বর্তমানে লেখার মান যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে লেখক বা কবি এবং পাঠকের সংখ্যাও এর বড় একটি কারণ লেখার জন্য ও পাঠের জন্য stationery বা লেখা-লেখির জন্য প্রয়োজনীয় পন্থা বা সরঞ্জামাদির সহজ লভ্যতা।
লেখা প্রকাশ করা অতীতে কতটা দূরহ ছিল তা অতিতের লেখক বা কবিগনই ভালো জানতেন, প্রযুক্তির বর্তমান যুগে আমারও কিছুটা অনুমান করতে পারি কতটা কঠির ও ধৈর্যের বিষয় ছিল। অনেকের ঘরে ঘরে পান্ডলিপিই থেকে গেছে তা আর প্রকাশ হয় নি, আর বুঝা যায় সহজে পাঠক পাওয়া বা তৈরী করা কতটা কঠিন বা দুঃষ্কর ছিল, সামর্থবান ও দৃঢ় আত্ম-প্রত্যয়ীরাই পেরেছিলেন লেখা প্রকাশ ও পাঠক তৈরী করতে।
বর্তমানে লেখক বা কবি এবং পাঠকের সংখ্যা অতীতের চেয়ে অনেক অনেক বেশি তাই সু-প্রতিষ্ঠিত লেখক ও কবি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করাটা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক অনেক দূরুহ, কিন্তু যিনি নিয়মিত মান সন্মত লেখা লিখে যান কোন বিরুতি না দিয়ে তার জন্য সু-প্রতিষ্ঠিত লেখক ও কবি হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করাটা সহজ বলে মনে হয়।
ইন্টারনেটের সহায়তায় যারা লেখা প্রকাশ করেন এই ধরণের লেখকের সংখ্যা অনেক আর দিন দিনে এই সংখ্যা অতি দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে এবং বাড়তেই থাকবে তবে এই সমন্ত লেখকরা একটি গন্ডির মধ্যে সীমা বদ্ধ এবং লেখকরাই একে অপরের পাঠক। যে লেখক অন্য লেখকের যত বেশি লেখা পড়েন বা অন্যের লেখায় উপস্থিতি জানান দেন সেই লেখকের পাঠকের সংখ্যা বেশি।
মান সন্মত লেখার অনেক লেখকও আজকাল ইন্টারনেটের সহায়তায় লেখা প্রকাশ করেন, সেখানে অনেক পাঠকের সমাবেশ ঘটে কিন্তু এমন লেখককের সংখ্যা হাতে গোনা।
পথ বা পন্থা যত সহজ, সেই পথ বা পন্থাটাই আরও কঠিন বর্তমানকে হাতে রেখে ভবিষৎ-এর তুলনায়। প্রযুক্তির বদৌলতে এত লেখকের ও কবির ভিড়ে কে কবি কে লেখক সেটা নির্ধারণ করাটাই একটি কঠিন বিষয়। নিজেকে বর্তমানে লেখক কবি হিসাবে কেউ দাবি করলেও ভবিষৎ-এর পাঠক কি আমাদের কয়জনকে লেখক কবি হিসাবে স্বীকৃতি দেবেন !!
তারিখ: জুলাই ০৯, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,