নিজেকে যদি একজন লেখক হিসাবে দাবি করে বসি, তাতে কোন সমস্যা নেই, বিষয়টা অনেকটা এমন দাঁড়ায় “ ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধীরাম সর্দার ! ”
আমার লেখার ভাব আছে, লেখার জন্য ল্যাপ-টপ বা কম্পিউটার আছে, লেখা প্রকাশ করার জন্য বিভিন্ন ব্লগে নাম রেজিষ্ট্রেশন করা আছে কিন্তু আমি নিধীরাম সর্দার ঠিকই, আমার ঢাল নেই তলোয়ার নেই অর্থাৎআমার প্রকৃত পাঠক নেই, সমালোচক নেই। নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাসও নেই যে, একই ধারাবাহিকতায় লেখা লেখি চালিয়ে যাওয়া যাবে কিনা !!
বর্তমান প্রযুক্তির বদৌলতে আমরা অনেকেই হাতের খুব লাগালে পাওয়া বাংলা ব্লগ আমাদেরকে লেখক ও পাঠক হিসাবে তৈরী করে দিয়েছে, আমরা লেখক হয়ে লিখছি আবার পাঠক হয়ে অন্য লেখকের লেখা পড়ছি, সেই সাথে ব্লগ রীতিতে মন্তব্য কলামে মন্তব্য করে নিজের লেখাটি অন্য পাঠককে দিয়ে পড়িয়ে নিচ্ছি কৌশলে !
প্রথমত বাংলা লেখায় আমাদের একটি উন্নয়ন ঘটেছে ব্লগে লেখাকে কেন্দ্র করে – বাংলা ব্লগগুলি একটু গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে নূতন প্রজন্মের একটি লক্ষণীয় উপস্থিতি বিদ্যামান আছে এখানে, তারা লিখছেন, নিজের ধারণাকে শেয়ার করতে সক্ষম হচ্ছেন সারা বিশ্ব ব্যাপি যেখানে আছেন আমাদের বাংলা ভাষাভাষীগন।
এমন একটি সময় ছিল নিজের একটি আত্ম প্রত্যয়ি লেখা প্রকাশ করা আর শত মন ওজনের একটি পাথরকে ঢেলে নেওয়ার মত বিষয়। আমরা সেই লেখা প্রকাশের কঠিন বলয় থেকে বেড়িয়ে এসেছি বর্তমান প্রযুক্তির বদৌলতে। তবে সকলে আমরা লেখক বা অ-লেখক যাই হই না কেন একটু সচেতন হলেই কিছুটা হলেও নিজেকে জানা হয়।
লেখার মাধ্যম ও লেখার জন্য সরন্জামাদী অনেক সহজ হয়ে যাওয়ার জন্য আমরা লিখছি বেশি কিন্তু আমার ধারণা আমরা পড়ছি কম অর্থাৎ মোড়কে বাঁধানো ছাপার বইগুলি পড়ছি কম, আর নিজের লেখাগুলি সাজানো সম্পদনা করতে একটা বড় সময় চলে যায় নিজের লেখার প্রতি আর আমরা যদি ব্লগ লেখক হয়ে থাকি তাতে আরও বড় সমস্যা হচ্ছে অন্য লেখকের লেখা পড়ে সঠিক মন্তব্য না করলে নিজে যে পাঠক শূণ্য তা আর বলার প্রয়োজন পড়ে না, ব্লগিং এ একটি বড় বিষয় হলো সময় ব্যয়।
যিনি আত্ম-বিশ্বাসী লেখক তিনি কখনও ভাবেন যে, তার পাঠন আছেন কিনা ! তিনি লিখে যাওয়ার পরে আর আর পিছনে তাকানও না যে তিনি কী লিখেছেন !
লেখকের সংখ্যা যত বাড়ছে আমাদের সামগ্রিক লেখার ভান্ডার তত সমৃদ্ধ হচ্ছে, লিখতে গিয়ে আমাদের কোন না কোন লেখা অবশ্যই একাগ্রচিত্তে পড়তেই হচ্ছ, অযথা সকলের পক্ষ্যে লেখা সম্ভব হয়ে উঠে না।
সময় ব্যয় করে, সখের বশে আমরা অনেকেই যে কেন লিখি এ সব কথার উত্তর অনেক ! তবে লেখার স্ব-ক্ষমতা থাকলে নিয়মিত লেখা চালিয়ে যাওয়া উচিত তাতে অন্ততঃ নিজেকে জানা যায় নিজেকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়।
রেটিং করুনঃ ,
এমন একটি সময় ছিল নিজের একটি আত্ম প্রত্যয়ি লেখা প্রকাশ করা আর শত মন ওজনের একটি পাথরকে ঢেলে নেওয়ার মত বিষয়। আমরা সেই লেখা প্রকাশের কঠিন বলয় থেকে বেড়িয়ে এসেছি বর্তমান প্রযুক্তির বদৌলতে। তবে সকলে আমরা লেখক বা অ-লেখক যাই হই না কেন একটু সচেতন হলেই কিছুটা হলেও নিজেকে জানা হয়।
মূল্যবান কথা।
প্রাণ-খোলি মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সময় ব্যয় করে, সখের বশে আমরা অনেকেই যে কেন লিখি এ সব কথার উত্তর অনেক ! তবে লেখার স্ব-ক্ষমতা থাকলে নিয়মিত লেখা চালিয়ে যাওয়া উচিত তাতে অন্ততঃ নিজেকে জানা যায় নিজেকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়। :yes: :yes: :yes: :yes: :yes: :heart: :heart: :rose:
মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
“সময় ব্যয় করে, সখের বশে আমরা অনেকেই যে কেন লিখি এ সব কথার উত্তর অনেক ! তবে লেখার স্ব-ক্ষমতা থাকলে নিয়মিত লেখা চালিয়ে যাওয়া উচিত তাতে অন্ততঃ নিজেকে জানা যায় নিজেকে স্বীকৃতি দেওয়া যায়।”
মূল্যবান কিছু কথা তুলে ধরেছেন রব্বানী ভাই। আসলেই তাই। তবে এটাও ঠিক যে সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না। :-)