Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: পররাষ্ট্রসচিব (২০২৩)

Share on Facebook

পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে হয় না। কারণ, বিষয়টি প্রটোকলের সঙ্গে যুক্ত। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় (টেলিফোনে) সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘সরকারি খরচে (জনগণের ট্যাক্সের টাকায়) বিদেশি কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা (এসকর্ট) দেওয়া হবে না। কারণ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আমাদের দেশে অনেক ভালো আছে। তা ছাড়া কোনো দেশেই বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রদূতকে বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হয় না। তবে বিদেশি কূটনীতিকেরা তাঁদের খরচে এসকর্ট হায়ার করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে টাকা দিয়ে আনসার ব্যাটালিয়নের এসকর্ট নিতে পারবেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গতকাল করা মন্তব্যের বিষয়ে আজ গণমাধ্যমকর্মীরা পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে জানতে চান।

ঢাকায় থাকা বিদেশি কয়টি মিশনকে বাড়তি পুলিশ এসকর্ট দেওয়া হতো জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমার জানামতে, নিয়মিতভাবে চারটি দেশকে দেওয়া হতো। এ ছাড়া আরও এক–দুইটা দেশ যখন চাইত, তখন তাদের তা দেওয়া হতো।’

পররাষ্ট্রসচিব জানান, গতকাল থেকে বাড়তি পুলিশ এসকর্ট প্রত্যাহারের বিষয়টি কার্যকর হয়ে গেছে।

বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের বিষয়টি ওই দূতাবাসগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে কি না, জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘এখানে নোটিফিকেশনের ওই রকম ব্যাপার ছিল না। যখন হোলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটল, তারপর…। এখানে যে রেকর্ডস আমরা দেখেছি, তাতে তাদের কাছ থেকে কোনো অনুরোধ আমরা খুঁজে পাইনি। তাদের দিক থেকে কোনো নোটিফিকেশনও করা হয়নি।’

পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘জঙ্গিবাদের উত্থানের যে আশঙ্কা ছিল, সেটার পরিপ্রেক্ষিতে বা নিরাপত্তার বিবেচনায় তখন তাঁদের এটা (বাড়তি নিরাপত্তা) দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দেখা গেছে যে মূলত ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্সের কাজটাই (বাড়তি পুলিশ পাহারা) করত। সুতরাং আসল নিরাপত্তার যে বিষয়, তা অপরিবর্তিত আছে। নিরাপত্তার দিক থেকে কোনো ঘাটতি আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যে কারণগুলো বিচার করে দেখেছি, তখন যে বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন ছিল, এখন আমরা ঢাকা শহরে কিংবা বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ বা যা–ই বলি না কেন, সেটা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত রয়েছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট নিয়ন্ত্রণে আছে। সুতরাং সেটা একটা কারণ। দ্বিতীয়ত, নিজেদের সিস্টেমে (পুলিশের জনবল) বলা হচ্ছে, কীভাবে স্ট্রিম লাইন করা যায়; কারণ, এখানে ঘাটতিও আছে।’

রাষ্ট্রদূতদের জন্য দেওয়া বাড়তি নিরাপত্তা সুবিধা এই সময়ে প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আপনারা সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। কোনো না কোনো সময় তো করতে হতো। এই সময় নিয়ে আপনারা নানাভাবে জল্পনা করছেন। এটা এমনিতেই করা হতো। আরেকটা জিনিস বলতে পারি। রাষ্ট্র হিসেবে বিভিন্ন দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূতদের মৌলিক নিরাপত্তা দেওয়ার যে যে মৌলিক বাধ্যবাধকতা আছে, সেটা কখনোই আমরা আপস করব না, এই নিশ্চয়তা দিচ্ছি।’

রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তার জন্য বিকল্প প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থাও আমরা রেখেছি। স্পেশাল ব্যাটালিয়ন অব আনসার আছে। তাদের অনেক দিন ধরেই তৈরি করা হচ্ছে। এ জন্য সামান্য পেমেন্টের ব্যবস্থা থাকতে পারে। কাল আমরা তাদের কাছ থেকে জেনে সকালে বা একসময় আনসারের ডিজির সঙ্গে বসে তাদের কী কী সুবিধা আছে, তা জানব। সেগুলো আমরা তখন দূতাবাসগুলোকে জানিয়ে দেব। যারা তাদের চাইবে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগও আমরা করিয়ে দেব।’

বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের পতাকা ব্যবহারের ওপর কোনো বিধিনিষেধ আসছে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হয়নি। তবে এটা সত্যি যে উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, আমি নিউইয়র্কে ছিলাম। সেখানে পতাকা ওড়ানোর ব্যবস্থা নেই। অন্যদিকে ইতালি ও জাপানে আমি যখন রাষ্ট্রদূত ছিলাম, আমি তো পতাকা উড়িয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রীয় সব সভায় পতাকা ওড়ানোর বিধান আছে। আবার কিছুটা তো নিজের ওপরও থাকে বিষয়টা।’

পররাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য, ‘কিন্তু আমি যদি বাজারে যাই, আমি যদি আমার সহকর্মীর বাসায় ব্যক্তিগত কারণে যাই, তখন তো পতাকা ওড়াব না। সেটা তো নিজেদের ডিসক্রিশনের (বিবেচনা) ওপর নির্ভর করে। কাজেই রাষ্ট্রদূতদের সেই বোধ আছে, তাঁদের কী করা উচিত এবং কী করা উচিত নয়।’

বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের বাড়তি নিরাপত্তা প্রত্যাহার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না উল্লেখ করে মাসদু বিন মোমেন বলেন, এগুলো তো চলমান বিষয়। এগুলোর সঙ্গে সবকিছু যুক্ত করাটা জল্পনার পর্যায়ে পড়ে।

বাংলাদেশ ভিয়েনা সনদ অনুযায়ী বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে কি না, জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘আমি তো বললাম যে তাদের যে পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মী দেওয়া হতো, তা তো কমেনি। শুধু যানজট এড়ানোই মূল বিষয় ছিল। দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূতের বাসায় গানম্যানের (অস্ত্রধারী পুলিশ) বিষয়গুলো তো ইনট্যাক্ট (অটুট) রয়েছে। ভিয়েনা কনভেনশনে স্বাগতিক দেশ হিসেবে যে বিধান রয়েছে, আমরা সেগুলোর প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মেনে চলব।’

সূত্র:প্রথম আলো।
তারিখ:মে ১৬, ২০২৩

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ