বেশি ভাগ ক্ষেত্রে মূর্খ মানুষের কারণে পরিবারে সমাজে অচমকা কিছু বিষয় ষ্পষ্ট হয়ে উঠে, যা অপ্রত্যাশিত। ভুল পথে পা বাড়ানো, আত্ম-ঘাতী কর্মের প্ররোচকারী, নিচু পথের দুয়ার খুলে দেওয়ার প্ররোচক।
মূর্খ ব্যক্তিরাই বরং সমাজে অর্থ শালী হয়ে উঠে। অর্থ প্রতিপত্তির কারণে তার মূর্খতা নামের বৈশিষ্ট আড়ালে থেকে যায় দীর্ঘ সময়, কিন্তু এক সময় তা প্রকাশ পায় বেশ ঘটা করেই, হাজার অর্থ কড়ি ব্যয় করেও মূর্খতাকে আড়াল করা যায় না।
প্রকৃত মূর্খ অথচ জ্ঞানীর পোষাক পড়ে তাদেরই প্রচার করা বা গড়া কিছু বিষয় এই জগতকে নিকৃষ্ট বানিয়েছে, শান্তির পৃথিবীকে করেছে অশান্তিময়, তারা সকল সময় চেষ্টা করে আড়াল করে চলার, তাদের এই চেষ্টাটাই বড় বিপদ জনক, বড় ফাঁদ সাধারণ ও সহজ সরল মানুষদের জন্য।
নির্মম প্রকৃতির মানুষ যেমন থাকবে তেমনি কিছু নিরিহ মানুষও থাকবে, তাদের লড়াই করার শক্তিটা অর্জন না করাটাই সবচেয়ে কষ্ট দায়ক। এটি মেনে নিতে বড় কষ্ট হয় যে কেন নিরিহ মানুষরা মিথ্যার কাছে মিথ্যুকদের কাছে সব সময়ই পরাজয় বরণ করে যাবে।
অর্থ প্রতিপত্তির আড়ালে যে মূর্খতা জাগ্রত থাকে সেখান থেকে কোন কিছু লাভ অর্জনের আশায়, সুখ পাওয়ার আশায় না থেকে বরং দূরে থাকাটাই উত্তম। কোন জ্ঞানীজনের কাছে থেকে যতই কষ্ট দুঃখ পাওয়া যাক না কেন বরং সেটাই শ্রেষ্ট পাওয়া।
মানুষের মূর্থতা যে কোন সময় একটি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে বরং কষ্ট পাওয়া, দুঃখ পাওয়া জ্ঞানীজনের কাছে থেকে অবশেষে যা মিলে তা জীবনের শ্রেষ্ট অভিজ্ঞতা, শ্রেষ্ট সম্পদ।
তারিখ: জুন ১৭, ২০১৮
রেটিং করুনঃ ,