কোন কিছু লেখা যে খুব সহজ নয়, কথা বলাটা বেশ সহজ আবার কখনও কখনও কথা বলাও অনেক কঠিন হয়ে দাড়ায় যদি বক্তা অর্থ সম্পূর্ণ কথা বলতে চান। যে বক্তা নিয়মিত ভাবে তার অর্জিত বচন ভঙ্গির মধ্য দিয়ে অর্থ সম্পূর্ণ কথা বলে থাকেন তিনি যেমন তেমন ভাবে কথা বলতে পারেন না আর তার ধাঁপের কথা বলাটা অন্য একজনের জন্য অনেক কঠিক বিষয়।
কথা যেমন তেমন ভাবে বললে চলে কিন্তু লেখার বেলায় অনেক বিধি ধারা যা অনেক কঠিন নিয়ম কানুন মেনে লিখতে হয় তবে যাই লিখি না কেন সেই লেখার মধ্যে থাকা চাই নানা বিধ চিন্তার যোগান, একজন লেখককে হতে হয় চিন্তার শিকারী, একের পর এক ভালো ভালো চিন্তু শিকার করে সব ভালো চিন্তাগুলিকে একত্রিত করে একটি দেয়াল ঘেরা মাঠ তৈরী করতে হয়। প্রয়োজনে সেখানে নিজেকে বন্দী করে রাখতে হয়। তার পর যখন তার মাথায় একের পর এক চিন্তুাগুলি পরিপূর্ণতা লাভ করতে পারে তখন লেখা শুরু করে দেয়। তখন তার আর বাইরে তাকানোর বা ঘেরা মাঠ থেকে বেড়িয়ে আসার আর সুযোগ আসে না।
আড্ডায় নানা ধরণের কথা বলা যায় আলোচনা করা যায়, কিন্তু আড্ডার মাঝে লেখা যায় না, আড্ডার মাঝে মাথায় যদি কোন লেখার ধারণা আসে তাও তা আটকিয়ে রাখা যায় না। মাথা থেকে সেই লেখার ভাবনাটি বা লেখার ধারণাটি দ্রুতই হারিয়ে যায়, যা আর মাথায় ধরা দেয় না।
লেখার জায়গাটি হচ্ছে নিজেকে কোথাও আটকিয়ে রেখে একটি লেখার জায়গা তৈরী করে নেওয়া। নিজের লেখার জন্য নিজেকে আটকিয়ে রেখে যদি একটি লেখার জায়গা তৈরী করে নেওয়া যায় তবেই সেটি একজন লেখকের লেখার জায়গা।
তারিখ: জুন ১০, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,