Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

রসিকতায় কাজী নজরুল ইসলাম

Share on Facebook

কাজী নজরুল ইসলামের রসিকতা

কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ ও দার্শনিক। তাঁর কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক ও গান নানা রসে ভরপুর। ব্যক্তিগত জীবনেও নজরুল ছিলেন দারুণ সরস ও ফুর্তিবাজ। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে চলুন রসিক নজরুলকে আবিষ্কার করা যাক…

বিড়ালের কামড়

যমুনাপারের শহর সিরাজগঞ্জে নিখিলবঙ্গ মুসলিম সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। কাজী নজরুল ইসলাম সম্মেলনের সভাপতি। কবিকে উপলক্ষ করে দুপুরে বাংলোতে খাবারদাবারের ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। অতিথিরা সবাই খেতে বসেছেন। খাবার পরিবেশনকারী ছেলেটি কবিকে প্রথমে এক টুকরো ইলিশ দিলেন। প্রথম টুকরো শেষ হতেই দ্বিতীয় টুকরো তুলে দেওয়া হলো কবির পাতে। পদ্মার ইলিশ কবি খেতে লাগলেন পরম তৃপ্তিতে। এবার তৃতীয় টুকরো দেওয়ার জন্য ছেলেটি কাছে আসতেই কবি তাকে বাধা দিয়ে বলে উঠলেন, ‘আরে, করছ কী? এত মাছ খেলে শেষকালে আমাকে বিড়ালে কামড়াবে যে!’

বড়কুটুম

সুফিয়া কামাল কাজী নজরুল ইসলামকে ডাকতেন দাদু বলে। কবি আবার প্রায়ই সুফিয়া কামালের বাড়ি যেতেন। সেখানে গানের আসর বসত। সে আসরে সাহিত্য অনুরাগী অনেকেই থাকতেন। এ সময় নজরুলের পেছনে গোয়েন্দা লাগে। তাঁদের সঙ্গে মিশে কয়েকজন গোয়েন্দাও আসতেন। একদিন এক ভদ্রলোকের মুখের ওপর নজরুল কবিতা আওড়ালেন, ‘তুমি টিকটিকি জানি ঠিকঠিকই।’

কবিতার ধরন শুনে লোকটি মুখ লাল করে উঠে যেতেই কিশোরী সুফিয়া কামাল অবাক হয়ে বললেন, ‘দাদু। তুমি একে চিনলে কী করে?’ ‘গায়ের গন্ধে। বড়কুটুম যে।’ নজরুলের উত্তর।

সম্ভাষণ

কাজী নজরুল ইসলাম একবার ট্রেনে যাচ্ছিলেন। পাশে সমবয়সী এক ভদ্রলোক হঠাৎ তাঁর উদ্দেশে বললেন, ‘এই শালা, তোর কাছে দেশলাই আছে?’

অপরিচিত এক লোকের এমন সম্ভাষণে কবি প্রথমে চমকে উঠলেন, তারপর বিরক্ত। কিন্তু পরক্ষণেই পরিস্থিতি সামলে নিয়ে হেসে পকেট থেকে দেশলাইয়ের বাক্সটা তার মুখের ওপর ছুড়ে দিয়ে বললেন, ‘লে বে শালা।’

ইটের বদলে পাটকেল খেয়ে অপরিচিত ভদ্রলোক হো হো করে হেসে উঠে বললেন, ‘পরিচয়ের একটু পরেই আমরা এই সম্ভাষণেই পৌঁছাতাম। তাই অনেক ভেবে ওখান থেকেই শুরু করেছি। কী, ঠিক করিনি?’

আমচোর

গ্রীষ্মের এক দুপুরে পরিবারের সঙ্গে নজরুল গরুর গাড়িতে শিকারপুর যাচ্ছেন। দূরের পথ। তার ওপর বেজায় গরম। বিশ্রাম নেওয়ার জন্য এক আমবাগানে গাড়ি থামিয়ে সবাই নামলেন। বাগানের আমগুলোতে রং এসেছে দেখে নজরুলের খুব লোভ হলো। কিন্তু এক মহিলা বাগানটা পাহারা দিচ্ছেন। সেটা দেখে বুদ্ধি বের করলেন কবি। মহিলাকে মাসি পাতিয়ে তাঁর সঙ্গে জুড়ে দিলেন গল্প। কৌশলে জেনে নিলেন, তাঁর স্বামী বাগানের মালিকের বাড়িতে পাকা আম পৌঁছে দিতে গেছেন। শুনে নজরুল অবাক হয়ে বললেন, ‘মাসি, আমরা তো সেই বাড়ি থেকেই আসছি। কিন্তু সেখানে তো ও রকম কাউকে দেখলাম না! আমি ও বাড়ির বড়মিয়ার ছোট জামাইয়ের ভাই। আজ চলে যাচ্ছি। বড়মিয়া বললেন, বাগান দিয়ে গেলে আম নিয়ে যেয়ো। তাই তো থামলাম। আচ্ছা মাসি, কোন গাছের আম মিষ্টি বলো তো!’

নজরুলের বলতে দেরি কিন্তু আম পেতে দেরি হলো না। সেই মাসিই সব ব্যবস্থা করে দিলেন।

সূত্র: প্রথম আলো, লেখক তাপস রায়।

তারিখ: আগষ্ট ২৭, ২০২০

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ