একুশে ফেব্রুয়ারি, ৮ই ফাল্গুন, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যত নামেই বলি এই শ্রদ্ধা পূর্ণ দিনটি ( ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি বা ৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) নিয়ে নতুন করে আমাদের তেমন কিছু বলার বা বাড়তি কিছু কথা যোগ করা আমাদের মত সাধারণ লেখকদের জন্য অসাধ্য। এই শ্রদ্ধা পূর্ণ দিনটির ইতিহাস, তাৎপর্য গুরুত্ব লিপি বদ্ধ হয়ে আছে নানান বইয়ে, দলিলে, চলচিত্রের মত নানান মাধ্যমে। বিশেষ করে ঐ ঐতিহাসিক সময়ে তখন আমাদের জন্ম হয় নি, প্রত্যক্ষ ভাবে কিছু দেখার বা জানার কিম্বা কোন তথ্য বা ছবি ধারণ করার মত সুযোগ হাতে আসে নি।
আমরা এক বাক্যে স্বীকার করি এটি বাঙালি জনগণের একটি দাবি যা অনেকটাই শিশুর দাবির মত ছিল যা খুব সহজ জাত ও স্বাভাবিক এবং একজন মা যা খুব সহজে পূরণ করেন যেমন শিশুকে মায়ের দুগ্ধ দান কিন্তু এই দাবিটুকু কে রুখে দিতে পারে !!!
কবি মধু সূদন যেখানে তাঁর প্রিয় নদীর কথা বলতে গিয়ে বলেছেন –
” কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মেটে কার জলে
দুগ্ধস্রোতরূপি তুমি মাতৃভূমি স্তনে। “
আসলই কে রুখে দিতে পারে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধীকার !!! যখন এই মায়ের ভাষায় কথা বলার অধীকারটি হুমকির মুখে পড়ে অর্থাৎ ঢাকায় ১৯৪৭ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর সময় লগ্নে আর তখনই বাংলা ভাষায় কথা বলার অধীকরের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়, বাঙালি জনমনে ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে যেমন খুব সহজজাত দাবিতে শিশুর মনে। তখন এই পেক্ষাপটে শুরু হতে থাকে নানান অনিশ্চয়তা, কখনও গোপনে কখনও প্রকাশ্যে মায়ের ভাষায় কথা বলার অধীকারে নামেন বীর ভাষা সৈনিকরা রাজপথে, শুরু হতে থাকে ছাত্র জনতার সঙ্গ বদ্ধতা, সমাবেশ, মিশিল তার পরে চুড়ান্ত ভাষা আন্দোলনের রূপ যা একাধারে মর্মান্তিক ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত । অবশেষে রূপ পায় সাফল্য অর্জনের গৌরব গাঁথা একটি দিনে।
প্রথমেই আমাদের অন্তরে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে ” ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই বিখ্যাত গানটি যা আমাদেরকে আজও নানান প্রেরণা যোগায়, প্রতিষ্ঠিত করেছে আমাদেরকে মাথা উঁচু করার জাতি হিসাবে বিশ্বের দরবারে।
১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে মাতৃ ভাষায় চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে রাষ্ট্রিয় মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে, দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃতিও লাভ করেছে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
বিশ্বের ইতিহাস খুঁজে আর পাওয়া যায় নি কোশায় কোন জাতি মায়ের ভাষায় কথা বলার অধীকার আদায়ের জন্য মিশিল করেছে, আন্দোলন করেছে প্রাণ দিয়েছে শহীদ হয়েছেন !
মায়ের ভাষা বা মাতৃ ভাষার গুরুত্ব নিয়ে হাজার হাজার লাইন লিখে প্রকাশ করা যায় না, যাবে না এর মূল্য নির্ধারণ তবে এর মূল্য কবি মধু সূদন দত্তের একটি কবিতার একটি লাইনেই যথেষ্ট এর মূল্য বুঝার জন্য যথেষ্ট “ মাতৃ-ভাষা-রূপে খনি, পূর্ণ মণিজালে।”
আজ একটি সাফল্য খুব দৃশ্যমান যে, বর্তমানের নূতন প্রজন্ম মাতৃ ভাষার চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে অন লাইন ভিক্তিক লেখার জায়গাগুলিতে দ্রুত বাংলা ভাষায় লিখছন, নিজের মধ্যে ধারণ করা চিন্তা-চেতনা, অনুভূতি প্রকাশ করে দেশের সীমানা অতিক্রম করে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিচ্ছেন নিত্যই, একই বন্ধনে বেঁধে রেখেছেন সারা বিশ্বের বাংলা ভাষা ভাষীদের একই বৃত্তে, একই বন্ধনে।
মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ-দানকারী আবুল বরকত, আবদুল জববার ও আবদুস সালামসহ সকল ভাষা বীরদের প্রতি আমাদের চির শ্রদ্ধা।
” মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
(মাগো) তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালোবাসা।।
কি যাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।
বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন্, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন-
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা।।” – অতুল প্রসাদ সেন ( গীতিকার ও সুরকার)।
রেটিং করুনঃ ,
মহান ২১শে ফেব্রোয়ারিতে ভাষা শহীদসহ
সকল শহীদ’এর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি
একুশ আমাদের গর্বের দিন।
মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ-দানকারী আবুল বরকত, আবদুল জববার ও আবদুস সালামসহ সকল ভাষা বীরদের প্রতি আমাদের চির শ্রদ্ধা।
অসাধারণ পোস্ট! পোস্টে ভালোলাগা রইলো! মিষ্টি মামনিটাকে দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। অমর একুশে ফেব্রুয়ারীর এই দিনে সেই শহীদ ভাইদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলী।
একুশ আমাদের প্রাণের গর্ব, আমাদের মনের চেতনা।
মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ-দানকারী আবুল বরকত, আবদুল জববার ও আবদুস সালামসহ সকল ভাষা বীরদের প্রতি আমাদের চির শ্রদ্ধা।
ভাষার জন্য দিয়েছে যারা প্রাণ তাদের প্রতি আমাদের শ্রেষ্ঠ সন্মান, সকল সময়ে।
মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ-দানকারী আবুল বরকত, আবদুল জববার ও আবদুস সালামসহ সকল ভাষা বীরদের প্রতি আমাদের চির শ্রদ্ধা।
// মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ-দানকারী আবুল বরকত, আবদুল জববার ও আবদুস সালামসহ সকল ভাষা বীরদের প্রতি আমাদের চির শ্রদ্ধা।
” মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
(মাগো) তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালোবাসা।।
কি যাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।\
অসাধারণ।
মাতৃ ভাষা প্রতিষ্ঠায় প্রাণ-দানকারী আবুল বরকত, আবদুল জববার ও আবদুস সালামসহ সকল ভাষা বীরদের প্রতি আমাদের চির শ্রদ্ধা।