লেখার সন্ধানে – ৫
বিশ্বে এমন বহু দেশ আছে যেখানে প্রায শত ভাগ মানুষ লিখেতে পারে, তবে সে দেশের সব মানুষই লেখক নয়। লেখার অর্থ লেখা নয় আর লিখলেই লেখা হয় না
এগুলি সকলের জানা। সব লেখাই রেখা হয় না আর সব লেখাকে বই এর আকার দেওয়া যায় না, বা পত্রিকায় ন্থান দেওয়া যায় না। মান সন্মত লেখা বই এ স্থান পাবে যা দশকের পর দশক, শতকের পর শতক বই এর লেখাগুলি পাঠকের হাতে পৌঁছিয়ে যাবে, পাঠক বাঁচিয়ে রাখবে লেখককে, কবিকে।
পাঠকের লেখক নির্বাচন একটি বড় বিষয়, পাঠক কাকে তাঁর প্রিয় লেখক বা কবি নির্বাচন করবে এটা পাঠকের একটি বড় ক্ষেত্র এখানে পাঠক বড় স্বাধীন ও বড় ক্ষমতাবান। এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে, পাঠকরাই লেখককে নিয়ন্ত্রন করে, পরিচালিত করে, পাঠকের পছন্দ মত লেখা না হলে জনপ্রিয় লেখক ইদানিং বড় কষ্টের, লেখাটি ঠিক কোন মানের তার খানিক একটি প্রতিক্রিয়া লেখা প্রকাশের সাথে সাথে পাওয়া যায়।
একটি লেখা প্রকাশের পর পরেআ এক জন লেখক বুঝতে পারে তাঁর লেখার বা লেখক বা কবি হিসাবে জনপ্রিয়তা কতখানি ! জনপ্রিয়তার হিসাব কষেই লেখক কবি লিখে থাকেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছড়া, প্রবন্ধ, মহাকাব্য।
পাঠকের নিয়ন্ত্রন ছাড়া, পাঠকের সাথে বন্ধুত্বের সেতু রচনা ছাড়া, পাঠকের ভালো লাগা মন্দ লাগার বিচার ছাড়া, সমালোচনা ছাড়া ক্রমাগত লিখে যাওয়া এক ধরণের সময়ের অপচয়ও হতে পারে।
লেখার সন্ধানে যে যাত্রা, লেখার উপর দখলের যে চেষ্টা, যে চর্চা, এক ধরণের ব্রত বা সাধনা এ সবই লেখার মানকে ধাপে ধাপে এগিয়ে নিচ্ছে, বাড়িয়ে দিচ্ছে আমাদের লেখার দক্ষতা। এ সবই সম্ভব হচ্ছে নুতন সংযোজন ব্লগের মাধ্যমে
রেটিং করুনঃ ,