Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

শুভ জন্মদিন মুহাম্মদ আলী !

Share on Facebook

মুহাম্মদ আলী (ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে, ১৭ই জানুয়ারী,১৯৪২ – ৩রা জুন,২০১৬) একজন মার্কিন পেশাদার মুষ্টিযোদ্ধা ছিলেন, সাধারণভাবে যাকে ক্রীড়ার ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হেভিওয়েট হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ক্রীড়াজীবনের শুরুর দিকে আলী রিংয়ের ভেতরে ও বাইরে একজন অনুপ্রেরণাদায়ক ও বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড তাকে শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় ও বিবিসি তাকে শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে সম্মানিত করেছে।

ক্লে ১২ বছর বয়সে প্রশিক্ষণ শুরু করেন। ১৯৬৪ খ্রীষ্টাব্দে ২২ বছর বয়সে তিনি সনি লিস্টনকে পরাজিত করে বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন। ফেব্রুয়ারী ২৫ থেকে সেপ্টেম্বর ১৯ পর্যন্ত তিনি অবিতর্কিত হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সম্মান পান। এর কয়েকদিন পরে, তিনি নেশন অব ইসলামে যোগদান করে তার নাম পরিবর্তন করেন। ১৯৭৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি সুন্নি ইসলামে ধর্মান্তরিত হন।

১৯৬৭ খ্রীষ্টাব্দে আলী তার ধর্মীয় বিশ্বাস ও ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের বিরোধিতার কারণে মার্কিন সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান করতে অস্বীকৃত হন। এর কয়েকদিন পরে তাকে এই কারণে দোষী সাব্যস্ত করে তার বক্সিং উপাধি কেড়ে নেওয়া হয়। তিনি তার জীবনের সেরা সময়ে পরবর্তী চার বছর কোন ধরনের বক্সিং প্রতিযোগিয়ায় নামতে পারেননি। ১৯৭১ খ্রীষ্টাব্দে তাঁর আবেদন সুপ্রিম কোর্টে পেশ হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সরিয়ে নেওয়া হয়। যুদ্ধের বিরুদ্ধে আলীর বিবেকজনিত কার্যকলাপ তাকে সংস্কৃতি বিরোধী প্রজন্মের নিকট শ্রদ্ধার পাত্র করে তোলে। বক্সিং জগতে ফিরে এসে আলী ১৯৭৪ ও ১৯৭৮ খ্রীষ্টাব্দে আবার বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেন।

পেশাদার কুস্তিগীর জর্জ ওয়েগনার দ্বারা অনুপ্রাণিত আলী বক্সিং-এর সঙ্গে সম্পর্কহীন বিভিন্ন বিতর্কিত বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন ও সাক্ষাতকারে স্পষ্ট মতামত জানাতে দ্বিধা করতেন না। আলী শ্বেতাঙ্গ আমেরিকানদের বিরোধিতা করে আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীড়াজগতের অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হন।

তার পিতা ক্লে সিনিয়র সাইনবোর্ড এবং বিলবোর্ড রঙ করতেন এবং মা ওডিসা গ্র্যাডি ক্লে একজন গৃহিনী ছিলেন। যদিও ক্লে সিনিয়র একজন মেথডিস্ট ছিলেন কিন্তু তার সন্তানদের বাপ্টিস্টে নিতে তার স্ত্রীকে অনুমতি দিতেন। ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে জুনিয়র ১৯৪২ খ্রীষ্টাব্দের ১৭ই জানুয়ারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকির লুইভিলাতে জন্মগ্রহণ করেন। দুই ভাইয়ের বড় ক্লের নামকরণ তার পিতা ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে সিনিয়রের নামে করা হয়, যার নাম একই নামের একজন উনবিংশ শতাব্দীর মার্কিন রাজনীতিবিদের সম্মানে রাখা হয়েছিল। ক্লের পিতামহ ও পিতামহীর নাম ছিল জন ক্লে ও সালি অ্যানা ক্লে। ক্লের ভগিনী ইভার বয়ান অনুযায়ী সালি মাদাগাস্কারের অধিবাসী ছিলেন। সিনিয়র ক্লে প্রাক-গৃহযুদ্ধের দক্ষিণাংশের একজন আফ্রিকান আমেরিকান ক্রীতদাসের বংশধর ছিলেন।

লুইভিলার পুলিস অফিসার তথা বক্সিং প্রশিক্ষক জো মার্টিন ক্লেকে প্রথম বক্সিং শিখতে বলেন, যখন তিনি বারো বছরের ক্লেকে একজন সাইকেল চোরের সঙ্গে মারপিট করতে দেখেন। এর পরবর্তী চার বছর বক্সিং কাটম্যান চাক বোডাক তাকে প্রশিক্ষণ দেন।

ক্লে ১৯৫৪ খ্রীষ্টাব্দে প্রথম অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় নামেন। তিনি ছয়বার কেন্টাকি গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, দুইবার জাতীয় গোল্ডেন গ্লাভস উপাধি, একবার অ্যামেচার অ্যাথলেটিক ইউনিয়ন জাতীয় উপাধি এবং রোমে অনুষ্ঠিত ১৯৬০ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকে বক্সিং প্রতিযোগিতায় লাইট হেভিওয়েট বিভাগে স্বর্ণপদক লাভ করেন। অপেশাদার বক্সিং প্রতিযোগিতায় ক্লে ১০০ বার জেতেন ও মাত্র পাঁচ বার পরাজিত হন।

১৯৮০ সালে তিনি পারকিন্সন্স রোগে আক্রান্ত হন। তাকে যখন বলা হয় তিনি তার রোগের জন্য বক্সিংকে দায়ী করেন কিনা, তিনি বলেন বক্সিং না করলে এত বিখ্যাত হতেন না। অবসরের পরে তিনি তার জীবনকে মানবতার কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। ৩২ বছর পারকিনসন্স রোগে ভোগার পর ৩রা জুন, ২০১৬ সালে ৭৪ বছর বয়সে মারা যান তিনি।

সূত্র: সংগৃহিত।

(সৌজন্যে : উইকিপিডিয়া)
তারিখ: জানুয়ারী ১৭, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ