ব্যস্ততা বেড়ে যাচ্ছে দিনে দিনে, বড় আকারের লেখা লেখার তেমন সময় হয় না, লেখা তাই দীর্ঘও হয় না, আবার কপাল সুপ্রসন্ন যে পাঠকও বেশি লাইনের বা বড় কোন লেখা পড়তে আগ্রহ পান না।
২৪ ঘন্টার সময়টিকে এখন নানান ভাগে বিভক্ত করতে হয়. ঘর সংসারের প্রায় ৪৮ রকমের কাজ, বাসা বাড়িতে থাকা হয় বড় জোড় ১২ ঘন্টা তাই বাসার প্রতি কাজের গড় সময় বরাদ্দ মাত্র ১৫ মিনিট। নিবিড় ঘন সময়ের বরাদ্দ যদি ১৫ মিনিট হয় তখন সুখময় পৃথিবীকে ছোট করা হয়। রান্নার বরাদ্ধ যদি ১৫ মিনিট হয় তখন সু-শোভিত রান্নাঘরকে তিরষ্কার করে যাদুঘর বানানো হয় ! তখন কি সারা জীবন খাবারের প্রতি লোভ জীবন্ত হয়ে থাকবে না !
বাকি ১২ ঘন্টার মধ্যে ৬ ঘন্টা নিঃশব্দ না ঘুমালে মেজাজ তো খিটমিটে থাকবেই ! আর থাকলো ৬ ঘন্টা এই ৬ ঘন্টায় অন্ততঃ ১২ রকমের কাজ থাকে, কাপড় আয়রণ, বকেয়া পাওনাদের সাথে মিটিং, বারান্দায় দাড়ানো, সমিতিতে যাওয়া এখানেও গড় সময় বরাদ্দ মাত্র ১৫ মিনিট।
পরিবারকে নিয়ে ১৫ মিনিটে কি সোপিং সমাপ্ত হবে ! কিম্বা চাইনিজে টুকটাক খাওয়া দাওয়া !! তাই এই ২৪ ঘন্টার দিনে এখন নানান এডজাষ্টমেন্টের প্রয়োজন পড়ে। এখন বলা যায় দীর্ঘ লেখা ও দীর্ঘ সময় ধরে পড়ার সময় কোথা থেকে আসে !!
লেখার ধরণ পাল্টানো প্রয়োজন, তাই ভাবছি আমার ভাবনার লেখাগুলিকে এখন থেকে ” এক কথায় প্রকাশ কর” এই রূপে বা ধারায় লিখব, অনেক ভূমিকা না করে সর্টকাট লিখে দিবো ” তুমি একেবারে মন্দ না” পাঠক বুঝে নিবেন যাকে তুমি করে লিখলাম তার অসাধারণ সব গুনাবলি, রূপ, আবেদন, ধন সম্পত্তিও আছে বটে আবার মন্দ বৈশিষ্টগুলি একেবার শূণ্যের কোঠায় নয়। সেই ” তুমি ” বা তিনি যদি কারও প্রেমিকা রূপে হাত ধরে একদিন কোন প্রেমিকের ঘরে আলোকিত করে গেলে মন্দ হয় হবে না কারণ ভালো ও মন্দের মিশ্রণে মানুষের গঠন।
রেটিং করুনঃ ,