পর্যাপ্ত পড়ার উপরে আর কিছু নেই, এই শাস্ত্র পড়া, ঐ দর্শণ পড়া, সমকালের বিষয় পড়া, গত কালের লেখা পড়া, আগামীদিনের লেখা পড়ার পরে নিজের মাথায় ফোঁটা ফোঁটা লেখার ধারণা জমবে, সেই জমা ধারণা থেকে নতুন পুরাতন ধারণার মিশ্রণে মাথায় নতুন লেখার ধারণা আসবে।
জীবনের যা প্রয়োজন, মনের খোরাক মিটানোর জন্য যে সব লেখা প্রয়োজন তা পূর্বের কবি ও লেখকগন লিখে গিয়েছে তারপরও নতুন লেখার প্রয়োজন আছে, নতুন লেখার পাঠকও আছে। লেখা-লেখির পর্বটা আয়োজনটা একটি ধারাবাহিকতায় চলবে। তা ছাড়া পূর্বের কবি ও লেখকগন লিখে গিয়েছেন, কী বুঝাতে তা নতুন ও সময়োযুগী করে দেওয়ার জন্য নতুন নতুন লেখার প্রয়োজন। তা না হলে ঢাকা পড়ে যাবে নতুন প্রজন্মের কাছে কালজয়ি কবি ও লেখক।
একই লেখা থেকে একজন পাঠক এক এক ধরণের রশদ বের করে আনতে পারেন এটাই একজন লেখকের লেখার সার্থকতা। ঘরের জালনা দিয়ে যেমন আলো প্রবেশ করে ঘরের আসবাব পত্র দিয়ে যে ছায়া তৈরী হয় আর তা থেকে আলো আধারের একটি নক্সা তৈরী হয় এটি যেমন একটি শিল্প তেমনি মনের মধ্যে লেখা প্রবেশ করে মনের বাগানের শোভায় একটি আবহ বা নক্সা তৈরী হয় সেটাই লেখা পাঠের একটি শিল্প।
এই শিল্পটিতে যতক্ষণ আবিষ্কার করা যায় না ততক্ষণ পর্যন্ত কোন লেখা পড়ে সেই লেখাকে শিল্পে রূপান্তরিত করা যায় না, আর করা গেলেই কোন লেখা পড়ার সার্থকতা সেটি নতুন বা পুরাতন যেমন লেখাই হোন না কেন !
তারিখ: জুন ১৭, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,