শিশু-কিশোরদেরকে নিয়ে ভাবার দিন। শিশু বয়সে, কিশোর বয়সে কেমন ছিলাম আমরা !! অনেক কথা বলতে হয় তাহলে, তবে অবশ্যই আমরা, মোবাইল ফোন নাড়াচাড়া করি নি, ইন্টারনেটে বসি নি বা হিন্দি চ্যনেলে হিন্দি ভাষার কার্টনও দেখি নি। কোন না কোন ভাবে বড় হলাম আমরা সময়ের পথে, ভবিষ্যতের পথে পা চালিয়ে চালিয়ে, চলতি বিশ্বকে মানিয়ে নিয়ে।
সময়ের স্রোতে সব শিশু, কিশোর-কিশোরীরা মেধাবী, ও আকর্ষনীয় থাকে বা ছিল সব সময়ই। আমাদের সময় আমরা অনেক শক্ত ছিলাম আর এখনকার শিশু, কিশোর-কিশোরীরা অনেক বেশি নড়বড়ে একটিও তথ্য সঠিক নয় বলে ধারণা।
সময় চলেছে সময়ের প্রয়োজনে, সময়ের চাহিদা মত, শিশু, কিশোর-কিশোরীরাও বড় হচ্ছে চলতি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে ।
সব কথাকে ছাপিয়ে দিয়ে বহু আগে কবি গোলাম মোস্তফা লিখে গিয়েছিলেন তাঁর এক বিখ্যাত কবিতায় ” ঘুমিয়ে আছে শিশুর পিতা সব শিশুরই অন্তরে। ”
আজকের যে শিশু সেই শিশুটির মধ্যে ঘুমিয়ে আছে আগামীকালের বাবা-মা। আজকের সেই শিশুই দেবে জাতিকে নেতৃত্ব। এখন প্রশ্ন রাখা যায় কেমন করে গড়ে তুলব আমাদের আজকের শিশুটিকে !! আমরা কেমন চাই জাতির ভবিষ্যত নেতাকে !! আর এই নেতাকে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের, সেই দায়িত্ব পালনের তারিখ আজ থেকেই শিশুর শিশুকাল থেকেই।
একটি শক্ত প্রকৃতিক ভীত, শক্ত অর্থনৈতিক ভীত, শক্ত মানব সম্পদের ভীত ছাড়া যেমন একটি দেশ বা জাতি শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে না ঠিক তেমন করে শিশুদের জন্য চাই উন্নত চিন্তা চেতনার ক্ষেত্র। আর তাঁদের জন্য উন্নত চিন্তা চেতনার ক্ষেত্র তৈরী করে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সকলের।
আমাদের বড় হওয়া আর আজকের একটি শিশুর বড় হওয়ার মধ্যে অনেক রকমের পার্থক্য থাকতে পারে, আজ একটির কথা বলি যেমন. আমরা বড় হয়েছি প্রায় অনেকেই এক পাল বা একের অধিক ভাই-বোন এক সাথে ঘুরে বেড়িয়ে, লেখাপড়া করে খেলাধূলা করে। কিন্তু আজকের অনেক শিশু বড় হচ্ছে একা বা বড় জোড় সাথে এক বা দুই জন ভাই বা বোন কে সাথে নিয়ে।
আজ বড় একটি প্রশ্ন দেখা যায় -আজকের শিশুটি কি বড় হচ্ছে একাকিত্ব নিয়ে !! অনেক প্রশ্ন কি রেখে দিচ্ছে তাঁরা নিজেদের কাছে !! সাথী হিসাবেকে কি বেছে নিচ্ছে – টিভি, কার্টুন, সেল ফোন, নানান ই- গেমেস, কম্পিউটার, ইন্টারনেটকে !!
বাবা-মাকে, বড় ভাই বোনদেরকে দাদা-দাদীকে অনেক সচেতন হতে হবে, সজাগ হতে হবে কেমন হবে আজকের শিশুদের বিচরণ ক্ষেত্র ! বড় হওয়ার ক্ষেত্র !!
তারিখ : জুলাই ১১, ২০১২
রেটিং করুনঃ ,