লেখা-লেখির প্রতি আমাদের আগ্রহ কমেছে, মনে হয় কথাটি সঠিক নয় বরং বলা যেতে পারে লেখার ভাব বা ভাবনা মাথায় আসে কম, মানুষের মাথায় যখন কোন ভাবনা বা সূত্র আসে তখন সে তাড়াতাড়ি লিখে ফেলে, না হলে কি ভাবনা বা ছন্দ মাথায় এসেছিল আমরা তা অনেকেই ভুলে যাই।
ভাব বা ভাবনার দিকে এখন আমাদের সময় কম, কি ভাবে নিজেকে প্রতিষ্টা করা, বিশেষ করে আর্থিক ভাবে নতুন কিছু লেখার পিছনে সময় দিতে গিয়ে আমাদের বাড়তি ভাবনার সময় কোথায় ! আর কে বা চায় লেখা-লেখির পিছনে সময় অপচয় করতে আজকাল তো লেখা-লেখি করে আয় অর্জন হয় না। লেখা-লেখি করে কয়েক বছর আগে শুধু হুমায়ূন আহামেদ জ্বলন্ত প্রমান হয়ে দাড়িয়েছিলেন আমাদের মাঝে যে, লেখা-লেখি করে বিত্তবান মানুষের মত জীবন যাপন করা যায় লেখার বদলে আসে কাঁচা টাকার মত বস্তাভর্তি নগদ টাকা বা ব্যাংক চেক। হওয়া যায় সম্পদের মালিক। অনেকেই তখন হুমায়ূন আহমেদকে মনে ধারণ করে লিখতেন কিন্তু কাঁচা টাকার গন্ধ তেমন আর কেউ পান নি, যেমনটি হুমায়ূন আহমেদ পেয়েছিলেন।
অর্থের বিনিময়ে, নিজের নাম প্রচারের জন্য কখনও কোন লেখা কোন লেখকের মাথায় আসে না, যা সে দ্রুত লিখে ফেলবে বই হিসাবে প্রকাশিত হবে। কিছু লিখলে বই আকারে প্রকাশ করা যায় কিন্তু বই বা বইয়ের লেখা যদি দীর্ঘ পেক্ষাপট বিবেচনায় লেখা না হয় তবে তা বেশ দ্রুত সময়ে হারিয়ে যায়। কাঁচা টাকার গন্ধ পেয়ে যেমন হুমায়ূন আহমেদ লেখার পিছনে ছুটে ছিলেন তিনি নিজেই বলেছিলেন তিনি টাকার বিনিময়ে লিখেন তার বিদায়ের পরে লেখা-লেখি জগতে বিরাট শূন্যতা পূরণ হলেও তার পাঠক এখন হারিয়ে যেতে বসেছে, আর মত তার লেখার পাঠক ক্রেতা এখন অনেক কম, বর্তমান প্রজন্ম তাকে দ্রুত অতীত করে দিচ্ছে, তার লেখার মধ্যে বাস্তুবতার ছোয়া খুজে পাচ্ছে না বলে আজ তার লেখার পাঠকের যোগান কম।
থাক সে সব কথা, মাথায় ভাব আসে না, ভাবনা আসে তাই লেখাও আসে না, তবে কি কখনই নিজস্ব চিন্তা চেতনায় লেখার কি অধীক যোগান আর আসবে না !!!
তারিখ। জুলাই ১৫, ২০১৬
রেটিং করুনঃ ,