একদিকে আন্তর্জাতিক পণ্যের মূল্য ও আমদানি খরচ বেড়েছে, অন্যদিকে প্রবাসী আয় কমছে। এতে দেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের ওপর চাপ বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ডলারের মূল্য ৮৬ টাকা হলেও ব্যাংকগুলো ৮৮-৮৯ টাকায় ডলার কিনছে। সেই দামে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। খোলাবাজারে ডলার তো ৯০ টাকা ছাড়িয়েছে বেশ আগেই।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২১৬ কোটি ডলার আমদানি বিল পরিশোধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এযাবৎকালের সর্বোচ্চ। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে নেমে আসে। এরপর গত বৃহস্পতিবার রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪১৮ কোটি ডলার।
দেশে ডলারের সংকট বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলো বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক ৫০ হাজার ডলারের বেশি ঋণপত্রের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বিনিময় হারে পরিশোধের জন্য গ্রাহক থেকে অনাপত্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা নেওয়ার বাধ্যবাধকতা চালু করেছে। শাখায় পাঠানো এ-সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়েছে, আন্তব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে প্রায় ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। এতে ঋণপত্রের দায় পরিশোধে ব্যাংক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আবার করপোরেট ডিলের আওতায় ৮৬ টাকা ৫ পয়সার বেশি দামে ডলার কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া ব্যাংকের ধারের পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে, এতে ব্যাংকের লোকসান ও ঝুঁকি বাড়ছে। তাই গ্রাহকের কাছ থেকে অগ্রিম অনাপত্তিপত্র নেওয়ার নিয়ম চালু করেছে ব্যাংকটি।
সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মার্চ ২১, ২০২২
রেটিং করুনঃ ,