হঠাৎ করে শহুরে লিফটে নিচে নামার সময় নিমিষে এসে
খানিক দূরে দাড়িয়ে পাশে অচমকা একজনকে দেখে
দ্রুত এসে দাড়ালে আমারই পাশে
বললে যার পাশে যাকে মানায়।
তোমাকে নিয়ে মোট চার জনের লিফট যাত্রা।
মাঝ খানে সেই অচমকা জন ঠিক মাঝ খানে দাড়াতে
দূরুত্ব বেড়ে গেল বেশ।
কথাটি আর সত্য হলো না যার পাশে যাকে মানায়!
কথাটি যে সত্য নয় হয়তো কৌশলে বুঝিয়েছিলে
যদি ভুল বুঝায় কেটে যায় অনেক কাল থেকে বহু কাল!
লিফটের এমন যাত্রায়
কতক্ষণ আর সময় থাকে বড় জোড় ত্রিশ সেকেন্ড!
না হয় আরও কয়েক সেকেন্ডের যোগ।
সু-উচ্চ দালান ছিল না, আমাদের অফিস দালানটি।
সু-উচ্চ হলে হয় তো মিনিটে হিসাব করা যেত।
কয়েক সেকেন্ডের সেই চোখে দেখা, ক্লান্তি বিহিন অনন্ত কালের।
এক সময় কত ঘন্টা, দিন, মাস, বছর হলো
গড়িয়ে গড়িয়ে লোনা পানিতে নীল এক সমুদ্র।
জয়িতা, আমার প্রফুল্লতাময়িতা এবার একটি গল্প বলি শোন-
নীল হওয়া সেই সমুদ্র হারিয়েছে সেখানে কত প্রিয় অনুভূতি!
দীর্ঘ শ্বাস, হাহাকার।
মধুর স্মৃতি, প্রত্যাশা, শান্তিদের ধারা, উচ্ছ্বাস!
এক টুকরা বাসনা, খুব সাবলিল।
আবার হারিয়েছি খুব কাছের প্রিয় রঙ।
চন্দনের সু-গন্ধি, পাপড়ীর সৌন্দর্য, স্নিগ্ধ আলো।
বাসনা কুঞ্জ, উদাস হাওয়া, স্পর্শ সুখ, শিশুর টলটল চোখ
হিষ্ঠ পুষ্ট শিশু হাত, নরম পায়ের তালু, স্বপ্নের মত এইসব
তোমাকে এঁকে এঁকে হারিয়েছি এক পলকে।
অগ্রায়ণের উঠানে কৃষক বউয়ের আঁচলে তাজা স্বপ্নের সঞ্চয়,
শীতের পিঠার তাপ, কুয়াশা ভেদ করে আলো যত উপমা
সব হারিয়ে আমার শুধু থেকেছে কানে
সেই একটি কথা”যার পাশে যাকে মানায়!”
জয়িতা, আমার প্রফুল্লতাময়িতা গল্পটা শেষ। তবুও হয় না শেষ;
আমার পাশে আর কাউকে মানায় নি, তবে
তোমার পাশে কাকে মানিয়েছে বেশ!!
তারিখঃ নভেম্বর ০৩, ২০১৯ (শ)
রেটিং করুনঃ ,