Welcome to rabbani basra

আমার লেখালাখির খাতা

শুরু হোক পথচলা !

Member Login

Lost your password?

Registration is closed

Sorry, you are not allowed to register by yourself on this site!

You must either be invited by one of our team member or request an invitation by email at info {at} yoursite {dot} com.

Note: If you are the admin and want to display the register form here, log in to your dashboard, and go to Settings > General and click "Anyone can register".

যুদ্ধে না জেতার আশঙ্কা ইউক্রেনের (২০২২)

Share on Facebook

শুরুর সময়ের চেয়ে ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা এখন অনেক বেশি খারাপ। আগের চেয়ে বেশি যোদ্ধা হারাচ্ছে ইউক্রেন। সোভিয়েত আমলের অস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ জয় সম্ভব নয় বলে মন করছেন দেশটির আইনপ্রণেতা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। খবর সিএনএনের।

ইউক্রেনীয় পার্লামেন্টের সদস্য ওলেকসান্দ্রা উস্তিনোভা ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ও যুদ্ধবিমান সরবরাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রের অবস্থা শুরুর সময়ের চেয়ে এখন ‘অনেক বেশি খারাপ’।

সুশীল সমাজের নেতৃস্থানীয় কর্মী দারিয়া কালেনিয়ুক বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সোভিয়েত সরঞ্জাম দিয়ে আমরা এ যুদ্ধ জিততে পারব না। এক. রাশিয়ার এর চেয়ে অনেক বেশি সোভিয়েত সরঞ্জাম আছে। দুই. এই অস্ত্রের জন্য আমরা অন্য কোথাও থেকে গোলাবারুদ পাচ্ছি না। তিন. রাশিয়ার তুলনামূলক বেশি মানুষ ও সেনা আছে।’

উস্তিনোভা বলেন, ইউক্রেন এখন আর সোভিয়েত আমলের মিগ যুদ্ধবিমান চায় না। কারণ, ‘যুদ্ধের ধরন বদলে গেছে’। এর পরিবর্তে তিনি বলেন, রাশিয়াকে ঠেকাতে ইউক্রেনের দরকার মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস), প্যালাডিন সেলফ-প্রোপেলড হাউইটজার এবং এফ-১৬–এর মতো যুদ্ধবিমান। এ ধরনের যুদ্ধবিমান ব্যবহারের জন্য ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান এই আইনপ্রণেতা।

কালেনিয়ুক সম্প্রতি কিয়েভে ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনের ‘যুদ্ধ-অভিজ্ঞ পাইলট আছেন। তাঁরা এখন প্রশিক্ষণ নিতে প্রস্তুত। আগের দিনও তাঁরা প্রশিক্ষণের জন্য যেতে চেয়েছিলেন। তবে তাঁদের নেওয়া এবং প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কারণ, যুদ্ধবিমান সরবরাহের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

ইউক্রেনে ভারী অস্ত্রশস্ত্র পাঠাতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এখন পর্যন্ত এমএলআরএস ও যুদ্ধবিমান সরবরাহ করেনি। উস্তিনোভা ও কালেনিয়ুক একাধিক বৈঠকে অংশ নিতে এই সপ্তাহে ওয়াশিংটনে অবস্থান করেন। তাঁরা বলেন, দ্রুত এসব ভারী অস্ত্রশস্ত্র প্রেরণে প্রশাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সদিচ্ছার’ অভাব আছে বলে তাঁরা মনে করেন। এখনো মস্কোকে উসকানির ভয়ের একটা আবহ আছে।

যুক্তরাষ্ট্র এখন যেসব অস্ত্র পাঠাচ্ছে, এসব ভারী অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অনেক বেশি সময় নেওয়ায় দেশটির সমালোচনা করেছেন উস্তিনোভা ও কালেনিয়ুক। উস্তিনোভা বলেন, ‘যদি আমরা দুই মাস আগে হাউইটজারগুলো পেতাম, তাহলে মারিউপোলের ঘটনা ঘটত না। কারণ, তারা যেভাবে শহরটিকে ঘিরে ফেলেছে, সেটা করতে সমর্থ হতো না—শহরটিকে ঘিরে ফেলা এবং আক্ষরিক অর্থে এটা ধ্বংস করে দেওয়া।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য সময় মানে জীবন, হাজারো জীবন। আমরা শুনে আসছি যে কত দ্রুত সবকিছু এগোচ্ছে এবং কত দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা ছিল অকল্পনীয়। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এ ধরনের যুদ্ধ আর হয়নি। আর দুর্ভাগ্যজনক হলো, এখানে আমরা দ্রুততার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলেই আসছি।’

কিয়েভের ন্যাটো জোটে যোগদানের পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। এ যুদ্ধে ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। সম্প্রতি তারা দেশটিকে ভারী অস্ত্রশস্ত্রও সরবরাহ করতে শুরু করেছে। এতে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয় ইউক্রেনীয় বাহিনী।

সূত্র: প্রথম আলো।
তারিখ: মে ১৪, ২০২২

রেটিং করুনঃ ,

Comments are closed

বিভাগসমূহ

Featured Posts

বিভাগ সমুহ