Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

সবজি চাল পেঁয়াজ চিনি সবকিছুর বাজার চড়া (২০২২)

Share on Facebook

চাল, তেল, পেঁয়াজ থেকে শুরু করে সব ধরনের সবজি ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যে বিআর-২৮ চাল পাওয়া যেত ৪৮ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে, আজ শুক্রবার রাজধানীর বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়। মিনিকেট চাল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায়, যা সপ্তাহ খানেক আগে ছিল ৬২ থেকে ৬৫ টাকা। এ ছাড়া সাত দিনের ব্যবধানে কেজিতে তিন টাকা বেড়ে নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা।

গত সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া খোলা আটা আজ বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকায়। আর খোলা ময়দার কেজিতে দুই টাকা বেড়ে হয়েছে ৫০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. জিলানী বলেন, এবার ধানের মৌসুমে চালের দাম কমেনি। এটা দেশের জন্য ভালো সংকেত নয়।

সপ্তাহ তিনেক আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ২৫ থেকে ৩০ টাকা। আজ শুক্রবার কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল, মগবাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। আর আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানালেন, গত দুই দিনেই মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১৫ টাকা।

ভোক্তাদের অভিযোগ, এখন পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। কৃষকের এখন ঘরভর্তি পেঁয়াজ রয়েছে। তার পরও পেঁয়াজের দাম বাড়ছে কেন?

আজ দুপুরে মগবাজারে পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে রীতিমতো অবাক হন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহেল রানা। সমকালকে তিনি বলেন, দুই দিন আগের ৪৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ আজ ৬০ টাকায় কিনতে হয়েছে। রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে কোনো কারণ ছাড়াই কারসাজি করে মানুষকে ভোগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

মুড়িকাটা পেঁয়াজের ফলন ওঠা এখনও শেষ হয়নি। তা ছাড়া এই মাসের শেষদিকে হালি পেঁয়াজের ফলন ওঠা শুরু হবে। এ সময় সাধারণত পেঁয়াজের দাম ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে থাকার কথা।

ঢাকার বাইরের শহরগুলোতেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। সমকালের বগুড়া প্রতিনিধি জানান, এক দিনের ব্যবধানেই সেখানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। ফলে এক দিন আগের ৪৫ টাকার পেঁয়াজ ভোক্তাকে কিনতে হয়েছে ৭০ টাকা কেজি দরে। বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আব্দুল আলিম বলেন, বৃহস্পতিবার পাআরি বাজারে পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা থাকলেও আজ শুক্রবারে তা বেড়ে হয় ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। ফলে খুচরা পর্যায়ে ৭০ টাকায় বিক্রি না করে উপায় নেই।

পেঁয়াজের দাম আবারও বাড়ছে কেন? এর কোনো জবাব দিতে পারছে না ব্যবসায়ীরা। তবে দাম বাড়ার কারণে ভোক্তার পাশাপাশি ক্ষোভ দেখা গেছে খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও। মগবাজারের বাজারের জামিল হাসান নামের একজন খুচরা পেঁয়াজ-রসুন বিক্রেতা বলেন, পাইকাররা দাম বাড়ালে তাদেরও বাড়াতে হয়। কিন্তু এতে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এসে জরিমানা করে।

পাইকাররা বলছে, সরবরাহ কমার কারণে দাম বেড়ে গেছে। কারওয়ান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী দুলাল হোসেন বলেন, প্রতিদিনই তাকে মোকাম থেকে পেঁয়াজ কিনতে হয়। মোকামে দাম বাড়লে তাদেরও বেশি দরে বিক্রি করা ছাড়া উপায় থাকে না।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি ও পেঁয়াজ আমদানিকারক হারুন-উর রশিদ সমকালকে বলেন, বাংলাদেশে যখন বৃষ্টি হয়েছিল। তখন ভারতেও হয়েছে। এতে ভারতে পেঁয়াজের ফলন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার পুরোপুরিভাবে ভারতের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ভারতে এখন দাম বাড়তি।

বাজারে খোলা সয়াবিন নেই কয়েকদিন ধরে। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা ১ মার্চ থেকে প্রতি লিটার তেলে ১২ টাকা বাড়ানোর ঘোষণা দিলেও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাতে সায় দেয়নি। তবে আজ কারওয়ান বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে এক ও দুই লিটারের বোতলজাত সয়াবিন উল্লেখযোগ্য হারে দেখা যায়নি। প্রায় সব দোকানে ৫ লিটারের বোতল দেখা গেছে। যেগুলো কেউ কেউ ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছে।

কয়েক মাস স্থির থাকার পর আবার নড়েচড়ে উঠেছে চিনির বাজার। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছিল ৭৫ থেকে ৭৬ টাকা। ৫ থেকে ৬ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে চিনির কেজি।

ক্রেতাকে আরও বেশি হতাশ করবে সবজির বাজার। এ বছর পুরো মৌসুমেই সবজির বাজার ছিল চড়া। দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ সবজির কেজি ৪০ টাকার ওপরে। এর মধ্যে ঢ্যাঁড়শ ও করোলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

প্রতিটি ফুলকপি কিনতে ক্রেতার খরচ হবে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। চিচিঙ্গার কেজি ৫০ থেকে ৬০, শিম ৩৫ থেকে ৫০ টাকা ও মুলা ৩০ টাকা। বিক্রেতারা একটি মাঝারি আকৃতির লাউয়ের দাম রাখছেন ৭০ থেকে ৮০ টাকা। চড়া দামের জানান দিয়ে বাজারে আসছে ঢ্যাঁড়শ। সবজিটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৯০ টাকায়। করোলা কিনতে গেলেও ক্রেতাকে প্রতি কেজিতে খরচ করতে হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা।

এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজি ২৭০ থেকে ২৯০ টাকা। আর ডিমের ডজন ১০৫ থেকে ১১০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা।

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ মার্চ ০৪, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

,

ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪,শুক্রবার

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ