লেখক:সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহীদ এজাজ-নয়াদিল্লি থেকে।
বাংলাদেশের প্রয়োজন মেটাতে সংকটের সময় ডিজেল ও গ্যাস বিক্রির আশ্বাস ভারতের।
করোনা মহামারির ধাক্কা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও ভারত নিবিড়ভাবে কাজ করবে। বর্তমান সংকটের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে ডিজেল ও গ্যাস বিক্রির মাধ্যমে প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে ভারত। দেশটি আপত্কালে চাল, গমসহ কয়েক ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহেরও নিশ্চয়তা দিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ নিজের চাহিদা আগাম জানাবে ভারতকে। এরপর ভারত নিজেদের চাহিদা পূরণ করে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করবে।
গতকাল মঙ্গলবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে দুই নিকট প্রতিবেশী দেশের প্রধানমন্ত্রীদের শীর্ষ বৈঠকের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে। পরে দুই দেশের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।
ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এরপর তাঁরা মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন। দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পাশাপাশি একান্তে নিজেদের মধ্যে কিছু সময় আলাপ করেন।
শীর্ষ বৈঠকের পর দুই পক্ষের মধ্যে সই হওয়া সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় হয়। পরে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একটি স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে চলবে ভারত। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদ দমনে সহযোগিতায় জোর দিয়েছি। ১৯৭১ সালের চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে যে শক্তিগুলো আমাদের পারস্পরিক আস্থাকে আঘাত করে তাদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
গত এক দশকে দুই দেশ বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দুই দেশ বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার চেতনায় অনেক অমীমাংসিত সমস্যার সমাধান করেছে। আমরা আশা করছি, তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি সইসহ অমীমাংসিত সব বিষয়ের সমাধান খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’
শীর্ষ বৈঠকের পর দুই প্রধানমন্ত্রী গতকাল ভার্চ্যুয়ালি বাগেরহাটের রামপালে সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশে বহুল আলোচিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধনের বার্তা দিয়ে টুইট করেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি। তিনি লিখেছেন, এই প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এ ছাড়া খুলনায় রূপসা সেতুসহ আরও চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী।
দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা তাঁর দপ্তরে এবং সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে আলাদাভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আলোচনায় দুটি বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। জ্বালানি সহায়তা, বিশেষ করে ভারত থেকে ডিজেল কেনার জন্য আমাদের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো আলোচনা করবে। এ বিষয়ে রাজনৈতিক সদিচ্ছা আছে ভারতের।’
এক প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত থেকে আমরা জ্বালানি নিতে চাই। এটা শুধু ডিজেল নয়, প্রথম পর্যায়ে গ্যাসের জন্যও বলা হয়েছে। একাধিক ভারতীয় প্রতিষ্ঠান নেপালে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। ভারত সেটি তাদের দেশে এনে বাংলাদেশকে পাঠাতে আগ্রহী। এখন সঞ্চালন লাইন হয়তো নেই। তবে এ ব্যাপারে আলোচনায় অগ্রগতি আছে।’
ভারত থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা নিশ্চিতের বিষয়ে দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘সেসব খাদ্যপণ্য ভারত থেকে আমদানি করতেই হয় সংকটের সময়ে যাতে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যায় নিতে পারি, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা রাখার জন্য আলোচনা হয়েছে।’
বাংলাদেশে তেল রপ্তানির বিষয়ে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন সামগ্রীর রপ্তানির বিষয় নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। জ্বালানি তেল ওই সামগ্রীর অন্যতম। এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার ভারতের সরকারি খাতের জ্বালানি তেল ও গ্যাস সংস্থা আইওসিকে চিহ্নিত করেছে। আমদানি-রপ্তানির বিষয় নিয়ে যাবতীয় খুঁটিনাটি তৈরি হতে কিছু সময় লাগবে। বিষয়টি নিয়ে আইওসি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে আলোচনা হবে।
বিনয় কোয়াত্রা আরও বলেন, বাংলাদেশকে ভারত চার লাখ টন গম সরবরাহ করেছে। ভবিষ্যতে যা প্রয়োজন, তা সার্বিক পরিস্থিতির বিচারে স্থির করা হবে।
নিত্যব্যবহার্য প্রয়োজনীয় পণ্য, যার মধ্যে দ্রুত পচনশীল দ্রব্যও আছে, তার নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ অব্যাহত রাখার বিষয়ে ভারত যত্নবান বলে উল্লেখ করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব। তিনি বলেন, এ জন্য সরবরাহব্যবস্থা তৈরির ওপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব আরোপ করেছেন। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘সেপা’ নিয়ে আলোচনা চলতি বছর শুরু হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজেই জানিয়েছেন। বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ হওয়ার সময় ওই বোঝাপড়া চূড়ান্ত হবে।
সংযুক্তিতে নতুন প্রস্তাব
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের শীর্ষ বৈঠকে নানা মাধ্যমে যোগাযোগ বাড়ানো, জ্বালানি, প্রযুক্তিসহ সংযুক্তির বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে। এ বিষয়ে গতকালের বৈঠকে ভারত নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, রেলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্য পরিবহনে কীভাবে একটি সমন্বিত ও বহুমাত্রিক যোগাযোগ চালু করা যায়—এ নিয়ে ভারত নতুন একটি প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে ট্রাকে পণ্য এনে সেটি ভারতের কোনো বন্দর দিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে কোনো একটি পণ্য ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে এখন মূলত সড়কপথ ব্যবহার করা হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পাটের ওপর অ্যান্টি–ডাম্পিং শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। যদিও আমাদের বলা হয়েছে যে এই পরিস্থিতির পরও ভারতে বাংলাদেশের পাটের রপ্তানি বেড়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের পাটের ওপর থেকে অ্যান্টি–ডাম্পিং শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়টি জোরালোভাবে তুলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন।’
নতুন প্রকল্পে বিনিয়োগের প্রস্তাব আদানি গ্রুপের
গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। পরে আদানি এক টুইটে বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করাটা সম্মানের বিষয়। তিনি আরও বলেন, ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের গোড্ডা তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু এবং সেখান থেকে বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সঞ্চালন লাইন এ বছরের ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করতে আদানি গ্রুপ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর পাশাপাশি আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে আরও বৃহৎ আকারে জ্বালানি ও অবকাঠামো খাতে সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে প্রস্তাব দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন গৌতম আদানি। প্রধানমন্ত্রী এসব প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গ
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে এবারও আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, রোহিঙ্গা প্রশ্নে বাংলাদেশ শঙ্কিত। এই সমস্যার সমাধানে যা কিছু করণীয়, ভারত করছে। বাংলাদেশকে সহায়তা করছে। ভবিষ্যতেও সহযোগিতার হাত বাড়ানো থাকবে। নিশ্চিত ও নিরুপদ্রব প্রত্যাবর্তনের কর্মসূচি ভারত সমর্থন করে। এ বিষয়ে ভারতের ভূমিকা সব সময় ইতিবাচক থেকেছে।
প্রটোকল ও সমালোচনা
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে বাংলাদেশে সমালোচনা হচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এই সফরের গুরুত্ব দিল্লির রাজপথ দেখলেই বুঝতে পারবেন। অবশ্যই কোনো ঘাটতি নেই। যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের ফাঁদে পা দিতে চাই না আমরা।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, এই সফরের একটা বড় প্রাপ্তি, কুশিয়ারার পানি প্রত্যাহারে সমঝোতা।
বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিমন্ত্রীকে পাঠানো নিয়ে বাংলাদেশে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়েছে। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বাংলাদেশের বিরোধীরা কী বলছেন, তা নিয়ে মন্তব্য করা উচিত নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে এসেছেন। সর্বোচ্চ প্রটোকল অনুযায়ী তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সম্মাননীয় অতিথির অমর্যাদা ভারত করে না। প্রতিপক্ষের সমালোচনার জবাব দেওয়া সমীচীন নয়।
সাত সমঝোতা স্মারক সই
দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এগুলো হলো অভিন্ন সীমান্ত নদী কুশিয়ারা থেকে পানি প্রত্যাহার, ভারতে বাংলাদেশের রেলওয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে ভারতের রেল মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের রেলওয়ের মধ্যে সমঝোতা, রেল খাতে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে সহযোগিতা, ভারতে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল অফিসারদের প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচির বিষয়ে ভারতের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের কাউন্সিল ফর সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) ও বাংলাদেশের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে সমঝোতা, মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতাসংক্রান্ত সমঝোতা এবং প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) মধ্যে সম্প্রচার সহযোগিতাসংক্রান্ত স্মারক।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের দ্বিতীয় দিন
গতকাল সকালে নয়াদিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখান থেকে শেখ হাসিনা রাজঘাটে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠকে অংশ নেন তিনি। এই কর্মসূচি শেষে আইটিসি মৌর্য হোটেলে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের দপ্তরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেখ হাসিনা। এর মধ্যে মৌর্য হোটেলে এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।
সফরের তৃতীয় দিন আজ ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীদের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা। বিকেলে এক অনুষ্ঠানে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ভারতীয়দের পরিবারের সদস্যদের হাতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বৃত্তি হস্তান্তর করবেন তিনি।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ:সেপ্টম্বর ০৭, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,