Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া – পর্ব – ৩ সংগ্রহিত – ২ (দুই ব্যাংক-ডাকাত)

Share on Facebook

এ কী করলেন দুই ব্যাংক-ডাকাত!
আনিসুল হক | আপডেট: ০৯:৩০, অক্টোবর ২৮, ২০১৬ ( প্রথম আলো )

এই কৌতুকটা কুড়িয়ে পাওয়া। ফেসবুকে পেয়েছিলাম। তারপর হারিয়ে ফেলি। গুগলে সার্চ করে আবার উদ্ধার করলাম একটা কৌতুকের সাইট থেকে। আপনাদের জন্য পরিবেশন করছি নিজের ভাষায়। (এবং কিছুটা সংযোজন-বিয়োজনসমেত)
দুজন ব্যাংক-ডাকাত অস্ত্র হাতে ঢুকে পড়েছে একটা ব্যাংকে।
তারা চিৎকার করে উঠল, ‘সবাই মাথা নিচু করে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। জীবন আপনার নিজের, টাকা হলো সরকারের।’
(এটাকে বলে, মাইন্ড চেঞ্জিং কনসেপ্ট। মানসিকতা পাল্টে দেওয়া ধারণা। প্রথাগত ধারণাকে পাল্টে দেওয়া।)
একজন মহিলা ভয়ে তার হাতের চুড়ি, গলার হার খুলতে লাগলেন।
ডাকাতেরা বলল, আমরা ব্যাংক-ডাকাত। রাস্তার ছিনতাইকারী নই। গয়না নিজের কাছে রাখুন।
(এটাকে বলে, পেশাদারি। আপনি যে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত, শুধু সেটাই করবেন। সাহিত্যিকের উচিত নয় রোগীর জন্য প্রেসক্রিপশন লেখা।)
তারা ব্যাংকের টাকা লুট করে নিয়ে চলে গেল তাদের নিরাপদ ডেরায়।
জুনিয়র ডাকাতটা ছিল এমবিএ পাস। সিনিয়র ডাকাতটা ছিল ম্যাট্রিক ফেল। জুনিয়র বলল, ‘বস, কত টাকা আনলাম, গুনে দেখি।’
সিনিয়র ডাকাত বলল, ‘এত টাকা গুনে শেষ করা যাবে নাকি। বরং টেলিভিশনের খবর দেখ। একটু পরে টেলিভিশনে লাইভ দেখাবে। তখনই জানা যাবে আমরা কত টাকা আনতে পেরেছি।)
(এটাকে বলা হয় অভিজ্ঞতা। আজকাল অভিজ্ঞতার দাম নেই। সবাই শুধু এমবিএ খোঁজে)
ডাকাতেরা চলে গেছে। ম্যানেজার তাঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে বললেন, ‘পুলিশে খবর দাও।’
অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বললেন, ‘স্যার। ৫ কোটি টাকা আগে সরিয়ে রাখি। বলব, এই ৫ কোটি টাকাও ডাকাতে নিয়ে গেছে।’
(এটাকে বলা হয়, জোয়ারের পানিতে সাঁতার কাটা। কোনো একটা বিপদকে সম্পদে পরিণত করা)
অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার বললেন, প্রতি মাসে একবার করে ব্যাংকে ডাকাতি হলে বেশ হতো।

(এটাকে বলা হয়, মূল্যবোধের অবক্ষয়। নৈতিকতা একবার ভেঙে গেলে তা বারবার ভেঙে ফেলা সহজ হয়ে যায়।)
একটু পরে টেলিভিশনে স্ক্রল দেখানো শুরু হলো, অমুক ব্যাংকের অমুক শাখা থেকে ২০ কোটি টাকা ডাকাতি হয়ে গেছে।
ডাকাত দুজন তখন টাকা গুনতে শুরু করল। গুনে দেখল, তাদের বস্তায় আছে মাত্র ৫ কোটি টাকা।
তখন বড় ডাকাত ছোট ডাকাতকে বলল, ‘হারামজাদা ব্যাংক-ম্যানেজাররা তো আমাদের চেয়েও বড় ডাকাত। আমরা কত কষ্ট করে ডাকাতি করা শিখেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ডাকাতি করতে হয়। কত কষ্ট করে ডাকাতি করে আমরা পেলাম ৫ কোটি। আর কিনা ওরা এক মুহূর্তে ১৫ কোটি টাকা ইনকাম করল!’
ছোটটা বলল, এত কষ্ট করে চুরি-ডাকাতি না করে আপনি ব্যাংক-ম্যানেজার হলেই পারতেন।
(এটাকে বলা হয়, পেন ইজ মাইটার দেন সোর্ড। তরবারির চেয়ে কলমের শক্তি বেশি।)
ম্যানেজার তাঁর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে বললেন, ডাকাতে নিল ৫ কোটি। আমরা সরালাম ৫ কোটি। কিন্তু টেলিভিশনগুলো ২০ কোটি বলছে কেন? এই ১০ কোটি কে মারল?
(এটাকে বলা হয়, সরকারকে মাল দরিয়া মে ঢাল)
কিছুদিনের মধ্যেই তদন্ত শুরু হলো। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অবিলম্বে ডাকাত দুজনকে ধরে ফেলা হলো।
(অপরাধী কোনো না কোনো ক্লু রেখেই যায়।)
তাদের রিমান্ডে নেওয়া হলো। সব ধরনের কৌশল প্রয়োগ করে এই পর্যন্ত জানা গেল যে তারা ৫ কোটি টাকা নিয়েছে।
তাহলে বাকি টাকা কে নিল!
এইবার ধরা হলো ম্যানেজার আর অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজারকে।
তাঁরা ৫ কোটি টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করলেন। কিন্তু হিসাব তো মিলছে না। ডিম সেদ্ধ করা হলো।
(এটাকে বলা হয়, যা তুমি হজম করতে পারবে না, তা তুমি গিলতে যেয়ো না।)
সাংবাদিকেরা ধরলেন অর্থমন্ত্রীকে।

লুট হয়েছে ২০ কোটি টাকা।
পুলিশ উদ্ধার করেছে মাত্র ১ কোটি টাকা।
বাকি ১৯ কোটি টাকা কই?
অর্থমন্ত্রী বললেন, আমরা ২০০ কোটি টাকা শুধু আতশবাজিতে খরচ করি। ১৯ কোটি টাকা কই, এটা হিসাব করার টাইম কি আমাদের আছে? আমাদের সময়ের কি কোনো দাম নেই? ২ হাজার কোটি টাকাই আমাদের জন্য কোনো টাকা না। আপনি এসেছেন ১৯ কোটি টাকার হিসাব চাইতে। রাবিশ!
ছোট ডাকাত বলল বড় ডাকাতকে, আমাদের কাছ থেকে পুলিশ উদ্ধার করল ৫ কোটি। কিন্তু খবরের কাগজে কেন লিখেছে, উদ্ধার করা হয়েছে ১ কোটি?
বাকি ৪ কোটি কে মারল?
(এ বিষয়ে শেক্সপিয়ার বলেছেন, দেয়ার আর মোর থিংস ইন দ্য হেভেন অ্যান্ড আর্থ।)
ডাকাতেরা বলল, সংবাদপত্র মিথ্যা লেখে।
ম্যানেজার দুজন বললেন, সংবাদমাধ্যম মিথ্যা বলে।
তথ্যমন্ত্রী বললেন, সংবাদমাধ্যমকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। স্বাধীনতা মানে দায়িত্ব। আমরা সংবাদমাধ্যমকে স্বাধীনতা দিয়েছি। স্বাধীনতা মানে স্বেচ্ছাচারিতা নয়। সংবাদমাধ্যমকে অবশ্যই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। তারা অবশ্যই সমালোচনা করবে। কিন্তু সমালোচনা হতে হবে গঠনমূলক।
কিছুদিনের মধ্যেই গণমাধ্যম সেই ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা ভুলে গেল।

10/26/2016
পদ্মপত্রে নীর
মুস্তাফা জামান আব্বাসী | আপডেট: ০০:০৬, অক্টোবর ২৬, ২০১৬
পাঠকদের কোন জিনিসটা আকর্ষণ করে তা অনেক লেখক চট করে অনুধাবন করতে পারেন, আবার অনেকে পারেন না। যুক্তরাষ্ট্র থেকে দু-একজন ই-মেইলে আর্টিকেল পাঠান। উদ্দেশ্য, যাতে আমি পাঠ করি এবং পছন্দ হলে চেনা সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে সেগুলোর একটা সুবন্দোবস্ত করতে পারি। অথচ অবাক হই তাঁদের বিষয় চয়নের দারিদ্র্য দেখে। আমি একজন পাঠক। আমি পড়ব কি না, তা নির্ভর করছে তার বিষয় চয়নের ওপরে। একটি পদ্মপত্রের ওপরে শিশির কণা টলমল করছে। এটি আমার নিজের চোখে দেখা। যেকোনো হালকা বাতাসেই এর পতন হবে। এটিকে মনের এক কোনায় সযত্নে বেঁধে রেখেছি। যদি এর ওপরেই লিখি, কেউ ফেলে দেবে না। সামান্য জিনিসও পাঠককে আকৃষ্ট করে বৈকি।
পদ্মপত্র নীরের কথাটা কতবার জেনেছি। আমাদের ক্ষুদ্র জীবনের সঙ্গে কত মিলে যায় তা। এখনই আছি, আবার এখনই নাই। যখন থাকব না, তখন কেউ আর আমাকে খুঁজে পাবে না। পদ্মপত্র কিছুদিন থাকবে। তারপর সেও মিলিয়ে যাবে। এই স্থিতিটুকু জীবনের সম্বল। যুক্তরাষ্ট্রের দুজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর সর্বশেষ বিতর্ক-যুদ্ধ দেখতে দেখতে কত কথাই মনে হলো। এই হিলারিই ওবামার সঙ্গে তিনটি বাগ্যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তখন হিলারিকে যতখানি উত্সাহী ও বাকপটু বলে মনে হয়েছিল, এবার যেন তার চেয়ে বেশি। সবচেয়ে ভালো লাগল যখন বিরুদ্ধপক্ষের কঠোর সমালোচনার জবাবে তিনি উপহার দিলেন শুধু একটি হাসি। নির্মল হাসি, বানানো নয়। এটি আয়ত্ত করতেই জীবন চলে যায়। পদ্মপত্রে যে নীর জমা পড়েছে তা তো ঝরে যাবেই, কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে ব্যালেন্স করে কতটুকু টিকে থাকা যায়, সেটাই শিক্ষা।
আমাদের জীবনও নিষ্ঠুর আক্রমণের ঘাত-প্রতিঘাতে সদা বিধ্বস্ত। এটুকু বেঁচে থাকা, তা নিয়ে সমস্যা। কেউ বাঁচতে দেবে না। আমার বাঁচারটা আমাকেই দেখতে হবে। সে শিক্ষা দেবে প্রকৃতি। যে যোগ্য, সে-ই বেঁচে থাকার অধিকার সংরক্ষণ করে। ঝরা পাতা ঝরে পড়বেই। যখন বড়শিতে মাছ মারতে বসতাম, পুরো মনোযোগটা থাকে বড়শির ফাতনার দিকে, কখন সেটি ডুবে যাবে এবং হ্যাঁচকা টানে মাছটিকে ডাঙায় তুলে আনব। এটাই আমার সক্ষমতার প্রমাণ দেবে। ওই সময় যদি ঘুমিয়ে পড়ি অথবা মোবাইলে কাউকে টেক্সট মেসেজ পাঠাই, তাহলে মাছ বড়শি নিয়ে পালিয়ে যাবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প সফল ব্যবসায়ী হতে পারেন কিন্তু সফল রাজনীতিক হতে হলে প্রয়োজন তাঁদের দর্শকদের হৃদয় জয় করা, ক্ষণিকের হাততালি বিভ্রান্তিকর হতে পারে। এখানে বড়শির ফাতনা হচ্ছে ওই জনগণ।
যাঁরা দীর্ঘকাল দেশ শাসন করেছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা কত করুণ হতে পারে তা ইউরোপের ইতিহাসে পড়েছি। হিটলার, মুসোলিনি ভেবেছিলেন সব যুদ্ধেই তাঁরা হবেন জয়ী। তাঁদের সব দম্ভের পরাজয় এই ইঙ্গিতই বহন করে যে পৃথিবীতে ‘ন্যাচারাল জাস্টিস’ বলে একটি কথা আছে। সেটাই শেষ সত্য।
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সৈকতে ছোট-বড় বড়শি নিয়ে যাঁরা মাছ ধরতে আসেন, তাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকতে আমার ভালো লাগে। আমার তো আর সরঞ্জাম নেই। তাই তাকিয়ে থাকি কখন তাঁরা একটি-দুটি মাছ সংগ্রহ করবেন। গভীর নিষ্ঠার সঙ্গে তাঁরা একেকটি মাছ পটাপট বড়শিতে গেঁথে নিচ্ছেন। তারপর কি সেগুলো বালতিতে সংগ্রহ করে বাসায় গিয়ে গিন্নিকে বলবেন, এই দেখো কত মাছ এনেছি। এবার এগুলো কোটো, খুব ভালো যেন রান্না হয়? না, তাঁরা তা করেননি। মাছগুলো ধরার পর খানিকক্ষণ স্পর্শ করে আবার নিক্ষেপ করলেন মুক্ত সমুদ্রে, যেন তারা তাদের মা-বাবা, ভাইবোনের কাছে ফিরে যেতে পারে। বেশ কয়েকটি সৈকতে এই খেলা দেখে আমি অসম্ভব পুলকিত হই, যেন মাছ ধরা নয়, মাছ ধরার খেলা।
পৃথিবীতে পাঠিয়ে মানুষের ভালো-মন্দ সবই পর্যবেক্ষণ করছেন সৃষ্টিকর্তা। কখনো আনন্দে, কখনো বিষাদে আমি পতিত, কখনো এই খেলাঘরে আমাকে উত্তরণ করছেন, কখনোবা ডুবিয়ে দিচ্ছেন, সব প্রভুর খেলার অন্তর্ভুক্ত। এবার বার্নস অ্যান্ড নোবেলসের লাইব্রেরিতে প্রবেশ। মাছের ভক্ত যাঁরা অনেক বড় বড় বই সংগ্রহ করে তাঁরা দেখছেন মাছ ধরার দৃশ্য। ছবিতে যেন প্রতিটি মাছ জীবন্ত হয়ে ধরা দিচ্ছে। পাঠক যেন চিনতে পারছেন প্রতিটি মাছ এবং দেখছেন মাছ ধরার খেলা। যদিও তিনি নদ-নদী, সমুদ্র থেকে অনেক দূরে।
লেখক তাহলে কী করেন? তাঁর সামনে বিরাট মানব-সমুদ্রের মেলা। তার মধ্যে যাঁকে খুশি তিনি চয়ন করছেন। তাঁর জীবন, যৌবন, ছোট ছোট অক্ষরের মধ্যে তা স্থান করে নিচ্ছে। শত শত পাঠক তার মধ্যে অবগাহন করে খুঁজে পেল সেই সব মুহূর্তগুলো, হয়তো শত বছর ব্যবধানে। এদিক থেকে আমার মনে হয়েছে সবচেয়ে আনন্দ উপকরণ লেখকদের জীবনে স্পর্শিত সেই আনন্দের মুহূর্তগুলো। এটাই লেখকদের সবচেয়ে বড় পাওয়া। যখন আগের শতাব্দীর লেখকদের বই নিয়ে পড়তে বসি, আমি এত আনন্দ পাই যে, যা বলার নয়। সেই সব চরিত্রের সঙ্গে একাত্মতা অনুভব করি। লেখক তাঁদের বাঁচিয়ে রেখেছেন। সদ্য প্রয়াত সৈয়দ শামসুল হক একদিন আমাকে বললেন, ‘এই আব্বাসী, তোমার কাছে তো অনেক সুন্দর সুন্দর ব্যাগ। আমাকে দাও না দু-একটি।’ সঙ্গে সঙ্গে দিলাম। উনি বলতেন, ‘জানো, সারা দিন লিখি। ওটাই আমার আনন্দ।’ তাঁকে আজ মনে পড়ছে।
সংবাদপত্র প্রতিদিনের খাদ্যসামগ্রীর মতো। সকালেই নতুন, বিকেলে বাসি। পরের দিন পুরোনো ভাতের মতো ফেলে দেওয়া। সংগ্রহ করে রাখা যায় না। যাঁরা জীবনকে ভালোবাসেন, তাঁদের লেখা শত বছর পরেও পুরোনো হয় না। তাই যে পদ্মপত্রের দিকে তাকিয়ে আছে তার ওই তাকানোটা হতে হবে মূল্যবান। সে ওর মধ্যেই অনেক কিছু খুঁজে পাবে।

09/28/2016
সন্তানের চাহিদা বেড়ে গেলে
ঘরেই বেড়ে উঠছে ওরা সবার অজান্তে ও অবহেলায়। এই প্রজন্মের কেউ কেউ যেন অচেনা, অদেখা ও অপরিচিত। যখনই বড় কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে; তখন তোলপাড়, সমালোচনার ঝড়। একজন মাদকাসক্ত সন্তান যখন তার মা-বাবার হত্যায় অংশ নিতে দ্বিধা করে না—সেটা জেনে গোটা সমাজ আতঙ্কে কেঁপে উঠেছিল। এবার এক ছেলে তার বাবা-মাকে অবলীলায় আগুনে পোড়াল নতুন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের জন্য। দগ্ধ বাবাও শেষ পর্যন্ত মারা গেলেন।
কেন এমন ঘটছে? এটা কি বহুল আলোচিত প্যারেন্টিংয়ের সমস্যা। আমরা কি দরকারি দেখাশোনা করতে পারছি না প্রিয় সন্তানের! সন্তান যখন জন্ম নেয়, পুরো পরিবার যেন আলোয় ভরে ওঠে। আত্মীয়স্বজন, মা-বাবা আনন্দের বন্যায় ভেসে যান। সেই সন্তানই যখন বৈরী কিংবা বেপরোয়া—তখন তা সবার দুঃখ-বেদনার উপলক্ষ।
সমাজে, সংসারে এমন সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা খুব বেশি ঘটছে না ভেবে মুখ ফিরিয়ে থাকার উপায় নেই। বরং সাবধানতা দরকার।
সন্তান লালনপালন মানে প্যারেন্টিংয়ের সমস্যা তো আছেই। কেউ কেউ বলছেন, ‘এত দিন নেননি কেয়ারিং; সন্তান তাই মস্ত ডেয়ারিং।’ কারও মতে, আগে পরিবার বড় ছিল। দেখাশোনার সুযোগ বেশি ছিল। এখন ছোট পরিবার মানে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সন্তান বড় হচ্ছে ফ্যামিলি ফার্মে। অনেকে দুষছেন অযাচিত অর্থ প্রাচুর্যকে। সন্তান যা চাইছে তা-ই পাচ্ছে। চাহিদার ফর্দ বেড়েই চলেছে। সে বুঝতেই পারছে না—কোনটা চাওয়া উচিত, কোনটা নয়। সে জানে না, কতটুকু চাওয়া যায়।
ফরিদপুরের ছেলেটিকে গণমাধ্যমের তথ্যমতে, পাঁচ লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেল কিনে দিয়েছিলেন তার বাবা। কিন্তু তাতে মন ভরেনি। তার আকাঙ্ক্ষা ছিল আরও নতুন কিছু। এই যে অদম্য বাসনা—বহু দামি একটা বাইক পেয়েও অপ্রাপ্তির অসুখ—এ জন্য শুধু সন্তানদের দোষারোপ করলে চলবে না। অভিভাবককেই নিতে হবে গুরুদায়িত্ব।
একটি শিশু কোমল মাটির মতো। তার মনোজগৎ যেভাবে গড়ে উঠছে, পরবর্তী জীবনে সেটাই হবে তার জীবনযাপনের নিয়ন্ত্রক।
গুড প্যারেন্টিং
গুড প্যারেন্টিং কাকে বলে! ভালো মা-বাবা বা অভিভাবকই বা কে। কাজটা খুব কিন্তু কঠিন নয়। সময়ে করলে সহজ। বলা হয়েই থাকে, সন্তানের পেছনে ঠিক সময়ের পরিশ্রমে মিলবে সুফল। অবহেলায় মিলবে কান্না।
* সন্তানকে দিন আত্মবিশ্বাস। যেকোনো সমস্যা, বৈরী পরিবেশ সে যেন মোকাবিলা করতে পারে।
* তাকে ধৈর্যও শিক্ষা দিন। প্রতিটি পদে হতে হবে স্থিতিশীল। তাকে দায়িত্বশীলতা সুশিক্ষা দিতে হবে।
* শুধু নিজের জন্য বড় হওয়া নয়, বড় হতে হবে সবার জন্য। শুধু নিজের কল্যাণ বা আত্মপ্রেম নয়। তাকে পরিবারের সবার দেখভালের জন্য যোগ্য হতে হবে। শুধু মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন তাকে ভালোবাসা-আদর দেবে, তা নয়। ছোটবেলা থেকেই সন্তানের মধ্যে দায়িত্ববোধ ও দায়িত্ব নেওয়ার মনোভাবটি গড়ে দিতে হবে।
* সে যেমন সবার ভালোবাসা পাচ্ছে, বিনিময়ে সে-ও যেন সবাইকে ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ভক্তি দেখায়। তাকে জানতে হবে—তার প্রতি যেমন মা-বাবা, আত্মীয়দের দায়িত্ব-কর্তব্য আছে, তেমনি তারও সবার প্রতি কর্তব্য আছে। সেটা যেন ভুলে না যায়।
* সন্তান যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বাসিন্দা হয়ে বড় না হয়। তার মধ্যে সবার সঙ্গে মিলেমিশে বেড়ে ওঠার সদিচ্ছা থাকা চাই।
* সন্তানের আত্মসচেতনতা, স্বাতন্ত্র্য থাকবে। কিন্তু সেটা অবশ্যই অন্যের জন্য যেন বিব্রতকর না হয়।
* নিজের সুরক্ষার ব্যাপারে সদা হুঁশিয়ার হবে। একই সঙ্গে অন্যের জন্য যেন ক্ষতিকর না হয়।
গুণীজনেরা বলেন
মনস্তত্ত্ববিদ জেমস লেম্যানের মতে, ‘সন্তানের সামনে আপনিই রোল মডেল। আপনিই তার হিরো। আপনার মাঝেই সে খুঁজছে নিজেকে। কাজেই মডেল হিসেবে আপনার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে প্রখর সজাগ থাকার কোনো বিকল্প নেই।’
প্রবাদ আছে—শিশু-কিশোরেরা উপদেশ শোনার ক্ষেত্রে কান বন্ধ রাখে। কিন্তু দৃষ্টান্ত যখন দেখে, তখন দুই চোখ খুলে রাখে।
জনপ্রিয় অভিনেতা বিল কসবি তাঁর সেরা বাবার স্মৃতিচারণে বলেছেন, ‘তিনি আমাকে উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করতে নিরুৎসাহিত করতেন। পাশাপাশি সুন্দর যুক্তি নিয়ে উচ্চকিত হতে উৎসাহিত করতেন।’
মার্কিন চিকিৎসক ও লেখক মেগ মিকার বলেন, প্রত্যয়ী মা-বাবা সন্তানের সামনে কঠিন কাজটি সুসম্পন্ন করে দেখান। অতঃপর সেই কাজে অংশ নিতে সন্তানকে আহ্বান করেন।
যে পদক্ষেপ জরুরি

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথাটি আমরা সবাই স্মরণ করি—শাসন করা তারই সাজে, সোহাগ করে যে।
* সন্তানকে আদর-সোহাগ, ভালোবাসা বাবা-মায়ের স্বাভাবিক আবেগ। কিন্তু আদরের বাড়াবাড়ি কাম্য নয়। সন্তানের সমৃদ্ধ মনোজগৎ গঠনে নজর দিন। সত্য, সুন্দর, কল্যাণের সপক্ষেÿযেন সে বেড়ে ওঠে।
* বিলাসিতা, দেখানেপনা বনাম উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি যেন ছোটবেলা থেকেই শিখতে পারে। বিলাসিতার পথে সন্তানকে ঠেলে দেওয়া আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। তাকে কর্মের মাধ্যমে অর্জনে সহায়তা করুন।
* তার যেটুকু দরকার, সেটুকু দিন। তার সুখ-আরামের কথা ভেবে অপ্রয়োজনীয় অঢেল তাকে দেবেন না।
* নম্রতা, শিষ্টতা, ভব্যতা, সদাচরণ শিক্ষা এখন আর স্কুলে শেখানো হয় না। এই শিক্ষা পরিবার থেকেই পেতে হবে।
* কর্মজীবনে সে যেন কল্যাণকর কোনো লক্ষ নির্ধারণ করতে পারে, সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করুন।
* সংস্কৃতি, কৃষ্টি, শিল্পমনস্ক মনোজগৎ মানবচিত্তকে সুস্থির ও সুস্থ রাখে। সন্তানকে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বড় হতে দিন। শিল্পকলা, সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, অভিনয়, খেলাধুলা, বিতর্ক, বক্তৃতা—যার যেমন আগ্রহ, সেটা বেছে নিতে দিন। হতে পারে এটা তার মৌলিক পেশার ভিত্তি। আবার হতে পারে এসব তার বাড়তি যোগ্যতা ও মানসিক শক্তির অফুরন্ত জোগান।
* উগ্র কোনো মতবাদ, বদ্ধ ও অনগ্রসর চিন্তা থেকে সন্তানকে দূরে রাখুন।
* তার মধ্যে আত্মমর্যাদা, আত্মবিশ্বাস, প্রত্যয়, স্বনির্ভরতা জাগিয়ে তুলুন। সে যখন একজনকে সম্মান করবে, মর্যাদা দেবে; সে-ও সম্মান-মর্যাদা পাবে।
* বয়ঃসন্ধিকালে তার মধ্যে নানা পরিবর্তন আসবে। এ সময় তার পাশে থাকুন।
* নিজের মতকে তার ওপর চাপিয়ে না দিয়ে তার মতামতকে বোঝার চেষ্টা করুন। আপনার মতামত রাখুন। আলোচনার মধ্য দিয়ে ভালো-মন্দকে তুলে ধরুন।
* সন্তানের বন্ধুদের সন্তানের স্নেহে দেখুন। তাদের ভালো-মন্দ বিবেচনায় নিন। কোনো বাজে সংসর্গে লিপ্ত হলে তাকে বুঝিয়ে পথে আনুন।
* বেড়ে ওঠার দিনগুলোয় একটি শিশু তার চারপাশে আদর্শ বা আইডল খোঁজে। মা-বাবা, নিকটাত্মীয়দের মাঝেই সন্ধান করে। সঠিক আদর্শ যাতে খুঁজে নেয়, তাকে সহায়তা করুন।
* তার সামনে জগতের মহৎ মানুষগুলোকে তুলে ধরুন। তাঁদের জীবনীপাঠে উৎসাহ দিন। ওদের চোখের সামনে যেন কল্যাণী মানুষের ছবি তৈরি হয়। এই ছবিই তাকে বড় হওয়ার দিশা দেবে।
* সন্তানের মানসিক দুর্যোগে আশা হারাবেন না। তার পাশে থাকুন। সে যে আপনারই প্রতিচ্ছবি। ওই বয়সে সমস্যা মোকাবিলায় আপনি যে পথ অনুসরণ করেছেন, তাকেও সেই পথের দিশা দেখান।
সন্তানকে কোনো রকম প্রলোভন দেখাবেন না। ভালো ফল বা কোনো কাজে তাকে উদ্বুদ্ধ করতে লোভের জাল বিছাবেন না। সে জানুক, যা কিছু মানুষের প্রাপ্তি, তা কর্মের কারণে। অলৌকিকভাবে কিছু হয় না। শর্টকাট বলতে কিছু নেই। শ্রম, অধ্যবসায়ই সব অর্জনের মূল চাবি।
প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার কথাটি অনেকেরই স্মৃতিতে আজও উজ্জ্বল। সন্তানকে ভালোবাসা দিন। তার চেয়েও বেশি করে সন্তানকে ভালো হওয়ার সুশিক্ষা দিন।
সুলতানা আলগিন : সহযোগী অধ্যাপক, মনোরোগবিদ্যা বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা

09/10
ফরাসি নাট্যকার জঁ র্যা কিনে (১৬৩৯-১৬৯৯) কয়েক শতক আগেই বলে গেছেন, সংসারে কোনো গোপন ঘটনাই গোপন থাকে না। সময় একদিন সবকিছুর খোলামেলা করে দেয়। তখনই বাধে হুলুস্থুল।
মার্কিন কথক, লেখক, মনোশীলনকারী আইয়ানজা ভ্যানজান্টও সতর্ক করতে বাকি রাখেননি। তাঁর ভাষায় ‘ফ্যামিলি সিক্রেটস’ যত গোপন সিন্দুকে বন্দী করে রাখবেন, কোনো লাভ নেই। একদিন তা ব্যাপক ধংসলীলা চালাবেই।

=========
আপনার পোস্ট পড়ে Mahatma Ghandhi’র একটা উক্তি মনে পড়লো। তিনি বলেছেন, ‘Where there is love there is life.’ গান্ধীর কথার প্রতিধ্বনি খুঁজে পাই Oscar Wilde’র একটা উক্তিতে। তিনি বলেছেন, ‘Keep love in your heart. A life without it is like a sunless garden when the flowers are dead.’ তবে প্রেমের ব্যাপারে Aristotle’র একটা উক্তি আমার খুব পছন্দ। তিনি বলেছেন, ‘Life is composed of a single soul inhabiting two bodies.’ প্রেমের সারল্য ও সহজলভ্যতার গুরুত্বকে Martin Luther King, Jr. অনুধাবন করেছেন কিছুটা ভিন্নভাবে। তিনি বলেছেন, ‘I have decided with love. Hate is too great a burden to bear’
আপনার কবিতায়ও প্রেমের গভীর বোধ অনুভূত হল, যা আপনি বেশ সাবলীল ভাষায়ই বর্ণনা করেছেন। প্রেমকে নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞায় ফেলানো মনে হয় কখনোই সম্ভব না। কারণ সবার জীবন দর্শন এক না। তাই ভিন্ন ভিন্ন দর্শনে এর রূপ বৈচিত্র্য ও মাধুর্য ভিন্নভাবে ধরা দিবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একটা ব্যাপারে হয়তো কোন মতপার্থক্য নাও থাকতে পারে, সেটা হল এর অনুভূতি, যাকে স্বর্গীয় বললেও মনে হয় অত্যুক্ত হবে না। Mother Teresa’র একটা উক্তি দিয়ে মন্তব্যটা শেষ করছি। তিনি বলেছেন, ‘I have found the paradox, that if you love until it hurts, there can be no more hurt, only more love.’

April 1, 2014

পৃথিবীর বিখ্যাত লোকদের কিছু বিখ্যাত উক্তি যা আমাদের জীবনে প্রয়োগ করলে হয়তো আমাদের জীবন অনেক সুন্দর হয়ে উঠবে।

“ মাত্র দুটি পন্থায় সফল হওয়া যায়! একটি হচ্ছে সঠিক লক্ষ্য নির্ধারণ করা, ঠিক যা তুমি করতে চাও। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া॥ ”
—মারিও কুওমো।

“ অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন॥ ”
—ডেল কার্নেগি।

“ একজন আহত ব্যক্তি তার যন্ত্রনা যত সহজে ভুলে যায়, একজন অপমানিত ব্যক্তি তত সহজে অপমান ভোলে না॥ ”
—জর্জ লিললো।

“ দুর্ভাগ্যবান তারাই যাদের প্রকৃত বন্ধু নেই॥ ”
—অ্যারিস্টটল।

“ বিশ্বাস জীবনকে গতিময়তা দান করে, আর অবিশ্বাস জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে॥ ”
—মিল্টন।

“ স্বপ্নপূরণই জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নয়। তাই বলে, স্বপ্নকে ত্যাগ করে নয়, তাকে সঙ্গে নিয়ে চলো। স্বপ্ন ছাড়া জীবন অর্থহীন॥ ”
—ব্রায়ান ডাইসন।

“ এই পৃথিবী কখনো খারাপ মানুষের খারাপ কর্মের জন্য ধ্বংস হবে না। যারা খারাপ মানুষের খারাপ কর্ম দেখেও কিছু করেনা তাদের জন্যই পৃথিবী ধ্বংস হবে॥ ”
—আইনস্টাইন।

“ নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥ ”
—জন লিভেগেট।

“ সত্য একবার বলতে হয়; সত্য বারবার বললে মিথ্যার মতো শোনায়। মিথ্যা বারবার বলতে হয়; মিথ্যা বারবার বললে সত্য ৰলে মনে হয়॥ ”
—হুমায়ূন আজাদ।

“ যে নিজেকে অক্ষম ভাবে, তাকে কেউ সাহায্য করতে পারে না॥ ”
—জন এন্ডারসন।

“ সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা এবং সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া॥ ”
—থেলিস।

“ যে নিজেকে দমন করতে পারে না সে নিজের জন্যেও বিপদজনক এবং অন্য সবার জন্যেও॥ ”
—থেলিস।

“ সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয় বরং সুখ হল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রানে ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি নিজের কাজ নিয়ে সুখী হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন॥ ”
—Albert Schweitzer.

“ আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ বের করেছি॥ ”
—টমাস আলভা এডিসন।

“ যে বিজ্ঞানকে অল্প জানবে সে নাস্তিক হবে, আর যে ভালো ভাবে বিজ্ঞানকে জানবে সে অবশ্যই ঈশ্বরে বিশ্বাসী হবে॥ ”
—ফ্রান্সিস বেকন।

“ সত্যকে ভালবাস কিন্তু ভুলকে ক্ষমা কর॥ ”
—ভলতেয়ার।

“ আমি স্বপ্ন দেখেছিলাম, সেইস্বপ্নে আস্থা ছিল। আর আমি কাজটা ভালোবাসতাম। ফেসবুক বিফল হলেও আমার ভালোবাসাটা থাকত। জীবনে একটা স্বপ্ন থাকতে হয়, সেই স্বপ্নকে ভালোও বাসতে হয়॥ ”
—মার্ক জুকারবার্গ।

“ যে পরিশ্রমী সে অন্যের সহানুভূতির প্রত্যাশী নয়॥ ”
—এডমণ্ড বার্ক।

“ পৃথিবীতে সবাই জিনিয়াস; কিন্তু আপনি যদি ১ টি মাছকে তার গাছ বেয়ে উঠার সামর্থ্যের উপর বিচার করেন তাহলে সে সারা জীবন নিজেকে শুধু অপদার্থই ভেবে যাবে॥ ”
—আইনস্টাইন।

“ আমি ব্যর্থতা কে মেনে নিতে পারি কিন্তু আমি চেষ্টা না করাকে মেনে নিতে পারিনা॥ ”
—মাইকেল জর্ডান।

“ প্রত্যেককে বিশ্বাস করা বিপদজনক; কিন্তু কাউকে বিশ্বাস না করা আরো বেশী বিপদজনক॥ ”
—আব্রাহাম লিংকন।

‘‘ যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের ‘না’ এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি॥ ’’
—আইনস্টাইন।

“ যারা বলে অসম্ভব, অসম্ভব তাদের দুয়ারেই বেশি হানা দেয়॥ ”
—জন সার্কল।

“ আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাশ হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে। পাশ করা আর শিক্ষিত হওয়া এক বস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুন্ঠিত হই॥ ”
—প্রমথ চৌধুরী।

“ তোমার বন্ধু হচ্ছে সে, যে তোমার সব খারাপ দিক জানে; তবুও তোমাকে পছন্দ করে॥ ”
—অ্যালবার্ট হুবার্ড।

“ স্কুলে যা শেখানো হয়, তার সবটুকুই ভুলে যাবার পর যা থাকে; তাই হলো শিক্ষা॥ ”
—অ্যালবার্ট আইনস্টাইন।

“ আমি আপনাকে কখনও ভালবাসতে না বলে যুদ্ধ করতে বলি। কারণ যুদ্ধে হয় আপনি বাঁচবেন না হয় মরবেন। কিন্তু ভালবাসাতে না পারবেন বাঁচতে; না মরতে॥ ”
—এডলফ হিটলার।

“ যারা কাপুরুষ তারাই ভাগ্যের দিকে চেয়ে থাকে, পুরুষ চায় নিজের শক্তির দিকে। তোমার বাহু, তোমার মাথা তোমাকে টেনে তুলবে, তোমার কপাল নয়॥ ”
—ডঃ লুৎফর রহমান।

“ বাঙালি সমালোচনা সহ্য করে না; নিজেকে কখনো সংশোধন করেনা। নিজের দোষত্রুটি সংশোধন না করে সেগুলোকে বাড়ানোকেই বাঙালি মনে করে সমালোচনার যথাযথ উত্তর॥ ”
—হুমায়ুন আজাদ।

“ কাল আমার পরীক্ষা। কিন্তু এটা আমার কাছে বিশেষ কোন ব্যাপারই না, কারন শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতার কয়েকটা পাতাই আমার ভবিষ্যৎ নির্ধারন করতে পারেনা॥ ”
—টমাস আলভা এডিসন।

“ সবাই অনেকদিন বাঁচতে চায়, কিন্তু কেউই বুড়ো হতে চায় না॥ ”
—জোনাথন সুইফট।

“ ছেলেদের মদ্ধে বন্ধুত্ব নষ্টের অন্যতম দুইটি কারণ- টাকা এবং মেয়ে। সব সময় এই দুইটি জিনিস বন্ধুত্ব থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করুন॥ ”

“ পৃথিবী জুড়ে প্রতিটি নরনারী এখন মনে করে তাদের জীবন ব্যর্থ, কেননা তারা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারেনি॥ ”
—হুমায়ুন আজাদ।

“ তুমি যখন প্রেমে পড়বে তখন আর তোমার ঘুমাতে ইচ্ছে করবেনা; কারণ তখন তোমার বাস্তব জীবন স্বপ্নের চেয়ে আনন্দময় হবে॥ ”
—Dr. Seuss.

“ একবার পরীক্ষায় কয়েকটা বিষয়ে আমি ফেল করেছিলাম কিন্তু আমার বন্ধু সব বিষয়েই পাশ করে। এখন সে মাইক্রোসফটের একজন ইঞ্জিনিয়ার আর আমি মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা॥ ”
—বিল গেটস।

“ টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভাল॥ ”
—সক্রেটিস।

“ জন্মদিনের উৎসব পালন করাটা বোকামি। জীবন থেকে একটা বছর ঝরে গেল, সে জন্যে অনুতাপ করাই উচিত॥ ”
—নরম্যান বি.হল।

“ সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে॥ ”
—আল হাদিস।

“ আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ॥ ”
—বিল গেটস।

“ সুন্দর একটা মানুষ না খুঁজে, সুন্দর একটা মন খুঁজো, তাহলে ভালবাসার সফলতা আসবে॥”

“ যে তোমাকে কষ্ট দেয় তাকে তুমি ভালবাসো। আর যে তোমাকে ভালবাসে তাকে তুমি কষ্ট দিওনা। কারণ পৃথিবীর কাছে হয়তো তুমি কিছুই নও, কিন্তু কারো কাছে হয়তোবা তুমিই তার পৃথিবী॥ ”

“ যে যে বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে সে সেই বিষয়ে শিক্ষিত, কাজেই সবাই শিক্ষিত॥ ”
—নেপোলিয়ান।

“ যে দৃষ্টির সঙ্গে মনের যোগাযোগ নেই সে তো দেখা নয়, তাকানো॥ ”
—যাযাবর।

“ সেই যথার্থ মানুষ যে জীবনের পরিবর্তন দেখেছে এবং পরিবর্তনের সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে॥ ”
—বায়রন।

“ অন্যকে বারবার ক্ষমা কর কিন্তু নিজেকে কখনোই ক্ষমা করিও না॥ ”
—সাইরাস।

“ যৌবন যার সৎ, সুন্দর ও কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা হয়॥ ”
—জর্জ গ্রসভিল।

“ আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে তবে আমার অস্তিত্বের কোন মূল্য নেই॥ ”
—সুইফট।

“ বন্ধুর সাথে এমন ব্যাবহার কর যেন বিচারকের শরণাপন্ন হতে না হয়॥ ”
—প্লেটো।

“ সব দুঃখের মূল এই দুনিয়ার প্রতি অত্যাধিক আকর্ষণ॥ ”
—হযরত আলী (রাঃ)।

“ সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো না হয় মরে যাও॥ ”
—মেরিডিথ।

“ যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না॥ ”
—জন বেকার।

“ যে মন খুলে হাসতে পারে না, সেই পৃথিবীতে সবচেয়ে অসুখী॥
—জন লিলি।

“ ভালোবাসার জন্য যার পতন হয় সে বিধাতার কাছে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল॥ ”
—জনসন।

“ পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থাকাও ভালো, অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় থাকার কোন সার্থকতা নেই॥ ”
—উলিয়ামস হেডস।

“ প্রেমের আনন্দ থাকে স্বল্পক্ষণ কিন্তু বেদনা থাকে সারাটি জীবন॥ ”
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

“ সেই সত্যিকারের মানুষ যে অন্যের দোষত্রুটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করতে পারে॥ ”
—লর্ড হ্যলি ফক্স।

“ সবার সাথে যে তাল মিলিয়ে কথা বলে সে ব্যক্তিত্বহীন॥ ”
—মার্ক টোয়েন।

“ পুরুষের লক্ষ্য রাখা উচিত যত দিন বেশী তারা অবিবাহিত জীবনযাত্রা করতে পারে॥ ”
—জর্জ বার্নাডস।

“ যে সহজ সরল জীবনযাপন করে সুখ তার জন্য অত্যন্ত সুলভ্য॥ ”
—আলেকজান্ডার।

“ যে সব দৃশ আমরা খুব মন লাগিয়ে দেখতে চাই সে সব দৃশ্য কখনো ভালভাবে দেখতে পারি না সেই সব দৃশ্য অতি দ্রুত চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়॥ ”
—রবার্ট ফ্রস্ট।

“ ভাগ্য বলে কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও যত্নের উপর তা গড়ে উঠে॥ ”
—স্কট।

“ যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে? ”
—শেরে বাংলা এ. কে. ফজলুল হক।

“ হয়তো দশবার টসে একবার মাত্র আমি জিতেছি, কিন্তু তাতে আমার দুঃখ নেই। আমার মুখ তো তাই বলেছে- যা আমার চোখ দেখেছে॥ ”
—চে গুয়েভারা।

“ গতি যার নীচ সহ নীচ সে দুর্মতি॥ ”
—মাইকেল মধুসূদন দত্ত।

“ রহস্যকে ব্যাখ্যা করবার জন্যই ঈশ্বরের ধারনা এসেছে॥ ”
—রিচার্ড ফিলিপস ফাইনম্যান।

“ বাংলার মাটি দু্র্জয় ঘাঁটি জেনে নিক দুর্বৃত্তেরা॥ ”
—বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।

“ ক্লান্ত হলে তো অনেক আগেই মারা যেতাম। ক্লান্তি নেই বলেই তো একজন শিল্পী এতদিন বেঁচে থাকে॥ ”
—পাবলো পিকাসো।

“ যদি আমি তোমাকে ভালোবাসি, ঈশ্বর।
তুমি কেবল তোমার কিছু সৃষ্টিকে ভালোবাসতে পারোনা॥ ”
—মুহাম্মদ আলি।

“ পুরুষের দশ দশা।
কখনও হাতি কখনও মশা॥ ”
—মীর মশারফ হোসেন।

“ নিজেকে আর নিজের শত্রুকে চেনা থাকলে কোনো হার ছড়াই একশ যুদ্ধ জেতা যায়॥ ”
—সান যু।

“ নিন্দিত করুন। কোন ব্যাপার না। ইতিহাস আমাকে মুক্তি দেবে॥ ”
—ফিদেল আলেহান্দ্রো কাস্ত্রো রুজ।

“ রক্ত কখনও ঘুমায় না। প্রতিশোধ নেবার জন্য জেগে থাকে॥ ”
—সালাদিন।

“ আমাদের কেবল ভয়কে ভয় পাওয়া উচিৎ॥ ”
—ফ্রাংক্লিন ডেলানো রুজ্ভেল্ট।

“ আমরা হয় এক রাস্তা খুঁজে নেব, নয় বানিয়ে নেব॥ ”
—হ্যানিবল।

“ অসম্ভব শব্দটি মুর্খের অভিধানেই পাওয়া যায়॥ ”
—নেপোলিয়ন বোনাপার্ট।

“ জ্ঞান নয় কল্পনাই বুদ্ধির প্রকৃত পরিচয়॥ ”
—আলবার্ট আইনস্টাইন।

“ আমি ভেড়ার নেতৃত্বে সিংহ বাহিনীকে ভয় পাই না,
কিন্তু সিংহের অধীনে ভেড়ার পালকে ভয় পাই॥ ”
—আলেকজান্ডার।

“ আমি শুয়োর পছন্দ করি। কুকুর আমাদের দিকে চোখ তুলে তাকায়। বিড়াল চোখ নামিয়ে তাকায়। শুকর আমাদেরকে সমভাবে দেখে॥ ”
—উইনস্টন চার্চিল।

“ স্বপ্ন তা নয় যা ঘুমের মধ্যে আসে,
স্বপ্ন সেটাই যা ঘুমকে দুর করে॥ ”
—আবুল পাকির জয়নাল আবেদিন আব্দুল কালাম।

“ বামন চিনি পৈতা দেখে
বামনী চিনি কেমনে রে? ”
—লালন ফকির।

“ মানুষ স্বভাবতই একটি ‘রাজনৈতিক প্রাণী॥ ”
—অ্যারিস্টটল।

“ এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে॥ ”
—সুকান্ত ভট্টাচার্য্য।

“ কোন গাড়িকে তার চালক দেখে বিচার করা উচিৎ নয়॥ ”
—জাকির নায়েক।

“ আমি বেশি দুরে দেখে থাকলে তা দৈত্যদের ঘাড়ে চড়েই॥ ”
—আইজ্যাক নিউটন।

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ