লেখকদের দুটো শ্রেণী বা ধরন আছে। এক. মাকড়সা ধরনের লেখক। দুই. তাঁতি ধরনের লেখক। মাকড়সা ধরনের লেখকদের বলা হয় প্রকৃত লেখক। কারণ, মাকড়সা নাভি থেকে সুতা নিয়ে জাল বোনে। কোনো কিছু তৈরির সামগ্রী এর নিজের ভেতরে রয়েছে। মাকড়সাকে অন্যের সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করতে হয় না। তাঁতিদের সেই ক্ষমতা নেই। এদের অন্যের কাছ থেকে সুতা এনে কাপড় বুনতে হয়। সুতার সরবরাহ অফুরন্ত। তাই বুনেও যেতে পারেন অফুরন্ত।
নিজেকে তাঁতি ধরনের লেখক মনে করি। আমি জানি না আমার সামর্থ্য কী আছে। তবে প্রকৃতি থেকে শিখি। বই পড়ে শিখি। অন্যের কথা শুনে শিখি। বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে শিখি। তারপর লিখি। আমি রম্যলেখক। বিভিন্ন উৎসে বিচরণ করি। জানার চেষ্টা করি। এভাবে লেখার রসদ সংগ্রহ করি। তারপর নিজের ভাবনা, বোধ, বিশ্বাস, অভিব্যক্তি দিয়ে লেখার চেষ্টা করি। এ ক্ষেত্রে কিছু যোগ-বিয়োগ করি।
April 9, 2013
অসমাপ্ত
রেটিং করুনঃ ,