সেই শৈশবটাকে কত রঙে যে সাজানো যেত !
শৈশব মন কত যে স্বপ্ন কাছে পেত।
আমার তখন তোমাকে ঘিরে,
সবই সুখ শান্তির নীড়ে।
ভাবতে অবাক লাগতো তখন –
কী ভাবে লাল জামা থেকে লাল শাড়িতো সাজবে পরী মতন
বেণী দুলানো ছেড়ে ফুল খোপা সাজে
ভাবাই যেত না যদি সানাই বাদ্য বাজে !
চোখে চোখে আড়ি,
পিছনটা আরও একটু ভারি ভারি
তখন কিশোরী থেকে কেবল তরুণী
চড়ুই-ভাতির রান্নার বদলে একে বারে সত্যি কি হবে পাঁকা রাধুনী !
একদিন ধুম-ধাম মহা-উৎসব আড়ালে
হারিয়ে গেল সব সেই শৈশব উদাস খেয়ালে।
শৈশবের সাজানো স্বপ্নগুলি আজ সাজালো আবার আমায়,
বেদনায়, তোমায় ভুলে থাকার বন্দী খাঁচায়
বেশ কি বড় হয়েছি আজ আমি !
স্বপ্ন পূরণ কি গেছে থামি !
তবে তুমি থেকে গেছো সেই বেনী দুলানোতে
আমার মন ভোলানোতে
তোমার থপ থপ হাঁটায়
চকিত চাওয়ায়
স্থির তাকিয়ে
মুখটা ফিরিয়ে, হঠাৎ বাঁকিয়ে
আঁধার, ঘনো কালো মেঘের মত
আবার, প্রভাতের প্রথম রবির আলো কত শত।
সবাই জানতে চায় সুখি আর বিরহের যোগফলের সংখ্যাটা কত !
আমরা বোধ হয় এ সব নিয়ে ভাবি নি কখনও দিন কেটছে যত।
যোগের হিসাব বুঝি মেলানো ভার
তাই আবার-
তোমায় আজও খুঁজি পায়রার পেখমে,
পাতায় যখন শিশির জমে
নানান রঙের মেঘের দলে,
বৃক্ষের ছায়াতলে
ঝর্ণার পানিতে টল টল ,
তোমার মুখখানি তখন ততই উজ্বল
তোমার দোলনা, পেয়ারা গাছটিতে এখনও দুলে,
হাড়ি-পাতিল খেলনা, কখনও ভুলি নি মনেরও ভুলে।
সেদিন খুঁজেছি, সকালের ঘাসে, তোমার রেখে যাওয়া মেহেদী গাছটিতে
হয় তো ভুল দেখেছি, তাকিয়ে আছো সেই তোমার দৃষ্টিতে।
অদ্ভুত ভাবে সেই শৈশবে সব আশাগুলি যেন অবিকল মিলে যেত !
তোমার সুখে, আমার বিরহে যোগফলটা মিলে কি যাবে হয় তো !
এ কি অন্যায় !
আকাশ তারকা গননায় !
অ-জানা এক সুখের পরশ পেয়ে
বসে থাকি রাতের আকাশে চেয়ে-
আকাশ তারাগুলির যোগফল মিলে যদি যায় কভু !
একবার বারবার দেখার আশায় বসে থাকি তবু।
নিত্য আমার রাত নামে, তোমাকে শ্রদ্ধা প্রনামে
রেখেছি অন্তর নামে, রাখি নি চিহ্ন, পরিচয় নাম ধামে
আকাশ তারায় যত উজ্বল
না দেখায়, না পাওয়ায় মিলে গেছে জীবনের যত যোগফল।।
তারিখ : মে ১২, ২০১৪
রেটিং করুনঃ ,