ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মেট্রো রেলের পিলারে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভে’ গণজুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। জুতার সঙ্গে ঝাড়ু ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে শেখ হাসিনার ‘ঘৃণাস্তম্ভে’।
সোমবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ঘৃণাস্তম্ভে হাসিনার পুনর্অঙ্কিত প্রতিকৃতিতে এমন জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শিশু, বৃদ্ধ, নারী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ছিল এ অনুষ্ঠানে।
তারা ‘জুতা মারো তালে তালে, খুনি হাসিনার দুই গালে’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরো দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিল্লি না ঢাকা-ঢাকা ঢাকা’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এর আগে রবিবার দিবাগত রাত ১টায় গ্রাফিতিটি আঁকার কাজ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত চলে পতিত শাসক শেখ হাসিনার এই গ্রাফিতি আঁকার কাজ।
নতুন করে ব্যঙ্গচিত্রটি আঁকেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শিমুল কুম্ভকার, চারুকলা অনুষদের ছাত্র ইউনিয়নের সদস্য মৃধা রাইয়ান, ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক প্রচার সম্পাদক মমিন মুক্তার সবুজ।
গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের দপ্তর গতকাল এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেট্রো রেলের ওই পিলারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।
ছবি মুছে ফেলার কাজটি প্রক্টরিয়াল টিমের অনিচ্ছাকৃত ভুল। এ জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মোছার চেষ্টা অনিচ্ছাকৃত ভুল : ঢাবি
মাঝরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসি এলাকায় মেট্রো রেলের পিলারে শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টাকে প্রক্টরিয়াল টিমের ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ উল্লেখ করে দুঃখ প্রকাশ করেছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। আজ রবিবার এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘আমরা অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পেছনে মেট্রো রেলের দুটি পিলারে থাকা শেখ মুজিব এবং স্বৈরাচার শেখ হাসিনার ঘৃণাসূচক গ্রাফিতি মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। জুলাই আন্দোলনে এই দুটি গ্রাফিতি বিপ্লব, প্রতিরোধ এবং ফ্যাসিবাদ ধ্বংসের প্রতিনিধিত্ব করে
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে গত রাতেই শিক্ষার্থীরা মুছে ফেলা গ্রাফিতি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এঁকেছেন। এই স্তম্ভটিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিক ঘৃণাস্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার এই ঘৃণাকে যুগ যুগ ধরে সংরক্ষণের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গ্রহণ করবে।’
সূত্র: কালের কন্ঠ।
তারিখ: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
রেটিং করুনঃ ,