‘শেখ হাসিনা মোটেও দেশ ছাড়তে চাননি। কিন্তু পরিবারের সদস্যদের পীড়াপীড়িতে তা করেছেন।’ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এ কথা বলেছেন। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এনডিটিভিকে এ কথা বলেন তিনি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র বলেন, তিনি (শেখ হাসিনা) থাকতে চেয়েছিলেন, তিনি মোটেও দেশ ছেড়ে যেতে চাননি। কিন্তু আমরা জোর দিয়ে বলেছিলাম, দেশে থাকা নিরাপদ নয়। আমরা তাঁর শারীরিক নিরাপত্তার জন্য উদ্বিগ্ন ছিলাম। তাই দেশ ছেড়ে চলে যেতে তাকে রাজি করি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র বলেন, ‘আমি আজ সকালে তার (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলেছি। বলেছি, আপনি দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি অরাজক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা আরও বলেন, তিনি ভালো আছেন, তবে খুবই হতাশ। এটা তার জন্য খুবই হতাশাজনক। কারণ তার স্বপ্ন ছিল, বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা। এজন্য তিনি গত ১৫ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছেন। দেশকে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ থেকে সুরক্ষিত রেখেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের পর শেখ হাসিনা সোমবার দুপুরে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তিনি ভারত থেকে পরে লন্ডনে চলে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারেন।
ইন্ডিয়া টুডের তথ্য অনুযায়ী, নয়াদিল্লির গাজিয়াবাদে সেনাবাহিনীর হিন্ডন এয়ারবাসে স্থানীয় সময় ৫টা ৩৬ মিনিটে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিমান। ভারতের সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা তাকে স্বাগত জানান। সেখান থেকে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।
নিউজ এইটিন বলছে, শেখ হাসিনার ছোট বোনা শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের নাগরিক। রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সংসদ সদস্য। যে কারণে তারা যুক্তরাজ্যে যেতে পারেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার জানায়, সদ্য পদত্যাগ করা শেখ হাসিনা ভারতে কোনো রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, সোমবার রাতেই তিনি লন্ডনে রওনা হবেন।
তবে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।
সূত্র:সমকাল।
তারিখ: আগষ্ট ০৬, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,