রাজনীতি যদিও অর্থনীতির নির্দেশেই চলে, কিন্তু অর্থনীতির পরিবর্তন আনাটা হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দায়িত্ব। কারণ, রাষ্ট্রই পাহারা দিচ্ছে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে। পাহারাটাকে বদলাতে হলে রাষ্ট্রকে বদলাতে হবে। সেটা অবশ্যই একটি রাজনৈতিক আন্দোলনের ভেতর দিয়ে ঘটবে। কিন্তু সমাজ-বিপ্লবের রাজনৈতিক আন্দোলন সফল হবে না, যদি না উপযুক্ত সাংস্কৃতিক প্রস্তুতি থাকে।

প্রথম আলো: ভবিষ্যতের বাংলাদেশ নিয়ে আশা দেখছেন, না পুরোটাই হতাশা?

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: অবশ্যই আশাবাদী। সেটা কেবল ব্যক্তিগত স্বভাবের কারণে নয়, এ কারণেও যে সমাজ পরিবর্তনের বস্তুগত শর্তগুলো পূরণ হচ্ছে, মানুষ কেবল যে অসন্তুষ্ট, তা নয়, অধিকাংশ মানুষই বিদ্যমান ব্যবস্থার বিপক্ষে, নতুন ব্যবস্থার পক্ষে। মানুষ সচেতন হচ্ছে। বিশেষ করে, তরুণদের ভেতর সচেতনতা বাড়ছে। তাদের বিভ্রান্ত ও বিপথগামী করার বহু আয়োজন রয়েছে, কিন্তু তার মধ্যেও বহু তরুণ বুঝতে পারছে যে বিদ্যমান ব্যবস্থায় তাদের মুক্তি নেই। তরুণেরাই কিন্তু একাত্তরে যুদ্ধ করেছে এবং সবদিক দিয়ে সুসজ্জিত ও সুসংগঠিত মস্ত বড় একটি হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে। এটা তো মিথ্যা নয় যে জীবন পরাজয় মানে না এবং বাঁচার জন্য প্রধান শক্তি হচ্ছে বিরূপ পরিবেশের কাছে আত্মসমর্পণ না করে যুদ্ধে থাকা। ওই যুদ্ধ চলছে এবং চলবে। জীবন জয়ী হবে।

সূত্র: প্রথম আলো
তারিখ:ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ