অনেক বার তোমাকে দেখেছি যে ভাবে সদ্য মাতৃত্বের ছোঁয়া পাওয়া
নিজ সন্তানকে অপলক দৃষ্টিতে পরখ করতে থাকে,
শুধু সন্তান পরিচয়ে।
না পুত্র, না কন্যা!
যখন তার মনকে জানান দেয়
এক স্বর্গীয় দূত এসেছে আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে
আর ঠাঁই নিয়েছে তার কোলে।
এখন সে মা সন্তানকে সুক্ষ্য ভাবে পরখ করার শুধু
একাই সে দাবিদার।
অনেক বার দেখার পরে কোন এক ক্ষণে
যখন এক স্বর্গীয় দূত হয়ে এসেছো আমার হৃদয়ে
আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে আর ঠাঁই নিয়েছো হৃদয়ের সু-উচ্চ তলায়,
তখন থেকে নতজানু হয়ে
শুধু তোমাকে পরখ করে চলেছি তোমার সৌন্দর্য ভান্ডার !
কঠিন বিশ্ময়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে বার বার জানতে চেয়ে
বড় শ্রান্ত হবার পরও যেন সজীবতা নিয়ে বার বার
জানতে চেয়েছি জগতের সকল সৌন্দর্য কেন তোমাকেই দিয়েছে,
বাকি নারীরা কেন বঞ্চিত !
তবে বুঝেছি সুক্ষ্য ভাবে তোমাকে পরখ করার
শুধু একাই আমি দাবিদার।
এক নিবিষ্ট মনে প্রার্থনার ভঙ্গিতে জানতে চেয়েছি –
তোমার যে সৌন্দর্য ভান্ডার
যা মহা সমুদ্র মন্ডলী, মহাকাশ তা কত লক্ষ্য হাজার হাজার বার
পরখ করতে যে আয়ুকালের প্রয়োজন !
বিধাতা – তা কি তুমি আমার জীবন লিপিতে লিখেছো !
উত্তর পাই নি, তবে জেনেছি এ আমার চির শাস্তি
তোমার সৌন্দর্য ভান্ডারের সবটুকু লুট না করে
কখনই মিলবে না শান্তি ! সুখের পরশ এক বিন্দুও।
আমি জানি উত্তর মিলবে না কখনই
অফুরন্ত সৌন্দর্য ভান্ডারে তোমাকে গড়ে সৃষ্টিকর্তা
কেনই বা আমাকে দেখালেন !
কোন এক ক্ষণে ঝিলমিল চাঁদের আলো দিয়ে মাখানো
খানিক ক্ষণ যে হাসি রাশি রাশি তোমার সারা দেহ জুড়ে পূর্ণিমার চাঁদ হয়ে
একটু খানি বাঁকা ভঙ্গিতে, জ্যামিতির নানান যুক্ত রেখা খেলায়
যে অন্ততঃ সৌন্দর্য ভান্ডারের সৃষ্টি তা কেন আটকে রইলো
আমার চোখে, হৃদয়ে, মননে !
কেনই বা তোমাকে দেখার হবে না শেষ!
জেনেছি বড়; সব দেখার শেষ থাকলেও তোমাকে দেখার হবে না শেষ!
তোমার অফুরন্ত সৌন্দর্য ভান্ডার কখনই ফুরাবার নয় শুধু আমার কাছে।
শুধু আমার কাছে, নক্ষত্র যুগেও না,
এ আমার শুদ্ধ জ্ঞান অর্জন, কোন ভ্রান্ত ধারণা নয় কখনও।
তারিখ : জুন ২৬, ২০১৮ (শ)
রেটিং করুনঃ ,