Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

শত কোটি টাকা হাসিনার ত্রাণ তহবিলে দিতেন নজরুল (২০২৪)

Share on Facebook

নজরুল ইসলাম মজুমদার টানা দেড় দশক বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সের (বিএবি) চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ছিলেন ব্যাংক সেক্টরের মাফিয়া। তার কথার ওপর কেউ কথা বলতে পারতেন না। শেখ হাসিনার খুব ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। হাসিনার নামেই তিনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে চাঁদা তুলতেন। প্রতিবছর কয়েক শ কোটি টাকার চাঁদা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে জমা দিতেন। ছোট ও নতুন ব্যাংক থেকে ২-৩ কোটি, মধ্যম সারির ব্যাংক থেকে ৪-৬ কোটি এবং বড় ব্যাংক থেকে ১০-২০ কোটি টাকা চাঁদা তুলতেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।

এছাড়া আন্তঃব্যাংক ফুটবল টুর্নামেন্ট ছেড়ে কামিয়েছেন মোটা অঙ্কের টাকা। প্রতিটি ব্যাংকের শুধু এন্ট্রি ফিই ছিল ২৫ লাখ টাকা। এর বাইরে অন্যান্য খরচ তো আছেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান যুগান্তরকে বলেন, সব ব্যাংকের চেয়ারম্যানরা তখন জিম্মি ছিলেন, কেউ কথা বলতে পারতেন না। নজরুল ইসলাম মজুমদার যা বলতেন, তাই হতো। এক ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, ব্যাংক খাতের আজকের দুর্দশার জন্য বিএবি বড় অংশে দায়ী। তিনি বলেন, বিএবির মতো একটা প্রতিষ্ঠান তখন খেলাধুলায় ব্যস্ত ছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ঋণগ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন, দুর্দশাজনিত কারণ বা বন্ধ প্রকল্পে আংশিক বা সম্পূর্ণ সুদ মওকুফ করা যাবে। আয় খাত বিকলন ও নিয়মিত ঋণে সুদ মওকুফ করার নিয়ম নেই। তবে নাসা গ্রুপের কারখানা সচল এবং প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগের ঘটনা না ঘটলেও আয় খাত বিকলন করে সুদ মওকুফ করে জনতা ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমোদন নিয়ে এ সুবিধা দেওয়া হয়। ২০২১ ও ২০২২ সালে বড় অঙ্কের সুদ মওকুফ করা ব্যাংকটি এখন নানা সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

নিয়ম না মেনে বড় ঋণের সুদ মওকুফের ঘটনা নতুন করে আলোচনায় আনেন জাতীয় পার্টির তৎকালীন সংসদ-সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু। ১০ জুন জাতীয় সংসদে এক আলোচনায় তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফের চারটি ইনগ্রেডিয়েন্স রয়েছে। এর মধ্যে একটিও নেই-এমন প্রতিষ্ঠানের কয়েক শ কোটি টাকা মওকুফ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২০২২ সালের সার্কুলারে বলা হয়, ১৯৯১ সালের আগস্টে জারি করা সার্কুলারের নির্দেশনার আলোকে ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত বিভিন্ন কারণ যেমন: ঋণগ্রহীতার মৃত্যু, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি, মড়ক, নদীভাঙন, দুর্দশাজনিত বা প্রকল্প বন্ধের ফলে সুদের সম্পূর্ণ বা অংশবিশেষ মওকুফ করতে পারে। তবে সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, বিশেষ পরিস্থিতি বিবেচনায় না নিয়ে ব্যাংক কর্তৃক বিভিন্ন গ্রাহকের অনুকূলে প্রায়ই সুদ মওকুফ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এতে সুদ মওকুফ সুবিধা পাওয়ার জন্য যথাসময়ে ব্যাংকের পাওনা পরিশোধে অনাগ্রহ সৃষ্টি হতে পারে, যা ব্যাংকিং খাতে সার্বিক ঋণশৃঙ্খলার পরিপন্থি।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নাসা গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের ঋণ ১৫৬ কোটি টাকা। এর বিপরীতে সুদ জমেছে ২৬১ কোটি টাকা। সেই সুদ মওকুফ করেছে জনতা ব্যাংক। সুদ-আসল মিলে ৪১৭ কোটি টাকা ঋণের বিপরীতে গ্রুপটির পরিশোধ করতে হয়েছে মাত্র ১৫৬ কোটি টাকা। ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিএবি ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের মালিকানাধীন নাসা তাইপে স্পিনার্স ও নাসা স্পিনার্সকে ব্যাংকের তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা না মেনে ২০২১ সালে ওই সুবিধা দেওয়া নিয়ে প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে আবার সুদ মওকুফসহ ঋণ সমন্বয়ের সুযোগ দেওয়া হয়।

সূত্র: যুগান্তর।
তারিখ: অক্টোবর ০৩, ২০২৪

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ