একটি পোষ্টের প্রাণ হচ্ছে পোষ্টটিতে পাঠকের সমাগম আর পাঠকের গঠন মূলক মন্তব্য, যে কোন লেখকের বা কবির মুল সম্পদ হচ্ছে পাঠক, লেখক বা কবির পক্ষ্যে অতীতে অনুমান করা খুব কঠিন ছিল যে তার লেখা গল্প, কবিতা বা প্রবন্ধটি পাঠকের মনে কতটুকু দাগ কাটবে, রবি ঠাকুর খুব আত্মবিশ্বাস নিয়ে লিখেছিলেন :
” আজি হতে শতর্বষ পরে কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতা খানি কৌতূহল ভরে আজি হতে শতর্বষ পরে …”
আজ আমরা বলতে পারি কবিগুরুর লেখা কবিতা, গল্প, উপন্যাস কিম্বা প্রবন্ধ তাঁর পাঠক হাজার হাজার বছর ধরে নানান কৌতুহল সহ পড়ে যাবেন।
বর্তমানে প্রযুক্তির নানান সুবিধায় আমরা এখন লেখার জন্য ব্লগ পেয়েছি, একটি পোষ্ট যা একটি কবিতা বা গল্প কিম্বা প্রবন্ধ লিখে ব্লগে পোষ্ট করে দিলে ব্লগের নীতি মালার সাথে মিল থাকলে তা প্রকাশ হচ্ছে, আমরা পাঠকের মতামত পেয়ে একটি ধারণায় আসতে পারি লেখাটির মান সম্পর্কে। পোষ্ট প্রকাশিত হলো কিন্তু তেমন কোন মন্তব্য নেই, আবার পাশের একটি পোষ্টে অনেক সন্মানিত ব্লগার অনেকগুলি গঠন মূলক মন্তব্য করেছেন- এর কারণ সচেতন ব্লগার গন জানেন, পোষ্টে লিখে ব্লগে পোষ্ট করে সময় পান না বলে অন্য ব্লগারের পোষ্টে মন্তব্য করেন না বা একটি ফুল দিয়ে বা ” ভালো হয়েছে ” “ধন্যবাদ” জানিয়ে মন্তব্য প্রকাশ করেন, – এটা হয় তো ব্লগের নিয়ম, অন্য লেখকের একটি পোষ্টে যদি আমি নিজেই গঠন মূলক মন্তব্য না করি, তবে আমার পোষ্টটিতে কেউ সময় ব্যয় করে একটি মন্তব্য করবেন এমন আশা করা সাজে না।
প্রযুক্তির কল্যানে একটি পোষ্ট ব্লগে প্রকাশিত হলো কিন্তু সেখানে পাঠকের কোন গঠন মূলক আলোচনা নেই – এই পোষ্টটি প্রকাশেরও কোন অর্থ দেখি না, অন্য একজন লেখকের বা কবির লেখা বা পোষ্ট যেমন গুরুত্ব দিয়ে পড়বেন, গঠন মূলক মন্তব্য করবেন, আপনার পোষ্টটিতেও ঠিক তেমন গঠন মূলক আলোচনা সহ মন্তব্য আশা করা যায়। নিজের লেখাটির মান বা পঠকের মনে কত খানি দাগ কাটলো তা সহজে ও সংক্ষিপ্ত সময়ে আমরা এখন বুঝতে পাচ্ছি – এটি একটি আমাদের খুব বড় পাওয়া। আমরা সময় ব্যয় করে, গুরুত্ব-পূর্ণ সময় ব্যয় করে ব্লগে লিখে আমরা ব্লগ লেখক হয়েছি – তবে প্রকৃত পক্ষ্যে আমরা কতখানি লেখক বা কবি ! নিয়মিত ভাবে লিখে যেতে পারব কিনা ! এগুলি এখন অনেক বড় ভাবনার বিষয়। নাকি এই লেখা শুধু মাত্র একটি শখের নাকি অবসর কাটানোর জন্য !!
এখন সকল প্রক্রিয়ায়, সকল ধারায় আসছে নতুন চল বা গতি, গত কাল যা চল বা চলমান ছিল তার অনেক কিছুই এখন অচল, নতুন গতিতে শুরু হয়েছে যাত্রা, অনেকটাই আত্ম-বিশ্বাস নিয়ে বলা যায় নুতন লেখক ও কবি হিসাবে যারা সাহিত্যের জগতে জায়গা দখল করে নিবেন তাদের অনেকের যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলায় লেখার মঞ্চ গুলি থেকেই।
সুস্থ্য ও পরিশুদ্ধ ভাবে বাংলায় লেখার মঞ্চ গুলিতে আমাদের লেখা লেখি আরও উন্নত ধারায় এগিয়ে যাক – এই হোক সকলের প্রত্যাশা।
রেটিং করুনঃ ,
মনে হয় আজকাল পাঠকের চেয়ে লেখকই বেশি। যে কারণে পড়ার চেয়ে লেখার ঝোকটাই বেশি বলে মনে হয়, আর মন্তব্য করা হয় না। আমিও লিখি তবে আমার লেখা অন্য লেখকের লেখা পড়া পরে তবেই লেখা।
মনে হয় আজকাল পাঠকের চেয়ে লেখকই বেশি। যে কারণে পড়ার চেয়ে লেখার ঝোকটাই বেশি বলে মনে হয়, আর মন্তব্য করা হয় না।
আপনার কথাগুলির সাথে একমত। মন্তব্য কলামে লেখার মধ্য দিয়ে আমি নিজেও দেখেছি লেখার আর একটি ভাবনা এসে ধরা দেয়, আর সেই ভাবনাটি কাজে লাগাতে পারলে আর একটি পূর্ণাঙ্গ লেখা বেড়িয়ে আসে কলমে।
যথার্থ ও প্রাণ-বন্ত মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুন্দর এবং সময় উপযোগী একটা পোষ্ট।
আসলেই আমরা একটা লেখার মন্তব্যে এক বা দুইটা শব্দে শেষ করে দেই। কোন প্রকার গঠন্ মূল্ক আলোচনা করি না।
তাতে একজন লেখকের নিজেকে সংষোধনের কোন শুযোগ থাকে না।
আর একটা লেখা পোষ্ট হলে তাতে সবারি ই উচিত পড়া এবং গঠন মুলক মন্তব্য করা।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোষ্ট দেওয়ার জন্য।
আমার লেখটির সাথে একমত পোষণের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ, একটি লেখার প্রাণ হচ্ছে পাঠক সেই সাথে পাঠকের মন্তব্য।
আর একটা লেখা পোষ্ট হলে তাতে সবারি ই উচিত পড়া এবং গঠন মুলক মন্তব্য করা।
খুব সত্য ও প্রয়োজনীয় কথা।
এখন সকল প্রক্রিয়ায়, সকল ধারায় আসছে নতুন চল বা গতি, গত কাল যা চল বা চলমান ছিল তার অনেক কিছুই এখন অচল, নতুন গতিতে শুরু হয়েছে যাত্রা, অনেকটাই আত্ম-বিশ্বাস নিয়ে বলা যায় নুতন লেখক ও কবি হিসাবে যারা সাহিত্যের জগতে জায়গা দখল করে নিবেন তাদের অনেকের যাত্রা শুরু হয়েছে বাংলায় লেখার মঞ্চ গুলি থেকেই……….
হ্যা, যাত্রা শুরু হয়েছে অনেক অনেক লেখকের!
আমরা সেই উজ্জ্বল দিনের অপেক্ষারত!!
ধন্যবাদ আপা, একদিকে যেমন লেখা প্রকাশের এখন অনেক সহজ পদ্ধতি এসেছে তেমনি একজন লেখক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্টিত করা এখন অনেক কঠিন কয়েক হাজার মন পাথর একাই উপরে ঠেলে নেওয়ার মত অবস্থা।
ভাই আমরা অতি, গতির মধ্যে বিদ্যান হওয়ার চর্চায় ব্যস্ত,,,,,,,,,,,,,
আমরা অতি, গতির মধ্যে বিদ্যান হওয়ার চর্চায় ব্যস্ত………….
দ্রুত বড় ও দ্রুত সেলিব্রেটি অদম্য বাসানার কারণে লেখা-লেখির জগৎ এখন দূর্বল কাঠামোর উপর দাড়িয়ে। বাস্তব মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।