লেখার সন্ধানে -৭
পৃথিবীতে যা দীর্ঘ স্থায়ি তা একটি শক্ত ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আছে, যার ভিত্তি নড়বড়ে তা দাড়িয়ে থাকার কথা নয় আর এ জন্যই প্রকৃত মানুষ সব সময় একটি শক্ত ভিত্তির সন্ধার করে। লেখার ভিত কেমন হওয়া চাই !! এক কথায় উত্তর আসে চাই শক্ত ভীত।
বাংলা ভাষায় কিছু কথা আছে যেমন তাসের ঘর, বালির বাঁধ।
সাধারণ ধারণায় একটি শক্ত ভিত্তির পাশে তাসের ঘর, বালির বাঁধ এ কথাগুলি বড় বে-মানান, আবার যদি বলা যায় মাহা-জাগতিক চিন্তায় আমাদের বা মানুষের যা সৃষ্টি এ পৃথিবীতে সবই তাসের ঘর বা বালির বাঁধের মত, এক কথায় ক্ষণ স্থায়ি, তবে মনে হয় কথাটি আবার বে-মানান নয়।
একই কথা ক্ষেত্র বিশেষে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে প্রকাশ করা যায়। একই বিষয়ে নানান ভাবে নানান কথা বলা যায়। একই বিষয়ে দ্বি-মত সব সময়ই থাকার কথা, তবে ভালো – মন্দের পরিমাণ কম আর বেশি।
তাহির একজন বদ প্রকৃতির ছেলে, সকলের কাছে সে বদ। কিন্তু বদ প্রকৃতির এই তাহির কেমন তাঁর মায়ের কাছে !!
আমাদের লেখায় একই বিষয় এক এক লেখক এক এক ভাবে লিখতে কোন বাঁধা থাকার কথা নয়। রবি ঠাকুর লিখে গেছেন ” মেঘের পরে মেঘ জমেছে,
আঁধার করে আসে-“ তাই বলে এই ধরনের কথা আর কি লেখা যাবে না !! আমরা যদি লিখি -” পাথরের পরে পাথর জমে নদীটি যেন একটি পাথরের ভান্ডার হয়েছে,” মনে করি না কথাটি রবীন্দ্রনাথের লেখার ধারাকে নকল করা হলো।
লেখার স্বাধীনতা ব্যাপক যা আয়তনে আনা সম্ভব নয়। লেখার জন্য চাই মানসিকতা, লেখার পরিবেশ, লেখার জন্য প্রচুর বই পড়া, লেখাটি হোক ইন্টানেটে , পড়া হোক ইন্টানেটে কোন সমস্যা নেই, চাই প্রচুর পড়া, চাই প্রচুর মেধা, মেধার চাষ, মেধার বিকাশ।
১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলনের পেক্ষাপটে, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা আন্দোলনের পেক্ষাপটে আমাদের অনেক লেখা, বই, কাব্য, মহা-কাব্য। এই দুই আন্দোলনের পেক্ষাপটও অনেক ব্যাপক ও গভীর। কিন্তু সারা বেলা নীল আকাশ পানে চেয়ে থেকে, মার্বেল খেলে, বট গাছ তলায় বাঁশি বাজিয়ে সময় কাটিয়ে দিলে যে অনেক লেখা যাবে না এমনটিও নয়। অনেক ছোট্ট একটি বিষয় থেকে অনেক বড় মাপের একটি লেখা লিখা লেখক ও কবির কাজ।
লেখার সন্ধানে -২
রেটিং করুনঃ ,