অর্থ লোভ অতঃপর অর্থ উপার্জন তবে এই অর্থ উপার্জন বৈধ ও কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে নয়, নিজস্ব বিবেককে বিসর্জন দিয়ে অর্থ আয় অতঃপর হিতাহীত জ্ঞানের বিলপ্তি, মানবিক গুনাবলির প্রস্থান, নিজে নিজের জন্য ভয়ংকর সব পথ তৈরী করে রাখা। এক ধরণের মানুষের জন্য এমন ধারা তৈরী হয়ে আছে বা তৈরি করেছেন অনেকেই।
অপরাধের তালিকা মাত্রার হার উর্ধ্ব গতিতে। অপরাধাগুলি জমা হতে হতে ধারণের বাইরে চলে যাওয়ার কারণে হঠাৎ বিস্ফোরণ। এটি সমাজের বেশ স্বাভাবিক একটি ধারায় রূপ নিয়েছে।
অপরাধ যখন চুড়ান্ত তখন শৃঙ্খলা বাহিনীর আগমন, গ্রেফতার, জবান বন্দী প্রদান অবশেষে জেল ও প্রাপ্য শাস্তি ভোগ। প্রাপ্য শাস্তি ভোগের বিনিময়ে সমাজে যদি কোন ক্রিয়া বা প্রতিক্রিয়ার উদ্ভব হলে সমস্য ছিল না।
বড় সমস্য ও চিন্তার বিষয়টা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে তখনই যখন শাস্তি জেল, যাবত জীবন কারা ভোগ কিম্বা মৃত্য-দন্ড কোন কিছুই যেন মানুষকে শিক্ষা দিতে পারছে না, মানুষও কোন শিক্ষা গ্রহন করছে না।
অবৈধ আয়কে কেন্দ্র করে সমাজে যত অপরাধ বোধ হয় তা সম্পত্তি দখল, নারী নির্যাতন, অবৈধ কর্মকান্ড এর সবকিছুর মূলে অবৈধ আয়ের বাসনা চেষ্টা ও অগ্রগতি।
যে বা যারা এই অবৈধ আয়ের পথে যাত্রা শুরু করেছে তাকে আর থামিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না অবৈধ চিন্তাশীলরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে ক্রমশঃ শক্তিশালী হয়ে।
অধিক বিলাসীতা, যশ, খ্যাতি লাভের বাসানাকে দমন না করা গেলে অবৈধ আয়ের বাসানা আরও মারাত্মক ভাবে মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে সাথে সমাজের কাঠামো ধরে রাখা বড় দুষ্কর হয়ে যাবে।
তারিখঃ অক্টোবর ২৫, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,