লেখার সন্ধানে যে চলাচল, লেখাকে হয়তো খুঁজে পাওয়া গেল, লেখাও কলমে আসতে থাকলো, ক্রমাগত লিখতে থাকলাম, লেখার একটি স্তপ বা লেখার গুদাম ঘর তৈরি হল। কিন্তু সে গুদাম ঘরে কোন সঠিক পাঠক নেই, সে লেখা তখন হতে পারে গভীর বনের ঝরা পাতা যা এক সময় মাটিতে মিশে যায়।
লেখক ও পাঠক একটি তারে বাঁধা এটা নুতন কোন কথা নয়, যারা পাঠক সবাই তা জানেন। যারা লেখক তারাও জানেন। রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর, ওমর খৈয়াম, বা ইতালির লেখক- কবি দান্তে আমাকে বলে যান নি বা অনুরোধ বার্তা দিয়ে যান নি যে আমি যেন তাদের লেখাগুলি পাঠ করি।
আমার যে কয়েক খানি বই বা যে বইগুলি নাড়াচাড়া করি সেগুলি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের, ওমর খৈয়ামের, কবি দান্তের। সঠিক কোন অবচেতন মন বইগুলিকে সংগ্রহ করেছে কখন বা কি ভাবে আমার তা আজ স্মরণে নেই।
একজন পাঠক একজন লেখকের কি ভাবে ভক্ত হয় তা হয় তো কারও স্মরণে থাকার কথাও নয়। তবে একদিন পাঠক সঠিক ভাবে আবিস্কার করে ফেলে যে, তিনি একজন বা কয়েক জন লেখক ও কবির ভক্ত। তাঁদের পাঠক। এটা কোন নিদৃষ্ট প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয় না বলে আমার ধারণা।
পাঠক তৈরীর ক্ষেত্রে, টাকায় বাঘের চোখ মেলে – এ কথাটা হয়তো অচল, লেখকের প্রতি একটি সরল বিশ্বাস, একটি ভালো লাগায় লেখকের পাঠক তৈরী হয়, পল্লী গ্রামে যে ভাবে আজও একটি বৃক্ষের প্রতি, নদীর প্রতি, পাহাড়ের প্রতি একজন মানুষের একটি বিশ্বাস জন্মে, ঠিক সে ভাবে একজন সরল মানুষেরর কাছে বৃক্ষ, নদী পাহাড় একটি বই হয়ে যায়, তখন কোটি কোটি মানুষ সেই ভাবে বৃক্ষ, নদী পাহাড়ের পাঠক হয়ে যায়। বড় হতাশা নিয়ে আজ বলতে হয় আমার তবে পাঠক কোথায় !!
কবি হোমার, ইরানের কবি হাফিজ, কবি কলিদাশ বা এ কালের কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহাম্মেদ পৃথিবী পৃষ্ঠে কি আমাদের জন্য স্বর্ণ মুদ্রা ছিটিয়ে গিয়েছিলেন নাকি আমরা তাদের লেখার শব্দগুলিকে স্বর্ণ মুদ্রা মনে করে আমাদের মাথায়, মনে স্ব-যত্বনে রেখে দিচ্ছি !!
লেখার শব্দগুলিকে স্বর্ণ মুদ্রার মত পৃথিবী পৃষ্ঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিতে পারলেই হয়তো পাঠক চলে আসতো আমাদের লেখায় আর তখন আমাদের বসবাস হতো পাঠকের সমুদ্রে যা আমাদের মন চায় ভিতরের মন, আমাদের শুদ্ধ মন।
রেটিং করুনঃ ,