লেখা লিখি বিষয়টাকে বেছে নিলাম সৌখিন পেশা হিসাবে, একটি ব্যক্তিমালিকাধীন প্রতিষ্টানে অনেক বছর ধরে কর্মরত যেখান থেকে আসে নিয়মিত আয় আর জমা হয় কিছু সঞ্চয়ের খাতায়, হিসাবটা দরিদ্র তালিকায়। যে গুটি গুটি করে আয় আর সঞ্চয়ের ধরণ তাকে আয়ের দিক দিয়ে প্রতিষ্ঠিত বলা যায় না।চলে যাওয়া দিনের মত তাই ভবিষৎ সঞ্চয় নিয়ে মাথায় সব সময়ই একটি চিন্তা থাকে যা মাঝে মাঝে হতাশাকে সঙ্গি করে।
শব্দের পরে শব্দ সাজিয়ে যে লেখার লাইন রচিত একই ভাবে এক একটি শব্দকে এক একটি ইট মনে করেছি, যতার্থ শব্দের পরে শব্দ সাজালে যেমন কাব্য হয় তেমন করেই শব্দকে ইট ভাবলে একটি ইমারত বা প্রসাদ তৈরী করা যায় প্রয়োজনীয় পরিমান জমি সহ। রাজা বাদশাহরা যেমন ইট পাথর দিয়ে ইমারত বা প্রসাদ তৈরী করেছেন শব্দের কারিগরগন একের পর এক কাব্য রচিত করেছেন এই অর্থে একটি শব্দ ও ইটকে একই ভাবা যায় যখন মানুষের কেবল দৃষ্টি টাকা-কড়ির দিকে, ইমারত বা প্রসাদ তৈরীর দিকে।
আদিকাল থেকে একটি ইমারত বা একটি কাব্য একই ভূমিকা রেখেছে কেবল পার্থক্য কোন কোন ইমারত কালের কু-ইতিহাসের সাক্ষ্যি হিসাবে আর কাব্য আলোকিত হয়ে।
ইমারত তৈরীতে আমাকে টানে নি বরং প্রাণ টেনেছে শব্দ, অতি মূল্যমানের শব্দ।শব্দের পরে শব্দ সাজিয়ে প্রকাশ করতে চেয়েছি নিজেকে, প্রকাশ করতে চেয়েছি সমাজের অন্ধকারকে, অন্ধকার সমাজ গড়ার কারিগরদের।
নিজের একটি ইমারত থাকলে মনে শক্তি থাকে সমাজে প্রতি পত্তি থাকে একই ভাবে লেখনি ক্ষমতা থাকলে মনে শক্তি থাকে সমাজে মূল্যায়ন থাকে।
সামাজে নিকটে কিছু পরিচিত মানুষ থাকে কোন কোন স্বার্থের কারণে তাদের প্রকৃত মুখোশ উম্মেচিত করা যায় না, কিন্তু যে লেখকের কোন স্বার্থ থাকে না সে পারে মুখোশ ধারীর মুখোশ উম্মোচন করে দিতে।
লেখনী শক্তি দিনে দিনে যত দূর্বল হতে থাকবে সমাজে ততই নানা রকমের ইমারত তৈরী হতে থাকবে আবার কিছু ইমারত কু-ইতিহাসের সাক্ষ্যি হয়ে থাকবে, মুখোশ ধারীর সংখ্যা বাড়তেই থাকবে।
নানান প্রতিকূলতার মধ্য দিয়েও কিছু কিছু শব্দের কারিগর তাদের লেখনীর মধ্য দিয়ে মুখোশ ধারীর মুখোশ উম্মোচন করে দিতে শব্দের পরে শব্দের গাঁথনী দিতে থাকবে। কিছু ইমারত যে অভিশপ্ত তা চিত্রায়িত করে যাবে শব্দের গাঁথনীতে যা কিছু মানুষকে দেখাবে আলো, কিছু মানুষকে করে যাবে আলোকিত।
আমারও লক্ষ্য ইসারত গড়ার বদলে শব্দের পরে শব্দের গাঁথনী দিতে একটি আলোকবর্তিকা তৈরী করে যাওয়া বা সূচনা করে যাওয়া তাই আপোষ হয় নি কিছু নিকট জন মানুষের সাথে যদি লেখা থেমে যায়! যদি শব্দের পরে শব্দের গাঁথনীতে বাঁধা পড়ে।
তারিখঃ অক্টোবর ১১, ২০১৯
রেটিং করুনঃ ,