লেখার ভবিষ্যৎ
এখন বেশ মনে হয় বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে আমার মত যারা, তাঁরা অনেকেই লিখতে পারেন, কিন্তু অনেকের লেখা হয় না। সহজ ভাবে লেখার সময় বের করা হয় না বলে অনেকের লেখা হয় না।
আমরা উন্নত আয়ের দেশের মানুষ নই, আমাদের বাঁচার চিন্তাটাই বড়, দৈনিক ভালো ভাবে চলা, সামনের দিনগুলি ভালো ভাবে চলার জন্য ভালো সন্চয়ের কথায় সারা দিনমান ব্যাস্ত থাকার কারণে আমাদের লেখা হয় না, কিছু লেখার জন্য সময় বড় মূল্যবান হয়ে দাঁড়ায়। কখনও কখনও ভাবি লিখতে গিয়ে যদি গরীব হয়ে যাই বরং তখন তো আমাকে কেউ আর আমাকে চিনবে বা জানবে বলে মনে হয় না, জগৎ ই আমাকে দিবে দূরে সরিয়ে।
লেখা গুলি যদি মূল্যবানও হয় তখন বেশ বলা যায় জীবন দশায় আমাকে কেউ আর চিনবে না। লেখার পিছনে নিত্য যে সময় ব্যয় তা অর্থ উপার্জনের পিছনে ব্যয় হলে কী দাঁড়ায় !!
তখন বড় জোড় একজন টাকাওয়ালা মানুষ !! অর্থ উপার্জন বা টাকা উপার্জন একদিন সব ভোগ বিলাস করে চলে যাওয়া, রেখে যাওয়া সম্পত্তি, বংশধর কিন্তু লেখা হয় নি বলে জগতে অবশিষ্ট থাকে নি আমার চিন্তা চেতনা, কী ভাবনা ছিল আমার মাথায় বা মনে !!
কিন্তু যারা লেখক, কবি তাঁরা সময়ের কথা বিবেচনা করে লিখেন না, লেখা তাঁদেরকে লেখায়। পার্থক্যটা এখানেই আমরা লেখার চেষ্টা করি সেগুলি হয় তো লেখা হয় বা লেখা হয় না।
যারা কবি, লেখক, বৈজ্ঞানিক তাঁদের মন, মননে এমন কিছু জায়গা আছে সেখান থেকে ক্রমাগত ভাবের কথা, বিজ্ঞানের কথা পাহাড়ের ঝর্ণা ধারার মত প্রবাহিত হতে থাকে আর কোথায় গিয়ে তা থামে এমন তাঁদের ভাবাও হয় না। রেখে যান তাঁরা তাঁদের মত বিরাট বিরাট অবদান।
অনেকে, অনেক জ্ঞান ধারণ করে রাখেন নিজের মধ্যে অথচ লিখেন না, আমার লেখাগুলি সঠিক লেখা হয় না, তবুও লিখি লেখার চেষ্টা করি – এখানেই আমার শান্তি, এখানে আমার সুখ। প্রকাশ হই আমি।
তারিখ: এপ্রিল ০৪, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,