ইংরেজী মাসের মে মাসের এক তারিখ হোক বা বছরের যে কোন দিন হোক শ্রমিককে আমরা ( আমরা যারা কায়িক পরিশ্রম করে জীবন জীবিকা চালাই না। ) প্রায় সময়ই ভেবে থাকি তারা কাজে ফাঁকি দেয়, তাদের প্রতি আমরা পাহাড়াদার বসাই, কাজ পরিমাপ করার যন্ত্র বসাই যাতে করে আমাদের বাজেটকৃত কাজটি সঠিক ভাবে আদায় করে নিতে পারি। আবার আমরাই বলি শ্রমিককে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পারিশ্রমিক দিলে একজন শ্রমিককে যন্ত্রে রূপান্তিরিত করা যায়, কিন্তু আমাদের বড় অবহেলা তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার বেলায়, যদি তারা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানে ভালো পারিশ্রমিক আদায় করে নেয়, যদি শ্রমিক নিজের পায়ে নিজেই দাড়িয়ে যায় !! এ সব আমাদের ভয়।
ওরা জীবনে বেঁচে থাকার জন্য নানান কৌশল জানে না বলে সুষ্ঠু ভাবে শুধু বেঁচে থাকার জন্য তারাও অনেকে নানান ঝুঁকি নিতে চায় না। ফলে আমাদের শ্রমিক সরবারাহ পদ্ধতি সহজেই থেকে যাচ্ছে।
প্রকৌশলীর্ ছেলে প্রকৌশলী হলে এটা আমাদের সমাজে স্বাভাবিক, কিন্তু কোন দৈব কারণে যদি শ্রমিকের ছেলে প্রকৌশলী হয় তখন আমাদের সমাজ ভাবতে বসে, নানান আলোচনা করে, নানান নিন্ম কথা বলে, এই মানসিকতা সবার আগে দূর হওয়া দরকার। কী ভাবে একজন শ্রমিক প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেয়ে তার পেশাগত দক্ষতা বাড়াবে এটাতে সকলের দৃষ্টি দিতে হবে অন্ততঃ যারা শ্রমিক কল্যাণে কিছু ভাবতে চায়।
শ্রমিক না পাওয়া গেলে আমাদের ঘরের কাজ কে করে দিবে!! ঘরকে কে আরাম আয়াশের আবাস বানাবে – এ সব যাদের ভাবনা তারা সমাজে সক্রিয় থাকলে মহান মে দিবসের আবেগী মুখস্ত তত্ব কথা না বলাই ভালো। শ্রমিকরাই একদিন তাঁদের সঠিক পথ বের করে নিবে। দেশে আজ যারা তরতর করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছেন তাঁরা হচ্ছেন আমাদের গর্বিত পোশাক শ্রমিক আর সেই গর্বিত বিদেশী শ্রমিক যারা বিদেশের মাটিতে অর্থ ব্যয় না করে সব টুকু টাকা দেশে পাঠিয়ে যারা বাড়চ্ছেন রেমিট্যান্স প্রবাহ।
প্রথম লেখার সময় কাল মে ০১, ২০১৪ ) 05/01/2014
রেটিং করুনঃ ,