প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখার অভ্যাস জীবনে ভালো কিছু এনে দিতে পারে। এ কাজটি শুধু লেখক-লেখিকাদের জন্যেই নয়, সবার জন্য প্রযোজ্য। যে ৭টি কারণে এ কাজটি করবেন তার ব্যাখ্যা জেনে নিন।
১. লেখালেখি জীবনের চিত্র তুলে ধরে এবং আপনার ভুল চিন্তা-ভাবনা বদলে দেয়। আমরা অনেক সময় কি করছি তা বুঝতে পারি না। এর প্রভাব সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা নেই আমাদের। এ ধরনের সীমাবদ্ধতা দূর করে লেখনীর অভ্যাস।
২. আমাদের চিন্তাধারা, আবেগ, ঘটনার প্রভাব মনের গহীনে ঝাপসাভাবে অবস্থান করে। লেখালেখির অভ্যাস এসব ঝাপসা বিষয়কে ঝকঝকে করে উপস্থাপন করে। এতে আপনার চিন্তাধারা স্পষ্ট হয়।
৩. এই প্রযুক্তির যুগে শক্তিমান লেখকের বড় অভাব। তাই অভ্যাসটি সচল রাখলে আপনি লেখনীতে দক্ষ হয়ে উঠবেন।
৪. কোনো শ্রোতার জন্যে কিছু লেখা আপনাকে অন্যের দৃষ্টিকোণ বিবেচনার সামর্থ্য এনে দেবে। হোক সে একজন মাত্র শ্রোতা, অন্যের চিন্তাধারাকে নিজের লেখার ফুটিয়ে তোলা অসাধারণ যোগ্যতাগুলোর একটি।
৫. আবার অন্যের মনের ইতিবাচক সাড়া পেতে লেখালেখি করা আপনাকে প্রভাবশালী লেখকে পরিণত করবে। নিজের চিন্তাকে অন্যের মনে স্থাপন করতে পারবেন এই গুণের মাধ্যমে।
৬. প্রতিদিন লেখার অভ্যাস সব সময় নতুন কোনো না কোনো আইডিয়া দেবে আপনাকে। যে বিষয়ে কেউ কোনো চিন্তা মাথায় আনতে পারছে না, তখন আপনার মস্তিষ্ক থেকে কিছু না কিছু বের হতে থাকবে।
৭. অনলাইনে নিয়মিত লেখা আপনাকে ভক্তশ্রেণি মিলিয়ে দেবে। নিজের চিন্তাধারার প্রয়োগে তাদের নানা কাজে সাহায্য করতে পারবেন আপনি। আবার অন্যের কাছ থেকে এমন নানা সহায়তা পেতে পারেন।
যেভাবে প্রতিদিন লিখতে পারেন : এটি এমন এক অভ্যাস যা প্রতিদিন তিলে তিলে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্যে বিশেষজ্ঞদের কিছু পরামর্শ নিন-
১. প্রতিদিন কিছু না কিছু লেখার প্রতিজ্ঞা করুন। সপ্তাহে একদিন অনেক বেশি না লিখে প্রতিদিন অল্প করে লিখুন। নিজের প্রতি নিজেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হোন।
২. দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট পরিমাণ সময় এ কাজে আলাদা করে রাখুন। যখন আপনার ভালো লাগে তখনই কাজটি করতে পারেন।
৩. ছোট পরিসরে শুরু করুন। প্রথমে এভাবেই শুরু করা প্রয়োজন। ধীরে ধীরে সুযোগ ও বিষয় অনুযায়ী তা বাড়িয়ে নিতে পারেন।
৪. ব্লগ লেখা-লেখির বড় একটি স্থান। নিজেও একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন ‘ওয়ার্ডপ্রেস ডট কম (https://wordpress.com/)’ বা ‘টাম্বলার (https://www.tumblr.com/)’ থেকে।
৫. এ কাজের সময় যে সকল বিষয় বাধাপ্রদান করে তা এড়িয়ে যান। লেখা এবং লেখার চিন্তা ছাড়া আর সব বিষয় আপাতত ভুলে যান। এ সময়ে শুধু লিখতে থাকুন।
সূত্র : কালের কন্ঠ।
তারিখ: মে ৩১, ২০১৫
রেটিং করুনঃ ,