মাঝে মাঝে নানান ভাবে-
প্রযুক্তির বদৌলতে
অনেকের সাথে তোমারও খুব সুখি সুখি
সেই মুখ, চেহারা, আর চারপাশ
চোখের নজরে বন্দী হয়।
তখন পুরানা দিনের স্মৃতিগুলি
ভেসে বেড়ায় পেজা তুলার মত-
নীল আকাশে,
আর দীর্ঘ দীর্ঘ শ্বাস-প্রশ্বাসগুলিও
মিশে যায় নানান আকারের মেঘের দলে
কখনও বা নানান রঙে।
তবে ঠিক সন্ধ্যার আগে –
মাঝে মাঝে মেঘের রঙগুলি লাল দেখায় বড়,
পশ্চিমের আকাশে, আর আমার সারা মন, মননে।
রঙের ভাষাটা আবছা বুঝি কিম্বা অস্পষ্ট।
তবে সবই সত্য-
সেই দিন আর আসবে না ফিরে,
হবে না আর খুব কাছ থেকে নিজের চোখে দেখা,
নিত্য কত হাজার মানুষ দেখি চোখে-
সবাইকে দেখি আবছা ঝাপসা,
শুধু একদিন তোমাকে দেখব উজ্বল চোখে
খুব স্পষ্ট করে – এ আশাটুকু সবই বুঝি কষ্টের,
জমাট বেঁধে যাওয়া কষ্টের খনি।
সব সুখি চেহারার অনেক গভীরে কত খানি !!
কষ্ট জমাট বেঁধে থাকে তা তো আর জানি নি।
স্বেত পাথরের তাজ-মহলের পাশে,
শাহ-জাহান কেন কালো পাথরের আরও একখানি-
তাজ-মহল গড়তে চেয়েছিল যমুনার ওপারে !
সে কথা তো শাহ-জাহানই জানত।
আমি শুধু জেনেছি –
সন্ধ্যার আগে লাল রঙের মেঘের মাঝে মিশে আছি আমি।
******
প্রথম লেখার সময় কাল। জুন ১৫, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,