ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষে পা দিল। একটি বিদ্যাপীঠের বেলায় শতবর্ষে পা দেওয়া কম কথা নয়। গত বছর আমরা মুজিব জন্মশতবর্ষ পালন করেছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীও পালন করেছি। এসব অনুষ্ঠান পালন করতে গিয়ে দেশের জনগণের চালিকাশক্তি হিসাবে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা মনে হয়েছে।
আমার চিন্তা-চেতনায় এসেছে- বাংলাদেশকে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্ররূপে গড়ার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম ১৯২০ সালে; তারই এক বছর পর ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তাদের মধ্যে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ও শেরেবাংলা ফজলুল হকের নামের সঙ্গে ঢাকার নবাব সলিমুল্লাহর নামও উল্লেখ করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে ইংরেজ শাসকদের নবাব সলিমুল্লাহকে খুশি করার কথা বলা হয়।
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ রদ করায় নবাব সাহেবের মনে দুঃখ হয়েছিল, তা দূর করার জন্য এবং একই সঙ্গে পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের মনেও আলাদা পূর্ববঙ্গ ও আসামের মিলনে নতুন প্রদেশ গঠন না করার দুঃখ দূর করার উদ্দেশ্যে এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইংরেজ শাসকরা প্রতিষ্ঠা করেছিল। এ প্রচারটিই বহুদিন ধরে বাজারে চলেছে।
এ প্রবাদ থেকেই সাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে মূলত নবাব সলিমুল্লাহর উদ্যোগে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে প্রচলিত ধারণাটির উদ্ভব। এ ধারণাটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়- এ বিশ্বাসটি আমার মনে দৃঢ়তা লাভ করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালেই। এ কথা সত্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে শাসক ইংরেজদের একটা সাম্রাজ্যবাদী মতলব ছিল। ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ পরবর্তীকালে প্রচণ্ড বঙ্গভঙ্গবিরোধী আন্দোলনের ফলে তা বাতিল করতে হয়। এ আন্দোলনের শক্তি এবং তাতে রবীন্দ্রনাথের মতো খ্যাতিমান কবির গান লিখে সমর্থন জানানো দেখে ইংরেজরা দেখল, অদূর ভবিষ্যতে বাংলার হিন্দু-মুসলমান যুক্ত হয়ে আন্দোলন করলে তাদের রাজত্ব রক্ষা করা অসম্ভব হবে। তাই আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে পূর্ববঙ্গে এমন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যে বিদ্যাপীঠে আলিগড়ের মতো পূর্ববঙ্গের মুসলমান তরুণদের হিন্দু-বৌদ্ধ ধর্মের ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে এবং তাদের ধ্যান-ধারণা থেকে দূরে রাখবে।
এজন্য আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের কায়দায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য মাথায় টুপি, গায়ে লম্বা শেরওয়ানি এবং পরনে আলিগড়ি পাজামা ড্রেস কোড করা হয়েছিল। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় নবাব সলিমুল্লাহ খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়টি না হলেও তার না-খুশি হওয়ার কিছু ছিল না। তিনি ছিলেন ব্রিটিশ শাসকদের খয়ের খাঁ; সব কাজে তাদের সমর্থক। ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ায় তিনি খুশি হয়েছেন; কিন্তু না হলেও তার অ-খুশি বা ব্রিটিশবিরোধী হওয়ার কোনো কারণ ছিল না।
সিপাহি বিদ্রোহ দমনে ব্রিটিশদের সাহায্যদান এবং বিশ্বাসঘাতকের ভূমিকা গ্রহণ করে এ বহিরাগত উর্দুভাষী পরিবার ব্রিটিশ রাজের কাছ থেকে নবাব খেতাব লাভ করেন। এ পরিবারের এক তরুণের কবর আছে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে। কবরটি তখনকার ইংরেজ শাসকরা দিয়েছিলেন। কবরের ওপর পাথরের গায়ে লেখা আছে, ‘সিপাহি বিদ্রোহে ব্রিটিশ রাজকে সাহায্যদানের জন্য কৃতজ্ঞতার প্রতীক হিসাবে এ স্মৃতিস্তম্ভটি তৈরি করা হয়েছে।’ এ কবরে শায়িত ব্যক্তিটি স্যার সলিমুল্লাহর এক ঊর্ধ্বতন পুরুষ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় সবচেয়ে মেধা ও শ্রম জুগিয়েছেন নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী এবং তার তরুণ শিষ্য ফজলুল হক এবং আরও কয়েকজন। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, পূর্ববঙ্গের কৃষিভিত্তিক সমাজ থেকে তখন দলে দলে যেসব তরুণ বেরিয়ে আসছে, নব্য মধ্যবিত্ত সমাজের ভিত্তি গড়ে তুলছে; তাদের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তখন কঠোর রক্ষণশীল বর্ণহিন্দু পণ্ডিতদের কবলে। মুসলমান ও নিুবর্ণের হিন্দু ছাত্রদের ভর্তির ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য করা হয়। পণ্ডিত ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর তখন ছাত্রজীবন। তিনি মুসলমান বিধায় সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্য নিয়ে এমএ কোর্সে ভর্তি হতে বাধা দেওয়া হয়। উপাচার্য আশুতোষ মুখার্জির হস্তক্ষেপে তিনি ভর্তি হন। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী তাকে আলাদা ক্লাসে পড়াতেন। বর্ণহিন্দু ছাত্রছাত্রীরা তার পাশে বসতেন না।
বর্ণবাদের এ দেওয়াল ভেঙে সব ধর্মের মানুষকে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্য নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। এজন্য মূল কৃতিত্ব নবাব নওয়াব আলী চৌধুরীর প্রাপ্য। তিনি ছিলেন বিদ্যোৎসাহী মানুষ। ইংরেজ শাসকরা তার বদলে তাদের প্রিয়ভাজন নেতা স্যার সলিমুল্লাহকে সব কৃতিত্ব দিয়েছেন। তার নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছাত্রাবাস তৈরি করা হয়েছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর নবাব নওয়াব আলীর নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনে একটি সম্মেলন কক্ষ তৈরি করা হয়।
ইংরেজরা চেয়েছিলেন পূর্ববঙ্গে একটি দ্বিতীয় আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। তা হয়নি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথমদিকের অথবা শেষের দিকের কোনো দেশি অথবা বিদেশি উপাচার্য কেউ ধর্মীয় বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেননি; বরং রমেশচন্দ্র মজুমদারের মতো প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ছিলেন দীর্ঘকাল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। সাম্প্রদায়িকতার পরিবর্তে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১০ বছর না যেতে ঢাকায় যে বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন তৈরি হয়, তার প্রধান ঘাঁটি ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ছাত্রাবাস সলিমুল্লাহ হলে।
আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। যেমন কবি আবদুল কাদির, ড. কাজি মোতাহার হোসেন, কাজি আবদুল ওয়াদুদ এবং আবুল হোসেন। একমাত্র আবুল হোসেন সম্ভবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। এ আন্দোলনে কবি কাজী নজরুল ইসলামও সমর্থন জানিয়েছিলেন। এ বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন সর্বধর্মের সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং অবাধ চিন্তার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার ভিত্তি গড়ে তুলেছিল, যা পরে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদের আন্দোলন তৈরিতে সাহায্য করে।
চল্লিশের দশকের একেবারে গোড়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিন্দু ও মুসলমান ছাত্রদের একাংশের মধ্যে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে দাঙ্গা হয়; তাতে নজির নামে এক মুসলমান ছাত্র নিহত হন। এ নজিরকে ‘পাকিস্তান আন্দোলনের শহিদ’ আখ্যা দিয়ে দল পাকাতে চেষ্টা হলেও তা সফল হয়নি। তখনকার বামপন্থি ছাত্র আন্দোলনে এ সাম্প্রদায়িক শক্তি অচিরেই পরাভূত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা সূত্র ধরে তার গায়ে সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ ছিটানোর চেষ্টা হলেও এর ইতিহাস প্রমাণ করে, বাঙালি মুসলমান মধ্যবিত্ত শ্রেণির তরুণদের মনে এ বিশ্ববিদ্যালয় অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাদান পদ্ধতি অনুসরণ করে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটায়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার এএফ রহমান, মাহমুদ হাসান, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, ডব্লিউ এ জেনকিন্স প্রমুখ কারও ভূমিকাতেই কোনো তারতম্য ছিল না। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ের উপাচার্য জাস্টিস আবু সাঈদ চৌধুরী স্বয়ং স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগ দেন এবং দেশের রাষ্ট্রপতিও হয়েছিলেন।
তার আগে ভাষা আন্দোলনের সঙ্গেও ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবুল বরকত প্রধান ভাষাশহিদদের একজন। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারিতে গুলিবর্ষণের পর যখন পাকিস্তানি সৈন্যরা সলিমুল্লাহ হল ঘেরাও করে ছাত্রদের ওপর গুলি চালাতে উদ্যত হয়েছিল, তখন উপাচার্য সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, রেজিস্ট্রার আবদুল হাদি তালুকদার সৈন্যদের সামনে বুক পেতে দাঁড়িয়ে তাদের প্রতিরোধ করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল জিন্নাহ যখন ঢাকায় কার্জন হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনভোকেশনে ঘোষণা করেছিলেন- উর্দুই দেশের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে, তখন তার মুখের সামনে দাঁড়িয়ে ‘নো-নো’ বলে চিৎকার করেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নঈম আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে, তেমনি দিয়েছে স্বাধীনতা যুদ্ধেও। এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই গর্বিত ছাত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান; যিনি ধর্মনিরপেক্ষ বাঙালি জাতীয়তাবাদের উদ্গাতা এবং একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা। তার কন্যা শেখ হাসিনা দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হই, তখন বিভাগীয় প্রধান ছিলেন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ। অধ্যাপক ছিলেন শহিদ নাট্যকার মুনীর চৌধুরী, ভাষা বিজ্ঞানী অধ্যাপক আবদুল হাই, অধ্যাপক কাজী দীন মুহম্মদ, ড. নীলিমা ইব্রাহিম, অজিত গুহ, ডক্টর আহমদ শরিফের মতো পণ্ডিতরা। বাংলায় বিএ অনার্স পড়ার সময় আমার সাবসিডিয়ারি সাবজেক্ট ছিল ইংলিশ লিটারেচার। শিক্ষক ছিলেন শহিদ জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, কবি সৈয়দ আলী আহসান, ড. সারোয়ার মুর্শেদ। তখন ঢাকা শহরে যে নবনাট্য আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, তার পুরোভাগে ছিলেন ভাষা আন্দোলনভিত্তিক বিখ্যাত নাটক ‘কবরের’ লেখক শহিদ মুনীর চৌধুরী, নাট্যকার নূরুল মোমেন, আসকার ইবনে শাইখ প্রমুখ। সবাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আমার মনে হয়, গত শতকের পঞ্চাশের দশক ছিল বাংলাদেশের বাঙালির রেনেসাঁর কাল। শিল্পে, সাহিত্যে, নাট্য আন্দোলনে, বিজ্ঞানচর্চায় বাঙালির নব-উন্মেষের কাল। এ রেনেসাঁয় নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। অসংখ্য বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা, শিল্পী, সাহিত্যিক, লেখক তৈরি করেছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান তার সহযোগীদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির অতীত ঐতিহ্য রক্ষা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাদান যুগোপযোগী করে তোলার চেষ্টা করছেন।
ঢাকার মঞ্চে ১৯৫৩ সালের আগে নারী চরিত্রে নারীদের অভিনয় করার সুযোগ ও অধিকার ছিল না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আন্দোলনের ফলে এ সামাজিক বাধা দূর হয়। ঢাকার মঞ্চে প্রথম চার নারী অভিনেত্রী সাবেরা খাতুন, জহুরত আরা ও মাসুমা চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্রী ছিলেন। চতুর্থজন লায়লা সামাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন কিনা আমার জানা নেই। হ্যারল্ড লাস্কির ছাত্র অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক ও কবীর চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং প্রয়াণের আগে জাতীয় অধ্যাপক হয়েছিলেন। দুই বাংলাতেই পণ্ডিত হিসাবে সম্মানিত ড. আনিসুজ্জামানও জাতীয় অধ্যাপক হয়েছিলেন। আরেক জাতীয় অধ্যাপক নজরুল বিশেজ্ঞ ড. রফিকুল ইসলাম এখনো বেঁচে আছেন। ভাষা আন্দোলনেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমার বন্ধু।
বিশ্বের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয় ভাষা আন্দোলন ও জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিল এবং নেতৃত্ব দিয়েছিল কিনা আমার জানা নেই; কিন্তু আমার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছে। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে পরিচিত এ বিশ্ববিদ্যালয় তার অভ্যন্তরীণ সাম্প্রতিক সব জঞ্জাল দূর করে এশিয়ার শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে মাথা তুলে দাঁড়াবে- এ আশা আমার রয়েছে। আরেকটি কথা; আবারও বলি-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মের সঙ্গে যারা সাম্প্রদায়িকতার গন্ধ লাগান, তারা ইতিহাসের অজ্ঞ পাঠক।
লন্ডন, ৪ জুলাই, রোববার, ২০২১
সূত্র: যুগান্তর
তারিখ: জুলাই ০৫, ২০২১
রেটিং করুনঃ ,