Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জ্বালানির বাজারে বিপর্যয় নামিয়ে আনবে-পুতিন (২০২২)

Share on Facebook

রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেল ও গ্যাসের বাজারে বিপর্যয় নেমে আসবে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার জ্বালানি শক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে আহ্বান জানিয়ে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব। খবর আল–জাজিরা।

ইউক্রেনের পূর্ব দনবাস অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতি ঠেকাতে মিত্র দেশগুলোর প্রতি আরও অস্ত্রসহায়তা পাঠানোর আহ্বান জানিয়েছে ইউক্রেন। এর আগে পশ্চিমা দেশগুলোকে ইউক্রেনে রুশ হামলার প্রতিশোধের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছিল মস্কো ।

ক্রেমলিন সমঝোতার মেজাজে কখনোই ছিল না জানিয়ে গতকাল শুক্রবার ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার ওপর অব্যাহত নিষেধাজ্ঞা বিশ্বজুড়ে ভোক্তাদের জন্য জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করেছে।

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাগুলোকে অর্থনৈতিক যুদ্ধ হিসেবে মন্তব্য করেছেন পুতিন। এ সময় রাশিয়ার তেল ও গ্যাসশিল্পের নেতৃত্ব প্রদানকারীদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি শক্তির ওপর নির্ভরতা কমাতে পশ্চিমা বিশ্বের আহ্বান তেল ও গ্যাসের বিশ্ববাজারকে ‘উত্তপ্ত’ করে তুলেছে।

রুশ জ্বালানির ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্রাহকেরা বলছে, তারা রাশিয়ান গ্যাসের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতে চায়। যখন জি–৭ নেতারা গত মাসে বলেছেন, তাঁরা তেলসহ রাশিয়ার জীবাশ্ম জ্বালানির ‘মূল্য নিয়ন্ত্রণ’ ক্ষমতা বিশ্লেষণ করতে চান।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা দেশগুলো আরও অনেক বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হবে। নিষেধাজ্ঞার পরিণতি আরও গুরুতর হতে পারে। এমনকি জ্বালানির বৈশ্বিক বাজারে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর জ্বালানি শক্তির বাজারে ক্রেমলিন এখনো নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে। জার্মানিসহ ইউরোপীয় দেশগুলো আশঙ্কা করছে যে রাশিয়া তাদের দেশে সরবরাহ কমিয়ে দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর নানা নিষেধাজ্ঞার পরও ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রথম ১০০ দিনে জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি করে ৯ হাজার ৩০০ কোটি ইউরো আয় করেছে মস্কো। এর বেশির ভাগই ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোয় পাঠানো হয়েছে। অথচ রাশিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাই। ফিনল্যান্ডভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ার (সিআরইএ) প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

রাশিয়াকে আর্থিকভাবে দুর্বল করে দিতে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য পশ্চিমা বিশ্ব যখন কিয়েভকে আহ্বান জানাচ্ছে, তখনই গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। ইউরোপের দেশগুলো তেল আমদানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। গত মাসের শুরুতে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বেশির ভাগই স্থগিত করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।

সিআরইএর প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধের প্রথম ১০০ দিনে রাশিয়ার কাছ থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি আমদানি করেছে, তা মস্কোর মোট রপ্তানির ৬১ শতাংশ। এর মূল্য প্রায় ৫ হাজার ৭০০ কোটি ইউরো।

রাশিয়ার জ্বালানির শীর্ষ আমদানিকারক দেশ চীন। ১ হাজার ২৬০ কোটি ইউরো মূল্যের জ্বালানি কিনেছে দেশটি। এরপরের অবস্থানে আছে জার্মানি। দেশটি রাশিয়ার কাছ থেকে ১ হাজার ২১০ কোটি ইউরো মূল্যের জ্বালানি কিনেছে। আর ইতালি কিনেছে ৭৮০ কোটি ইউরো মূল্যের জ্বালানি।

জীবাশ্ম জ্বালানি রপ্তানি করে রাশিয়া যে আয় করেছে, তার বেশির ভাগই এসেছে অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে। এর মধ্য দিয়ে ৪ হাজার ৬০০ কোটি ইউরো আয় করেছে দেশটি। জীবাশ্ম জ্বালানি রাজস্বের বাকি অংশ এসেছে পাইপলাইন গ্যাস, তেল উৎপাদন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এবং কয়লা বিক্রি করে।

ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দেশ ও কোম্পানি মস্কো থেকে আমদানি বন্ধ করে দেওয়ায় গত মে মাসে রাশিয়ার রপ্তানির পরিমাণ কমতে দেখা যায়। তবে এরপরও রাশিয়ার রপ্তানি রাজস্ব রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে।
সিআরইএর তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় এ বছর রাশিয়ার গড় রপ্তানি মূল্য ৬০ শতাংশ বেশি। চীন, ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ফ্রান্সসহ বেশ কিছু দেশ মস্কো থেকে কেনাকাটার পরিমাণ বাড়িয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: জুলাই ০৯, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ