অনেক বছর আগের কথা নয় কোথাও কোন লেখা প্রকাশ ছিল একটি সাধনার কাজ আর অনেকের পক্ষ্যে ছিল তা সাধ্যের বাইরে এখন সংবাদ মাধ্যম ছাড়া এখন জনগণকে তথ্য ও মতামত দেওয়া এবং সাহিত্য চর্চা করে যাচ্ছেন বাংলায় অন লাইনের লেখকগন।
এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সামাজিক গণমাধ্যমভিত্তিক বাংলায় অন লাইনগুলি তাদের মতামত ও সাহিত্য চর্চা প্রায় সমানভাবে করে আসছেন দেশের জনপ্রিয় ও আঞ্চলিক পত্রিকাগুলির মতই, একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বা যে কোন বিষয়ে সর্বশেষ তথ্য পরিবেশনে বাংলায় অন লাইনের লেখকগন কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন।
বাংলায় অন লাইনের লেখকদের সন্মিলিত মতামত ভূমিকা রাখছে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে পর্যন্ত মূলধারার গণমাধ্যমের সঙ্গে বাংলায় অন লাইনের লেখকগনদের প্রতি দিনই। শুধু মাত্র রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে নয় সাহিত্য চর্চাকে বাংলায় অন লাইনের লেখকগন এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে গিয়ে অনেকেই সাহিত্যের মূল ধারার সাথে যুক্ত হয়েছেন।
প্রযুক্তির কল্যানে আজ আমরা বাংলা ভাষার পরিধী অনেক বেশি করে বিস্তৃত করতে পেরেছি, নিজের মধ্যে ধারণ করা চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি প্রকাশ করে দেশের সীমানা অতিক্রম করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নিত্যই, একই বন্ধনে বেঁধে রেখেছেন সারা বিশ্বের বাংলা ভাষা ভাষীদের একই বৃত্তে, একই বন্ধনে। আজ একটি সাফল্য খুব দৃশ্যমান যে, বর্তমানের নূতন প্রজন্ম মাতৃ ভাষার চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে অন লাইন ভিক্তিক লেখার জায়গাগুলিতে দ্রুত বাংলা ভাষায় লিখছেন,
তবে এখানে আছে আমাদের পরিশ্রম, একনিষ্ঠা একাগ্রতা, শুদ্ধ বাংলা চর্চার মানসিকতা। প্রসঙ্গতঃ বলা যায় বিগত তিন বছর আগেও বাংলায় অন লাইনের লেখকগন যে পরিমান সময় লেখা-লেখিতে দিতেন এখন তার পরিমান কমিয়ে দিয়েছেন, কমিয়ে দেওয়ার নানান কারণ থাকতে পারে যেমন কর্ম ব্যস্ততা, লেখা-লেখির বিপরীতে কিছু প্রাপ্তির হিসাব ! যারা লেখা-লেখি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন তারা সহজে লেখালেখিতে আর ফিরে আসেন না সাধারণতঃ, তাদের শূণ্যতার জায়গাটি নূতনরা পূরণ করেন, যেমনটি কবি সুকান্ত বলে গেছেন তাঁর বিখ্যাত ছাড়পত্র কবিতায়
” এসেছে নতুন শিশু, তাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান;
জীর্ণ পৃথিবীতে ব্যর্থ, মৃত আর ধ্বংসস্তুপ-পিঠে
চলে যেতে হবে আমাদের।
চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ “
ঠিক, আমরা একদিন চলে যাব তবে যতক্ষণ দেহে প্রাণ আছে, লেখার শক্তি আছে, মাথায় ভাবনা আছে লিখে যাব প্রাণ-বন্ত ভাবে, লেখার প্রাঙ্গণ আলোকিত করে।
রেটিং করুনঃ ,