শেখ হাসিনা সরকার আমলে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী ব্যক্তি নামে-বেনামে কত টাকার ঋণ আত্মসাৎ করেছেন বা পাচার করেছেন তার হিসাব করছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের অনুমান এই অর্থের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন টাকার বেশি হবে।
দেশের শীর্ষস্থানীয় এক গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা আমলে বড় অংকের টাকা যেসব প্রতিষ্ঠান লুটপাট, আত্মসাৎ বা পাচার করেছে তার মধ্যে অন্যতম এস আলম গ্রুপ। গ্রুপটির মালিক সাইফুল আলম শেখ হাসিনা সরকার শাসনামলে সাতটি ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ পান। তিনি অজ্ঞাতভাবে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ২ লাখ কোটি টাকা তুলে নিয়েছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বুধবার ইঙ্গিত দেন যে এস আলম সিস্টেমেটিক্যালি বাংক থেকে অর্থ লুট করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি জানিনা এমন পরিকল্পনার মাধ্যমে বিশ্বে কেউ এত অর্থ ডাকাতি করেছেন।
গত বুধবার অর্থ আত্মসাৎকারীদের বিচারের প্রতি সরকারের কঠোর মনোভাবের ইঙ্গিত করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, ব্যাংকগুলোর নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউ, সিআইডি ও দুদকের সহায়তায় আত্মসাৎকারীদের স্থানীয় সম্পদ অধিগ্রহণ ও বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার মাধ্যমে আত্মসাৎকৃত অর্থ পুনরুদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সহায়তা চেয়ে এরই মধ্যে যোগাযোগ শুরু করেছে সরকার।
শিগগিরই ব্যাংকিং কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে বলা হয়, কমিশন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি ব্যাংকে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করবে এবং ব্যাংকগুলো পুনর্গঠনের জন্য ছয় মাসের মধ্যে একটি বাস্তবায়নযোগ্য রোডম্যাপ প্রণয়ন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের লক্ষ্য হলো সব আন্তর্জাতিক মানদণ্ড পরিপালনে সক্ষম একটি শক্তিশালী ব্যাংক খাত গড়ে তোলা। ব্যাংকগুলোর এ পুনর্গঠন এবং আর্থিক খাতের কাঠামোগত সংস্কার সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
সূত্র:ইত্তেফাক।
তারিখ: আগষ্ট ২৯, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,