কোন কবি বা লেখক যখন মনের আবেগ ফুটিয়ে ধরেন তখন এটি ধরে নেওয়ার কোন অবকাশ নেই যে তিনি তার ব্যক্তিগত আবেগকে ফুটিয়ে তুলেছন। একজন লেখক বা কবি কখনও নিজের জন্য লিখেন না, তাকে সমাজের সকল আবেগ মনে ধারণ করে অক্ষর বিন্যাসে লিখে যেতে হয়।
ব্যক্তিগত কোন ঘটনা, আবেগ তার লেখায় ফুটে উঠতে পারে কিন্তু তার সব লেখা কবিতা, গান, গল্প, প্রবন্ধ তার ব্যক্তিগত কোন কিছুর উপর ভর করে লেখা-লেখি চলে না। ব্যক্তিগত বিষয়ের উপর লিখে কখনও লেখক ও কবি হওয়া যায় না।
অনেক পাঠক ধারণা করে বসেন যে কবিতাটি কবির নিজের মনের বাসনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন, পাঠকের এই ধারণা বোধ থেকে বেড়িয়ে না আসলে ভালো লেখা কবিতা আশা করা যায় না।
সকল মানুষের মনের ভাব প্রকাশ করা, জগতে লুকিয়ে থাকা কথা, বিষয় একজন লেখক কবি লিখে থাকেন, নিজ প্রয়োজনে তারা লিখেন না, কোন প্রত্যাশা বা প্রসংশা বানী পাওয়ার আশাও তারা লিখেন না। লেখার দক্ষতা অর্জন থেকে তাদের লিখে যাওয়া, গন্তব্য কি বা কোথায় তাও তাদের জানা থাকে না। লেখা-লেখির পথে পথিক হন লাখ ও কাতারে কাতারে কিন্তু লেখক ও কবি হন মাত্র হাতে গনা কয়েকজন !
একজন লেখক কবি প্রথমত তার লেখার বিষয়, প্রকাশ ভঙ্গি নির্ধারণ করে, লেখার বিষয় বস্তু অনেক সময় একই হয়ে থাকে কিন্তু কবি তার কবিতা তার নিজস্ব প্রকাশ ভঙ্গির কারণে লিখে থাকেন।
লেখার বিষয়, প্রকাশ ভঙ্গি নির্ধারণ হয়ে গেলে একজন কবি লেখক ক্রমাগত ভাবে লিখে যান আর একবার লেখা শুরু হলে তার লেখা থেমে থাকার কথা নয় এ যেন মাকড়াশার মত জাল বুনন, বাবুই পাখির বাসা বাঁধার মত, পাহাড় থেকে ঝর্ণা ধারা নেমে আমার মত।
ভালোবাসা” একটি শব্দ, এই শব্দের উপর নানান কবি লেখক প্রায় দেড় দুই হাজার বা তারও বেশি সময় ধরে অনেক কথা লিখে গিয়েছেন, নিজ নিজ আবেগ নিয়ে আকাশ করেছেন আজও ভালোবাসা” শব্দটির উপর কবি ও লেখকগন লিখে যাচ্ছেন নিজস্ব ভঙ্গিতে কারও লেখার সাথে, অর্থের সাথে, সুর ও ছন্দ সাথে কোন মিল নেই।
কোন মিলও থাকার কথা নয়, আর মিল থাকলে লেখা থেমে যেত তাছাড়া পাঠক চায় নতুন ভঙ্গিমায় একই বিষয়ের উপর নানান লেখা।
পৃথিবীতে সামাজিক, মানবিক ও পরিবেশগত দ্রুতই পরিবর্তন হচ্ছে যা থেমে থাকার কথা নয় সেই সূত্র ধরে একই বিষয়ের লেখার ভিন্নতা ও ভিন্ন আঙ্গিকে কবি ও লেখক লিখে যাবেন।
তারিখ: মে ২০, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,