Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

লাশের নামে একটা বাক্স সাজিয়ে আনা হয়েছিল: প্রধানমন্ত্রী (২০২১)

Share on Facebook

জাতীয় আর্কাইভস বিল পাসকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার সংসদের বৈঠকে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। তবে বিলের প্রসঙ্গে আলোচনা হয়েছে খুবই কম। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে আছে কিনা তা নিয়েই বিতর্ক হয়েছে বেশি। বিলের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পরও এই বিতর্ক অব্যাহত ছিল। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা সংসদের সমাপনী বক্তব্যে দাঁড়িয়ে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমানের লাশের নামে চট্টগ্রাম থেকে একটি বাক্স সাজিয়ে গুজিয়ে আনা হয়েছিল।’

এর আগে সরকারি দলের সিনিয়র সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম পয়েন্ট অব দাঁড়িয়ে বলেছেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়ার লাশ নেই, বাক্স সরিয়ে ফেলুন।’ এর আগে জাতীয় আর্কাইভস বিলের আলোচনায় জিয়ার লাশ নিয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ান বিএনপি দলীয় সদস্য হারুনুর রশীদ,রুমিন ফারহানা ও মোশাররফ হোসেন। এতে জাতীয় পার্টির সদস্যও অংশ নেন। লাশের পাশাপাশি এই বিতর্কে একে অপরের বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতিরও অভিযোগ করেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। সংসদের সমাপনী বক্তব্যে দাঁড়িয়ে এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, চট্টগ্রাম থেকে আনা ওই বাক্সে জিয়াউর রহমানের লাশ ছিল না। এ বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা মীর শওকত ও তৎকালীন সেনাপ্রধান মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্বীকার করেছেন বলেও তিনি জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে কথা উঠছে। আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে চাই না। ৪০ বছর পরে নয়, জিয়াউর মৃত্যুর সংবাদের পরে তার লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। গায়েবানা জানাজা হয়েছিল। কয়েকদিন পরে একটি বাক্স আনা হলো। এখানে কেউ একটা বুদ্ধি দিয়েছে- আর জেনারেল এরশাদ তো এই বিষয়ে বেশি পারদর্শী। সাজিয়ে-গুজিয়ে একখানা বাক্স নিয়ে এসে দেখানো হলো।’

তিনি বলেন, ‘তখন এই পার্লামেন্টে বারবার প্রশ্ন এসেছে-যদি লাশ পাওয়া যায় তার ছবি থাকবে না কেন? লাশ শনাক্ত করেছিলেন মীর শওকত। মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে চিনতাম। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম সত্যি কথা বলেন তো? তিনি বলেছিলেন-লাশ কোথায় পাব? এমনকি জেনারেল এরশাদ সাহেব, তাকে আমি বললাম- আপনি যে একটা বাক্স আনলেন? লাশটা কই? আমাকে বললেন-বোন লাশ পাব কোথায়? আর কি বলবো?’

তিনি বলেন, ‘লাশের কথা বারবার জানতে চাওয়া হয়েছে। তখনকার বিএনপির নেতারাও ছিলেন। তারা কী করে গেছেন সেটা আপনারা দেখেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু তাকে খেতাব দিয়েছেন। তা সবই সত্য। কিন্তু তার অবদানটা কি? মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কর্নেল আসলাম বেগ তাকে চিঠি লিখেছিলেন। ওই চিঠি আমার কাছে আছে। এই সংসদে সেটা তুলে ধরবো। সংসদের প্রসেডিংসের পার্ট হয়ে থাকা দরকার। কর্নেল আসলাম বেগ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জিয়াকে একটি চিঠি দেন- সেই চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন, আপনি খুব ভালো কাজ করছেন। আমরা আপনার কাজে সন্তুষ্ট। আপনার স্ত্রী পুত্রকে নিয়ে চিন্তা করবেন না। আপনাকে ভবিষ্যতে আরও কাজ দেওয়া হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খালেদ মোশাররফ যখন আহত হয়ে যান তখন মেজর হায়দার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হননি। অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তো একটা সেক্টরের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, সেক্টর কমান্ডার নয়।’

‘বাংলাদেশ জাতীয় আর্কাইভস বিল, ২০২১’ বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় বিএনপির সংসদ সদস্য মোশাররফ হোসেন এই ইস্যুটি আলোচনায় আনেন। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ সেখানে (চন্দ্রিমা উদ্যান) আছে কি নাই, সেটা বড় বিষয় নয়। সেখানে যে লাশ নাই তা আপনারা (আওয়ামী লীগ) কিভাবে জানলেন? এত বছর ধরে ক্ষমতায় আছেন। এটা নিয়ে আগে কথা বলেন নাই কেন? এখন কেন বলছেন?

বিএনপিকে প্রথমে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে: শামীম হায়দার

জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি বিএনপিও করে। জিয়াউর রহমানকে তারা স্বাধীনতার ঘোষক বলেন। এ বিষয়ে আমাদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। আর তিনি (জিয়াউর রহমান) বেঁচে থাকতে কখনোই বলতে শুনেনি, দেখিনি উনি নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলেছেন। তাদের প্রথমে ইতিহাস বিকৃতি বন্ধ করতে হবে। তারপর আওয়ামী লীগ যদি ইতিহাস বিকৃতি করে থাকে, সেটা বন্ধের আহ্বান বিএনপি জানাতে পারে।’

দলের নেতা ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

এ পর্যায়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সংসদ ভবনের লুই কানের নকশায় কোথায় রয়েছে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের লাশ দাফন করতে হবে। সেখানে লাশ আছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বেগম জিয়া স্বামী মনে করে কাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। তারই উচিত এই প্রশ্ন করা ওনার স্বামীর লাশ সেখানে আছে কিনা? বিজ্ঞনিভিত্তিক তথ্যের ভিত্তিতে তারই নির্ণয় করা উচিত। আপনারা দলের নেতা ভেবে কাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। ওখানে কি কারও মৃতদেহ আছে? নাকি অন্য কারও মৃতদেহ।’

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, একজন সংসদ বলেছেন, সঠিক ইতিহাস আসতে নাকি শত বছর লাগে। মৃত্যুর ৪০ বছর পরে সঠিক ইতিহাস বের হলে সমস্যা কোথায়? জিয়াউর রহমানের লাশ আছে কি নাই। এটা বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণের ব্যবস্থা আছে। আপনারা (বিএনপি) নিরপেক্ষ একটা কমিটি করেন। সরকার সহযোগিতা করবে। সত্য উদঘাটনে ভয়ের কি আছে?

কে এম খালিদ বলেন, ‘আপনাদের দলের নেত্রীকে বলেন- যদিও তিনি সাজাপ্রাপ্ত। প্রধানমন্ত্রীর অনুকম্পা নিয়ে সাজা স্থগিত নিয়ে বসবাস করছেন। আইনের সুযোগ থাকলে তার নেতৃত্বে কমিটি করেন।’

আজকে এরশাদ বেঁচে থাকলে লজ্জা পেতেন: হারুনুর রশীদ

বিএনপি দলীয় সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী জিয়াউর রহমানের লাশ থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ১৯৭৯ সালে সংসদ ছিল। ওই সংসদে আওয়ামী লীগও ছিল। মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত জানাজায় এমপিরা অংশ নিয়েছেন। সংসদে শোক প্রস্তাবের দীর্ঘ আলোচনায় তারা অংশ নিয়েছিলেন। সেগুলো সংসদের প্রসেডিংসের মধ্যে রয়েছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পরে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে। সামরিক আদালতে বিচারও হয়েছে। এটা অসত্য কিছু নয়। আজকে জেনারেল এরশাদ বেঁচে থাকলে তিনি লজ্জা পেতেন। লজ্জা পেয়ে মুখ ঢাকতেন।

বিএনপির রুমিন ফারহানা বলেন, আর্কাইভস যদি করতে হয়, তাহলে স্বীকার করতে হবে জিয়াউর রহমান ছিলেন রণাঙ্গণের মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ছিলেন বীর উত্তম। এটা স্বীকার করেতে হবে। তিনি ছিলেন আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার। ওনারা ওনাদের কথা বলবেন। আর আমরা আমাদের কথা। এইটুকু ধৈর্য যদি তাদের না থাকে, তাহলে তারা কি ইতিহাস লিখবে? চর্চা করবে? আরকাইভসে কি জমা সেটা ভালো করেই বোঝা যাচ্ছে।

প্রকৃত ইতিহাস জানতে শতবছর লাগে: রুমিন ফারহানা

রুমিন ফারহানা বলেন, ইতিহাস সবসময় জয়ীদের হাতে লেখা হয় বলে আমাদের মতো দেশে প্রকৃত ইতিহাস জানতে শতবছর লাগে। যতদিন পর্যন্ত দলীয় চশমায় ইতিহাস লেখা হয়, তাতে আইন পাস করে কোনো লাভ হবে না। আজকে ৪০ বছর পরে কেন জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে এই বিতর্ক। এই কারণে সরকারের ব্যর্থতা, ভোট চুরি, গণতন্ত্রহীনতা, লুটপাট থেকে মানুষের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য এই বিতর্ক করা হচ্ছে। রুমিন ফারহানার বক্তব্যেও শেষের দিকে সংসদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সরকারদলীয় সদস্যরা হইচই করেন।

শাহ আজিজ একটি চালাকি করেছিলেন: শেখ সেলিম

এরপর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, আজ ৪০ বছর পর লাশ নিয়ে লাফালাফি করা হচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকায় জিয়াউর রহমানের লাশ রয়েছে, বিএনপির এমপিরা তা সংসদে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু সেখানে যে জিয়াউর রহমানের লাশ নেই সেটা ৪০ বছর আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর তার লাশ পরিবারের কেউ দেখেনি। খালেদা জিয়া দেখেননি। তারেক জিয়া লাশ দেখার জন্য কান্নাকাটিও করেছিলেন। শাহ আজিজ একটি চালাকি করেছিলেন ‘লাশ পাওয়া যাক না যাক একটা বাক্স পাঠিয়ে দাও’। সেই বাক্স পাঠানো হয়েছিল। জনমনে সন্দেহ ছিল- কিসের জানাজা করছি। শুধু বাক্স? নাকি ওখানে জিয়াউর রহমানের মরদেহ আছে?

স্পিকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সেখানে বাক্সটা যদি থাকে তা সরিয়ে দেন। জিয়ার লাশ জায়েজ করার জন্য তিন বড় রাজাকারকে সংসদ ভবন এলাকায় কবর দেয়া হয়েছে। তাদের করবও সেখান থেকে সরিয়ে তাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতে হবে। মানুষ এসব বিভ্রান্তি মেনে নেবে না। যদি লাশ থেকে থাকে আগামী এক মাসের মধ্যে প্রমাণ দিতে হবে। ভবিষ্যতে সংসদে লাশ নিয়ে যাতে কোনো কথা না হয় সেই বিষয়ে তিনি ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে দাবি তুলেন।

সূত্রঃ সমকাল।
তারিখঃ সেপ্টম্বর ১৬, ২০২১

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ